১। রাঙামাটি জেলার লংগদুতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নয়ন নামে একজন বাঙালীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাঙ্গালী কতৃক সরকারি হিসেবেই (প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি) চাকমাদের তিনটি গ্রামে ২১২টি বসতবাড়ি আর নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া বাংগালীদের পক্ষে তখন যারা অবস্থান নিয়েছিল তারা আজ উগ্রপন্থী জঙ্গি রোহিঙ্গা যারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশন ও একটি সেনা ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা করে ১২ জনকে হত্যা করেছে যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গনহত্যা চলছে তাদের পক্ষে তাদের ফেসবুক গরম করে মানবতাবাদী সাজার চেস্টা করছে। দুইটা ঘটনা একই রকম। সংখ্যালঘু উগ্রপন্থীদের কারনে সাধারন মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে যাদের কোন অপরাধই নেই। যাদের প্রথম ঘটনায় অবস্থান ছিল বাংগালীদের পক্ষে তারা আজ রোহিংগাদের পক্ষে। মূল কারন ধর্ম। নিজ গোত্র অপরাধী হলেও কি ধর্ম শিখায় তাদের সমর্থন দিতে? ধর্ম কি শিখায় স্বজনপ্রীতি করতে? আল্লাহ/ সৃস্টিকর্তা কি সমগ্র সৃষ্টি ছেড়ে নিজ নিজ ধর্মীয় দলবাজিতে আবদ্ধ মোল্লাদের মত? তা যে না তাই সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রথমেই এই জাতিটাকে বিধবা করে আর এখন অন্য জাতিগুলার কাছে সিরিজ লাথি খাওয়াচ্ছেন ধারাবাহিকভাবেই। লালন এর একটা গান মনে পড়ে গেল
" মুসলমানে বলে আল্লাহ আমাদের দলে,
এমন বেকুব কে দেখেছ কোন কালে"
২। আরেকটা ব্যাপার দেখলাম অনেকেই খাদ্যমন্ত্রী মায়ানমার এ খাদ্য আমদানী করতে যাবার বিরোধীতা করেছে। বিরোধীতা করার আগে জেনে রাখা ভালো যে ভয়াবহ বন্যার পর এখন বাংলাদেশের কাছে মাত্র ৫০ দিনের চাল মজুদ আছে কিন্তু পরবর্তী ফসল আসতে আরো সময় লাগবে ৮০-৮৫ দিন। ৩০-৩৫ দিনের খাদ্য আমদানী করে চালাতে হবে। এর মধ্যে আতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্যোর যোগান আমাদের উপর। তাই কম দামে চাল মায়ানমার থেকেই আনতে হবে কারন ভিন্ন দেশ থেকে বেশি দামে চাল এনে দাম বেড়ে গেলে তো আপনা্রা আবার লিখবেন "চালের বাজারে আগুন, সরকার দাম নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ'' ।
৩। যারা মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার পক্ষে উস্কানী দিচ্ছেন তাদের জেনে রাখা ভালো সামরিক ক্ষেত্রে মায়ানমারের র্যাংকিং ৩১ নাম্বার এ আর বাংলাদেশের ৫৭ নাম্বার এ। দোয়া দরুদ আর মুনাজাত দিয়ে জয় হয় না সেটা ফিলিস্তিন, ইরাক, লিবিয়া, কাশ্মির, সিরিয়া, ইয়েমেন, দেখে শিখুন। Click This Link
৪। ইউরোপে যারা শরনার্থীদের বেশি আশ্রয় দিয়েছে তাদের মধ্যে পরে জঙ্গিবাদের প্রভাব বেড়েছে। জার্মানী তার সব চেয়ে বড় প্রমান। রোহিংগারা তো আরো বেশি বর্বর। তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি ? জামাতী , সালাফী বর্বররাতো অনেক দিন ধরেই বসে আছে এই সুযোগের অপেক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




