আইইডিসির দেওয়া তথ্যমতে, করোনার আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।
সরকারের এম্পি মন্ত্রী তথা কাছের মানুষজন 'মৃত ওই ব্যক্তির বয়স, এবং পুর্বের রোগগুলোকে হাইলাইট করে' কিছুই হয়নাই বা হবে না টাইপ বক্তব্য প্রধানের চেস্টা করছেন। তথ্যমন্ত্রী বিএনপির দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছেন, বিএনপির লোক নাকি সাধারণ মানুষদের আতংকিত করার চেস্টা করছে। তিনাদের এইসব বেহুদা বক্তব্য করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে কোনো কাজে আসবে না। বরং এইসব বক্তব্য করোনার সংক্রমণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
উচ্চরক্তচাপ, ডায়োবেটিস, হার্ট ও কিডনির মতো জটিল জটিল সমস্যায় দেশের কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত। উল্টাপাল্টা ঔষধসেবন ও যথাযথ চিকিৎসার অভাবে অনেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও সীমিত। ওইসব মানুষের বডিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুব কম। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত আশপাশের মানুষদের সচেতন করা। সরকারের উচিত পাব্লিকের সাহায্য নিয়ে করোনা যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংক্রমিত না হয়, সেদিকে জোর দেয়া। এবং ব্যবস্থা নেওয়া। সরকার চাইলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি লোক বা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় স্কুল কলেজের 'স্বেচ্ছাসেবা করতে আগ্রহী' স্টুডেন্টদের প্রাথমিক ট্রেনিং দিয়ে পাড়ামল্লায় ভল্যান্টিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে পারে। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বশীল স্টুডেন্টদের মাধ্যমে গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় প্রবাসফেরত ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখতে পারলে সফলতা পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীরা হাটেমাঠে ঘুরাফেরা করা মানুষদের কাউন্সিলিং করলে, অকারণে ঘর থেকে বের হতে নিরুৎসাহিত করলে সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
দেশ বিদেশে, সবাই সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন। আশেপাশের মানুষদের নিরাপদে রাখবার চেস্টা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৭