somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিনের ভ্রমন টাঙ্গাইলে ...

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বহুদিন কোথাও যাওয়া হয়না .... অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা করছিল কোথাও যাব..... কিন্তু সেই সময় আর হয়না....
যাই হোক... গত শুক্রবার বন্ধু নাজিরকে বললাম, ফ্রি থাকলে টাঙ্গাইল একদিনে যতদুর পারা যায় ঘুরে আসব। নাজির রাজি হতেই ৯টার দিকে দুইজন চলে গেলাম .. মহাখালী বাস টার্মিনালে। উঠলাম নিরালা পরিবহনে। ভাড়া ১১০ টাকা জনপ্রতি টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত।
সবসময়ের মত এবারও ইন্টারনেট আর পত্রপত্রিকা থেকে যা পাওয়া গেছে তাই সাথে নিলাম।

পথে যেতে যেতে .....


টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড আসার আগেই নেমে পড়লাম করটিয়ায়।


এখানে আছে করটিয়া জমিদার বাড়িঃ



পথেঃ


এখানে ঘুরে এরপর সিএনজিতে গেলাম ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদে, যা দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত, ভাড়া নিল ৮০ টাকা।


সেখান থেকে সিএনজিতে সোজা সন্তোষে, সেখানে আছে জমিদার মন্মথ রায়ের জমিদার বাড়ী যার উপর তৈরী হচ্ছে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাশেই আছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সমাধি এবং জাদুঘর

এই হল জমিদারবাড়ীর হাল......

মওলানা ভাসানীর সমাধি
মওলানা ভাসানীর জাদুঘর
নিচের এই ট্রাক্টরটা ১৯৬৭ সালে চীনের মহান নেতা মাওসেতুং মওলানা ভাসানীকে উপঢৌকন হিসেবে দেন
জাদুঘরের ভিতরে
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

সেখান থেকে আবার সিএনজিতে চলে গেলাম পাকুল্যা বাজারে। যার পাশেই আরেকটি জমিদারবাড়ীর সন্ধান পেলাম, যার সম্পর্কে আগে কিছু পাইনি। নাম বদরুন্নেসা মহল, স্থাপিত বাংলা ১১৫৩ সাল, পুণঃসংস্কার বাংলা ১৪০০ সাল।


সেখান থেকে হেটে গেলাম পাকুল্যা মসজিদে। মসজিদের মুয়াজ্জিন ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানলাম মসজিদটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতার নাম পেলাম একটি ফলকে, তার নাম ছিল মতি বিবি।


পত্রিকায় পড়েছিলাম পাকুল্যায় হিন্দু ও বৌদ্ধ রীতিতে তৈরী দুটো মঠ আছে যেগুলো তৈরী করা হয়েছিল প্রায় দেড়শ বছর আগে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এগুলো সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারলনা। হতাশ না হয়ে খুজতে লাগলাম। অবশেষে পেলাম। দেখে বুঝতে পারলাম কেন লোকজন চিনেনা। অস্থিত্ব বলে যা কিছু আছে আগামী দু-এক বছরে তাও যে থাকবে না তা আপনারা ছবি দেখেই বুঝে নিন।

১ম মঠঃ


২য় মঠঃ


এতটুকু ঘুরতেই সন্ধ্যা নেমে আসল। তাই টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদারবাড়ী আর ধনবাড়ি জমিদারবাড়ী ঘুরার ইচ্ছা থাকা সত্বেও যেতে পারলাম না।
তাই একদিনের ভ্রমন শেষে ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন ... মানে বাড়ির পথ ধরলাম।


[ সবার কাছে দুঃখিত ভাল ছবি দিতে না পারার জন্য, ক্যামেরার চার্জ হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাওয়াতে অধিকাংশ ছবি মোবাইলে তুলতে হয়েছে ]
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৭
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×