© শরৎ আঁকতে ইচ্ছে করে
___________________
ভরা ফাগুনে টুকরো টুকরো কাশফুল দুঃখ ধার করে করে তুমি এঁকে ফেলো শরতের আকাশ
উত্তাল নীলের সমুদ্রে ভাসাও বনবাসী সুখের নাও-
(নৈঃশব্দ্যে মেঘ ডাকো, নৈঃশব্দ্যে মেঘ তাড়াও....)
দুঃখবিলাসী মেয়ে,
তোমাকে দেখলে ইদানীং আমারও ইচ্ছে করে রাত জেগে জেগে নক্ষত্র গুনতে।
আর
কবিতার ক্যানভাসে সমুদ্ররঙ ঢেলে টুকরো টুকরো কাশফুল-শব্দে শরৎ আঁকতে
কবিয়ালদের মুখে শুনেছি-
'মনে মায়া থাকলে কবিতায়ও শরৎ আঁকা যায়'
© বিষাদী রাতে
____________
নির্জন রাতে বিষাদের নিনাদ সাজাতে মাঝেমাঝে সুপ্ত সাদাসাদা মেঘেরা ফুঁসে উঠে-
আকাশ কালো হয়। তীব্র প্রণোদনে পাক খায় ভীতসন্ত্রস্ত বেনামি বাতাস
সনাতন নিয়মে বেলা বাড়ে,
ক্ষুধার্ত স্যাঙাতের ডাকে সংজ্ঞাহীন মন তাড়াহুড়ো করে ঘরে ফিরে-
স্বভাবী অস্তিত্ব রক্ষার্থে জোরকদমে বিবর্ণ মেঘদের অক্ষত শরীর ফুঁড়ে বেরুয় চন্দ্রীমার অবয়ব।
তারপর।
তারপর রাত গভীর হলে, নিভে যায় চারকোণা কক্ষদের নিয়নবাতি
ঘুমিয়ে পড়ে আঁধারের জোনাকিপোকারা
শুধু জেগে থাকি আমি, কবিতা আর আমাদের 'না বলা' সাদাকালো কথারা!
(লেখা: পুরানো ডায়েরি থেকে। ছবি: গুগোল মামার কাছে নেওয়া।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৬