বাংলাদেশের কয়েকটা ইলেক্ট্রনিস্ক কোম্পানী দেখলাম যে আমেরিকার মেডট্রোনিক কোম্পানীর (বাংলাদেশী সিইও) পেটেন্ট করা ডিজাইন বিনামূল্যে অবমুক্ত করার পর এখন সেই ডিজাইন ব্যবহার করে ভেন্টিলেটর বানানো আরম্ভ করেছেন করোনার রোগীদের জন্য। তবে ভেন্টিলেটর এর সাথে যখন কাউকে সংযুক্ত করা লাগে তার বেশীর ভাগ লোকই আর ভাল হয়ে ফিরে আসে না ৭০-৮০% ই রোগীই মৃত্যু বরন করে থাকেন...কিন্তু যখন প্রচন্ড শ্বাস কস্ট হয়, ভেন্টিলেটর কিছুটা হলেও অনেক কে বাচিয়ে তুলে...তবে একেকটা ভেন্টিলেটর এর দাম ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার (৮ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা- ট্যাক্স ছাড়া)....এত টাকা দামের ভেন্টিলেটর পৃথিবীর অনেক দেশের হাসপাতালেই পর্যাপ্ত পরিমানে নাই....বাংলাদেশে তো নাই ই ....(এটা পড়ে আবার মন্ত্রীর কথাকে টিটকারী করার ব্লগার এর অভাব নাই এই ব্লগে)
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকস্ট হওয়ার সাথে সাথে সবাই চেস্টা করে হাসপাতালে যেতে কিন্তু অনেক রোগীই ঘরে বসে ব্রিদিং এর ব্যায়াম করেই হাসপাতালে না যেয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন..এতে হাসপাতালের উপর যেমন চাপ কমছে, সেই ভাবে রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসা করা ডাক্তার নার্স রা বিপদ থেকে মুক্ত থাকছেন... তবে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার হাসপাতালে যাওয়া দরকার.....এটার প্রধান মার্কার ই হল আপনার শরীরে অক্সিজেন এর মাত্রা জানা....এটা না জানাতে সবাই তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভিড় জমায় ..তবে বাসায় বসে যদি অক্সিমিটার ইউজ করে আপনার শরীরের রক্তে অক্সিজেন এর মাত্রা মাপা যায় তাহলে আপনার মানসিক শক্তিও বাড়বে আর আপানকে অস্হির ও হতে হবে না হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য যদি অক্সমিটার বলে যে
Normal pulse oximeter readings usually range from 95 to 100 percent. Values under 90 percent are considered low।
বাজারে যদিও এখন অক্সিমিটার এর আকাল যাচ্ছে (আমি অর্ডার করেছি ৩ সপ্তাহ আগে..এখনও পাই নাই), একেকটা অক্সিমিটার এর দাম মাত্র ২০-৩০ ডলার আর এটা আপনার আংগুলের মাথায় ধরলেই আপানের রক্তে অক্সিজেন এর পরিমান বলে দেয় (উপরের ছবি)...
তাই আমার মতে বাংলাদেশের ওয়ালটন কোম্পানী ভেন্টিলেটর মত কমপ্লেস্ক যন্ত্র না বানিয়ে কয়েক লক্ষ খুবই সিম্পল যন্ত্র- অক্সিমিটার বানালেই দেশের এই সংকট কালে অনেক উপকার হবে অন্তত হাসপাতালের উপর কিছু চাপ কমবে বলে আমার বিশ্বাস...আর মানুষ জন ও অস্হির হয়ে করোনা রোগকে আরো বাড়িয়ে তুলবে না। ব্যায়াম আর ডায়েট দিয়েই অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে শ্বাসকস্ট কে ম্যানেজ করা চেস্টা করা উচিত। তবে অক্সিজেন এর পরিমান কমে গেলে ই হাসপাতালে যাওয়া উচিত বলে মনে করি....সবার ঘরে ঘরে একটা করে অক্সিমিটার থাকা উচিত...একজনের থাকলে আরেকজন কে লোন দিলেও করোনা রোগীর উপকার হবে...
এখানে দেখুন এর উপকারিতা
Oximeter used to foretell severity of coronavirus
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫২