জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ৷ ইমিগ্রেশন সেকশন ৷ যাত্রিরা অনেক ৷ একাধিক লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে তারা ৷ হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ৷ লম্বা লাইন ৷ আমার ডান পার্শ্বের লাইনটির পিছনের দিকে এসে দাড়িয়েছে - এক দীর্ঘান্গী শ্বেতান্গ ৷
কাউন্টারে চেকাররা যাত্রীদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে ‘ছাড়’ দিচ্ছে ৷ এই কাউন্টারগুলোর পিছনে দাড়িয়ে এক কর্মকর্তা তদারক করছেন ৷ কোন সমস্যা দেখা দিলে তার তাৎক্ষনিক সমাধান বলে দিচ্ছেন ৷
যাত্রীদের আধিক্য পরখ করার উদ্দেশ্যে চোখ ফেরাতেই ঐ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো শ্বেতান্গের প্রতি ৷ হেটে চলে গেলেন তার কাছে ৷ লাইন থেকে বের করে নিয়ে এলেন তাকে উক্ত লাইনের একদম পুরোভাগে ৷ দাড়িয়ে থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা করায়ে তাকে দেখিয়ে দিলেন ওয়েটিং রুমের গতিপথ ৷
কর্মকর্তার এহেন কর্মকান্ড দেখে আমার মনটা একটা তীব্র ঘৃনায় বিষিয়ে উঠলো ৷ এ কাজটি দ্বারা একদিকে তিনি বাংলাদেশীদের মর্যাদাকে হেয় করেছেন অপরদিকে উক্ত বিদেশিকে জানিয়ে দিলেন - শ্বেতান্গদেরকে এখনও আমরা উন্নত মানব হিসেবে সম্মান করি (!) সেদিন তিনি নিজের মর্যাদাকেও যে হেয় করেছিলেন সেটা অনুধাবন করতে পারছিলেন কি না জানি না ৷
বহু বিদেশ ঘুরেছি ৷ কোথাও কাউকে এমনটি করতে দেখি নেই ৷ সর্বত্র দেখেছি আগে আসলে আগে যাবেন - এই নিয়ম ৷ অদ্যাবধি যে প্রশ্নটা আমাকে নিরন্তর বিব্রত করে তা হোল - আরো কতদিনে আমাদের এই হীনমন্যতাবোধ দূর হবে এবং কবে মনের দিক দিয়ে আমরা উন্নতমনা হবো ৷

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



