সবাইকে আবারও মনে করিয়ে দেই। দয়া করে, শুধু virtual world-এ এই প্রতিবাদকে সীমাবদ্ধ করবেন না। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, প্রতিটি ভার্সিটি (সরকারি/বেসরকারি), বিদেশে কর্মস্থল এবং student's forum, দূতাবাসের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সবাই মিলে যার যার অবস্থানে বিক্ষোভে অংশ নেই। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করি, যেন এ ব্যাপারে সরকার একটা কড়া অবস্থান নিতে বাধ্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পারলে আনু মুহাম্মদ, জাফর ইকবাল এনাদের মতামত/সমর্থন আদায় করতে হবে। দাবি শুধু ফেলানির মৃত্যুতেই ক্ষমা প্রার্থনা না, দাবি হোক সারা বিশ্বের প্রতিটি বাংলাদেশির সম্মান আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। মধ্যপ্রাচ্য/ মালয়েশিয়া/ইউরোপ/আমেরিকার দূতাবাস যেন নিশ্চিত করে বাংলাদেশের একজন ঝাড়ুদারও যেন ওই দেশে গিয়ে নিগ্রহের শিকার না হয়। জনশক্তি কমিশন যেন এমন ব্যবস্থা নেয় যাতে এদেশের কাউকে চোরের মত বাইরে গিয়ে পেটের দায়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত না হতে হয়।
একজন ফেলানির মৃত্যু রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে কোন ব্যাপার না। কিন্তু এই ঝুলে থাকা লাশ আমাদের জিয়ন কাঠি হোক, আমরা জেগে উঠি আমাদের মরণ ঘুম থেকে। বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেই, একজন ফেলানী শুধু per capita income এর একটা input না। ফেলানির লাশ এক সব-হারা, সর্বস্বান্ত জাতির আত্মোপলব্ধির প্রতীক, rude awakening!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



