কার হাসি কে হাসে.....
ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ আমলে সবচেয়ে বেশী প্রাণ দিয়েছে, ভয়াবহ গুম নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে, বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মী-সমর্থক মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছে। জামায়াতে ইসলামী দলেরও অনেক সদস্য মিথ্যা মামলায় কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সব চাইতে বেশী ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। নির্বাচিত সরকার গঠন না করেও তারা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায়ই শুধু নয়, নিয়ন্তকও বটে!
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পর প্রশ্ন- কে কী ক্ষতিপূরণ পেয়েছে? রাজনৈতিক বন্দিরা, নির্যাতিত কর্মীরা, পরিবারের হারানো মানুষগুলো- তাদের কি কেউ খোঁজ নিয়েছে?
সত্যি বলতে, নিগৃহীত মানুষের সংখ্যা কেবল পরিসংখ্যান নয়- সেটা একেকটা ছিন্নভিন্ন জীবনের গল্প!
জীবনের কোনো প্রতিদান হয় না, সত্যি।
তবুও জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন বা আহত হয়েছেন- তাদের পরিবার অন্তত কিছুটা আর্থিক সহায়তা ও চিকিৎসা পেয়েছে, এটা সান্ত্বনা।
পুলিশ, সেনাবাহিনীর বহু নির্দোষ অফিসারও শেখ হাসিনার রোষানল, দানবীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বিনা দোষে পুলিশ - সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া, বাধ্যতামূলক অবসর, গুম-নির্যাতনের শিকার হওয়া, মিথ্যা বিচারে বছরের পর বছর কারাভোগ করা অফিসার- তারা কি তাদের হারানো সম্মান, চাকরি, বকেয়া প্রাপ্য ফিরে পেয়েছেন?
জানি না- তবে একটা উদাহরণ জানি- একজন সেনাসদস্য অন্তত ন্যায়ের দেখা পেয়েছেন। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবঃ আবদুল্লাহ আযমী।
আলহামদুলিল্লাহ, "সেনাপ্রধান তার কাছে হাতজোড় করে, মাথা নিচু করে ক্ষমা চেয়েছেন"।
তিনি ফিরে পেয়েছেন তাঁর আর্থিক প্রাপ্য মর্যাদা।
কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়-
বাকিরা কবে? ন্যায় কি সবার জন্য সমান, না কি সিলেকটিভ বিচারই হবে নতুন নিয়ম?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




