এখন আকাশে সাদা মেঘ নেই, সমীরণে নেই গন্ধ,
জীবনের কাছে দেনা-পাওনা যত সবকিছু আজ বন্ধ।
এরই মাঝে বুঝি কবিতার ভাষা মুকুলিত হয়ে উঠছে,
কাব্যের স্রোতে কাশবন যেন খেলছে নাচায়ে পুচ্ছে।
শব্দের সাথে সংঘাত ঘটে বিষাদের বিভ্রান্তি,
ছটফট করে মুনিয়ার মতো, ক্রমে ক্রমে বাড়ে ক্লান্তি।
বুকের অতলে পড়ে থাকে শুধু এক ঝাঁক নোনা কষ্ট,
আহাজারি উঠে মনের গভীরে, দূরে শোনা যায় পষ্ট।
নষ্ট মনের মানুষেরা আজ বিচরণ করে দম্ভে,
তাদের দর্প, মিছে অহমিকা জানি না কখন কমবে।
সাধারণ জনে ভয়ে থাকে শুধু, ঈশ্বরে খোঁজে শান্তি,
ছলাকলাহীন সরল; তবুও, ঘুচে না তাদের ভ্রান্তি।
আমাদের ছিলো গোলাভরা ধান, ছিলো না হৃদয় শূন্য,
ধরণীর মাঝে নিত্য খুঁজেছি মানুষ সেবাতে পূণ্য।
অথচ, এখন ছুটছি শুধুই প্রাপ্তির হীন লক্ষ্যে,
কলুষিত মন কর্ম করে না দুঃখীজনের পক্ষে।
এমনি করেই যদি থাকে পড়ে মানুষেরা মোহ-গর্তে,
সুন্দর পৃথিবীর মানুষেরা টিকবে রে কোন্ শর্তে?
শহরের বাবু! গ্রামের মোড়ল! হইও না আর অন্ধ,
আগামীর তরে মিলেমিশে করো শোষণের ধারা বন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৭