কাজিনের সমন্ধ এসেছে। সম্প্রতি পাত্রপক্ষ পাত্রী দেখে গিয়েছে এবং জানিয়েছে- পাত্রী তাদের পছন্দ হয়েছে। এবার পাত্রী পক্ষের পছন্দ হলেই ফাইনাল। সামনের সপ্তাহে'ই বিয়ে। খাল ফোনকলে এসব বলছিলেন। পাত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে, বললেন- পাত্র নামকরা সাংবাদিক। সাথে ব্যবসাও আছে। শুনে কিছুটা খারাপ লাগছিলো। ইদানিং সাংবাদিক শব্দ'টার প্রতি আমার একধরনের বিরক্তি কাজ করে। সাংবাদিক মাত্রই যেনো চাটুকার, দালাল চরিত্রের স্বার্থপর ধুরন্ধর একজন ব্যক্তি। যে সচেতন চিত্রে সমাজ, দেশ ও জাতির ক্ষতি করে। সাংবাদিক সম্পর্কে আমার এই নেতিবাচক ধারনা জন্মানোর যথেস্ট কারণ আছে। লক্ষ করলে দেখবেন, আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলো সবসময় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে অবস্থান নেয়। ক্ষমতাসীনদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীনদের চাপের চাইতে তাদের নিজেদের স্বার্থই বেশি কাজ করে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর'ই নিজেদের স্বার্থে আমাদের মিডিয়া 'চাটুকার এবং দালাল' এই দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ৭৫ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সংবাদপত্রগুলো পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে। (দালাল শ্রেণীর সংবাদপত্রগুলো পাকিস্তান, সি.আই.এ'র হয়ে কাজ করেছে আর চাটুকারশ্রেণী করেছে চাটুকারিতা। তাদের এসব কর্মকাণ্ড তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে।)
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তাদের কেউই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে কাজ করেন নি বা কোনপ্রকার প্লান পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়ন নি। তাই পুজিবাদি রাস্ট্রগুলোও এইদেশ নিয়ে তেমন মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করেনি বা করছে না। ফলে দালাল না বাড়লেও চাটুকার মিডিয়ার সংখ্যা ব্যাঙ্গের ছাতার মতো বাড়ছে। তারা ক্ষমতাসীনদের সুনজরের আশায় পেশাদারিত্ব ভুলে প্রকৃত সত্য গোপন করছে, সমালোচনা থেকে বিরত থাকছে, এবং নির্লজ্জের মতো সরকারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
সাংবাদিক শব্দটা শুনলে এখন নেগেটিভ চরিত্রের মানুষদের প্রতিচিত্র ভেসে ওঠে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৩