শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার আনাখন্ড গ্রামের দরিদ্র রিকশা চালক ইলিয়াস বেপারীর একমাত্র কিশোর ছেলে রনি। যে ছিল দরিদ্র বাবা মায়ের একমাত্র স্বপ্ন। গত বছর ২ মে নিখোঁজ হয়, পরদিন ৩ মে কীর্তিনাশা নদীতে তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। তার পরের ঘটনা এলাকাবাসীর জানা। এ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে এলাকবাসী অনেক আন্দোলন করেছে। ফলাফল, শুধুই আশ্বাস!
প্রশাসন বলেছিল সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করবে। এখন সব ধোঁয়াশা। চিহ্নিত খুনিরা জামিন পেয়ে ঘুরছে। তদন্তের নামে প্রহসন চলছে। বাদী পক্ষ দরিদ্র বিধায়, পুলিশ তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই সুযোগে আসামীরা তাদের ইচ্ছে মত তদন্ত প্রভাবিত করছে। আর আমাদের দেশের প্রশাসন, সে তো সবারই জানা। এরা জনগণের দুঃখ কষ্ট বুঝবে কী করে। পুলিশের যিনি আছেন ইনভেস্টিগেশন অফিসার, তিনি কী তদন্তের কোন অগ্রগতি বাদীকে জানিয়েছেন?
ইচ্ছে করলে তিনি পারেন সঠিক তদন্ত করতে। কিন্তু বাদিতো দূর্বল। সেতো পারবে না তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে ন্যায়ের চেয়ে পকেটের দিকেই দৃষ্টি বেশি থাকে। তা না হলে আজ সন্তান হারা বাবা মা কেন চোখের জল ফেলবে? আর বিচারের নামে প্রহসন দেখবে? আমাদের সমাজের কলুষিত রূপ দেখে দেখে তাদেরকে বাকিটা জীবন পার করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬