আমি এত কিছু বুঝিনা ও জানিনা কিন্তু এতোটুকু জানি যে, আমার মত অনেকেই হয়তো ছোট কাল থেকেই বাংলাদেশে শবে বরাতের অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। কিন্তু জিজ্ঞেস করলে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না যে খখন থেকে এই রীত দেশে চালু হয়েছে। যদি মেনে নেয়া হয় যে, ১৪০০ বছর না তাহলে অবশ্যই ১৪ দিনও নয়। নিজেদের সন্তানকে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত করার জন্য পিতা মাতা বিভিন্ন অজুহাতে নিজেদের সন্তানদেরকে বকা দিয়ে, বুঝিয়ে, উপহার বা গিফটের কথা বলে নামাজ রোজা করতে বলেন। হয়তো আমার মত অনেকেই ছোটকালে মসজিদে কোরান পড়তে না যাওয়ার জন্য মারও খেয়েছেন। এ সব কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য হাসিল করার জন্য। এখন ১৪০০ বছর ধরে যে রেওয়াজ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যদি ভাল নাও বলি খারাপের তো আমি কিছু দেখি না। যে বিদআত বা নাজায়েজ আছে কি না বলে কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে থাকবো। কখনই হযতো আমরা চিন্তু করে দেখি নাই যে আসলেই কি এটা আমাদের নিজেদের প্রশ্ন নাকি শত্রুদের তৈরী করা প্রশ্ন যা আমাদের মুখ থেকে বের হচ্ছে। আর এ নিয়ে আমরা কিছু মুসলমান ভাই একে অপরের সাথে কথা কাটাকাটি ও গাল মন্দ করতেও কুন্ঠাবোধ করিনা।
যদি কোন ব্যক্তি যে সাড়া বৎসর ব্যস্ততার কারণে আত্মিয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে যেতে পারেনি আজকে এই উসিলায় গিয়ে মরহুমদের জন্য রূহের মাগফেরাত চাইবে, কোরান খতম দেবে এটা কি দোষের? দুটা বাতি জালাবে এটা কি দোষের? আশ্বপাশের লোকজনদের জন্য বন্ধু বান্দবদের জন্য দোওয়া করবে এটা কি দোষের? নফল নামাজ পড়বে হালুয়া রুটি খাবে গরীবদের ও মনে করবে এটা কি দোষের? ঘর সাজাবে আর সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকবে যা ব্যস্ততার কারণে করা হয় না এ সব করলে দোষটা কোথায়? আসলে আমরা সবাই জানি এসব কোনটাই দোষের নয়। তাহলে এতোদিন ধরে যা চলে আসছে আজ হঠাৎ করে বিদআতের ফতুয়া দেয়ার উদ্দেশ্যটা কি? হেদায়েত নাকি শত্রু পক্ষের উস্কানি। যা দিয়ে আমাদের মাঝে দ্বন্দ সৃষ্টি করে মজা নেয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তাই আমাদের জানতে হবে বুঝতে হবে কোন শত্রু বা তার দোষরদের হাত আছে কিনা। হুশিয়ার হুশিয়ার। সবাই ভাল থাকুন। খোদা আমাদরেকে সোজা পথে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




