দিন কেটেছে বেশ নির্ঝন্ঝাট। কোন ঝামেলা নেই, তাড়াহুড়ো নেই। নৈঃশব্দে ভরা দিন গুলো যেন বড্ড ধীর। যেন কাটতেই চায়না। আর রাতগুলো ভোরের অপেক্ষায় প্রহর গোনে। সেলফোনটা একদম নিরব। সারাদিনে কোন ফোনই আসেনি। কেমন জানি দলছুট হয়েগেছি আজকাল। আসলে কারও জন্য রাতজাগা শিহরণ,কারও জন্য অসহনীয় অপেক্ষা,কারও জন্য অভ্যাস।
আমিও মাঝে মাঝে জেগে থাকি। আমার জন্য রাত জাগা মোটেও শিহরণ নয়, অপেক্ষা করার মতো কিছুও নেই আমার। আবার নিয়মিত রাত জাগার অভ্যাসও নেই। তবু কিছু কিছু রাতে এরকম হয়। কেন হয় কে জানে। এখন কয়টা বাজে তাও বুঝতে পারছিনা। ঘড়িটার ব্যাটারী নেই প্রায় একবছর হল।
ফাল্গুন চলে যাচ্ছে। চৈতালি জোছনায় মন উঁচাটন চাঁদের আলোয় হারাবে জীবনের আরেকটা ফাল্গুন। বিষন্নতার কারন খুঁজতে গিয়ে আরেকটু বিষন্ন হবে মন। শেষরাতের দিকে নির্ঘুম চোখ দুটো ক্লান্ত হয়ে পড়বে। হয়তো ঘুমিয়েই পড়ব। ভোরের আলো দেখা হবেনা। সবুজ ঘাসের প্রান্তরে ফুটে ওঠা ঘাসফুলে জমে থাকবে শিশির কণা। সূর্যের আলোয় চিকচিক করবে শিশির বিন্দু গুলো।
আহা! আমি যদি ঘাসফুল হতাম। তবে হয়তো এই চৈত্রের বিষন্ন জোছনায়, এই ব্যস্ত শহরে অন্তত একটা শিশির বিন্দুকে কাছে পেতাম।
(পুরনো ডাইরির পাতা থেকে।)
১২-০৩-২০০৭।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




