মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জরিপে
২০০৮ সালে ১৭৫ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও ২০০৯
সালের অক্টোবরেই এ সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। সেনা হেফাজতে মারা গেছে ৪৭ জন। রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এ সময়ে ১৭৫ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি ৩ জন নিহত হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ৪৩৯ জন নারীর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৬২ জনকে।
২০০৯ সালে আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি চোখে পড়েনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ২০০৯ সালে এসে অনেকাংশেই স্তিমিত হয়ে পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরওসরকারের গত এক বছরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। বলেছেন, দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর করতে সরকার আরো কঠোর হচ্ছে। আত্মীয়-স্বজন কিংবা নিজ দলের কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাকেও কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডায় জসীম উদ্দীন ইনস্টিটিউটের ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) তুলনায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের গত এক বছরে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতির আরো উন্নতির জন্য সবার সহায়তা কামনা করেন তিনি।
সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে সাহারা খাতুন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার দলেরও কেউ জড়িত থাকে তবে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। কথা পরিষ্কার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমার আত্মীয়-স্বজন জড়িত থাকলে তার ক্ষেত্রেও সরকার কোন অনুকম্পা দেখাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



