এরপর থেকে জানিনা কোনো নিশির ডাক তাড়িত হয়েই হয়তো বা, কারনে অকারনে নানা অজুহাতে ঐ টিনের ঘরে আমার নিত্যদিনের যাতায়াত শুরু হলো।ঐ নোংরা ঘরটাই হয়ে উঠলো আমার পরম প্রিয় শান্তির আশ্রয়।আমার সমস্ত দুঃখ যাতনা আনন্দ বেদনা অতি গোপনে ইন্দ্রের সঙ্গে একান্তে ভাগাভাগি করে নিতাম।ইন্দ্রই হয়ে উঠলো আমার জীবন যৌবনের চালিকা শক্তির একমাত্র নিয়ন্তা।আমার যে কোনো সমস্যা সে এক মূহূ্র্তে করে দিত সমাধান।
কিন্তু তার মনের অতল তলের গভীরে আমি ডুব দিতে ব্যর্থ হলাম।তার জীবনযাত্রা দিনদিন আমার কাছে কেমন যেন দুর্বোধ্য হয়ে উঠতে লাগল।ওকে আমি স্বাভাবিক তথাকথিত সভ্য সমাজের ব্যবহার্য্য কিছু বিলাস সামগ্রী আমি উপহার দিয়েছিলাম এবং সে তার চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে সে সব ব্যবহার করে আমাকে চমকে দিয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎই একদিন তার মনে হলো আমি নাকি ভালবাসা নামক অভিনয়ের আড়ালে তাকে আমূল বদলে দেবার আয়োজনের ষোলো কলাই পূর্ণ করেছি।বনের গাছকে বনসাই বানালে তার স্বকীয়তা নষ্ট হয় ।হলফ করে বলতে পারি এই ধরনের বিন্দুমাত্র কোনো পরিকল্পনা আমার কস্মিনকালেও ছিলনা।আমার ভালবাসা তার কাছে একটা অতিরিক্ত বোঝা হয়ে উঠল।সে কেমন যেন আমার থেকে নিজেকে আড়াল করে দিতে শুরু করল।বুঝলাম কোথাও অজান্তেই একটা বিশাল ভুল হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



