এক আপাকে চিনি।খুবই মাই ডিয়ার প্রকৃতির এবং আশেপাশের সব মানুষের উপকার করার জন্য উদগ্রীব থাকেন সবসময়।যারা যারা উনার কাছ থেকে উপকার পেয়েছেন সবার জীবনই কম-বেশী ধন্য হয়েছে।
মনে করুন উনার বান্ধবীর বাচ্চা জন্মের পর-পরই মারা গেল।তো,এই আপা সেই বান্ধবীর শশুরবাড়ির লোকজনের সামনে সমবেদনার সুরে হয়তো বলে বসলেন-
'আহারে,বেচারার কপালটা কত খারাপ দেখসেন,বিয়ার আগে একটা বাচ্চা হইলো সেটাও মারা গেলো আর এখন বিয়ার পরেরটাও মারা গেল।ইয়া আল্লাহ,তুমি এই মেয়েটার সাথে এ কোন খেলা খেলছ?'
এরকম বন্ধু থাকলে আপনার আর শত্রু লাগবেনা এটা গ্যারান্টেড।
আর এক পরিচিত ভাবি আছেন,ওনার আবার 'শো অফ' করা মানুষজন একদমই পছন্দ হয়না।হয়তোবা কোন অনুষ্ঠানে দেখা হল।বলবেন,'দেখলা,গুচ্ছের সব টাকা খরচ করে এত মানুষ দাওয়াত করে খাওয়াচ্ছে।মানুষকে দেখানোর জন্য যে এত টাকা খরচ করলি সেটা কি আর আমরা বুঝিনা?
আচ্ছা তুমিই বল,তোমার ভাইয়ের যে পরিমান টাকা-এরকম দু' চারটা অনুষ্ঠান তো আমরা চাইলে প্রতি মাসেই করতে পারি,পারি কিনা বল?'
-জি ভাবি,অবশ্যই পারেন।
এই বয়সে যেই কাপড়-চোপড় গুলা পরসে,এইগুলা তারে মানাইসে বল? টাকা থাকলেই হয়না,রুচি ও থাকা লাগে।
-জি ভাবি।
আমার ওয়ার্ডরোব এর কাপড় দেখলে তো এই বেটি আমার সামনে আর কখনো কাপড় পরেই আসার সাহস করবেনা।
-থাক ভাবি তাইলে আর দেখানোর দরকার নাই।শেষে একটা কেলেংকারি অবস্থা হয়ে যাবে।
তো এই ভাবির কল্যানে আশেপাশের পরিচিত সবারই ভাইয়ার টাকা-পয়সার পরিমানের ব্যাপারে একটা ধারনা হয়ে গেছে।উনি তো আর জানাতে চান না-মানুষজনের অকারন 'শো অফ' করাটা পছন্দ হয়না জন্যই বাধ্য হয়ে জানাতে হয়।
এই দুইটা ঘটনাই আসলে মানুষের পিছে 'চুকলি কাটা' বা 'বিচিং করা'র মডার্ন এবং স্মার্ট একটা পথ।
এ প্রসংগে চে গুয়ে ভরা বলেছেন,'বিচিং করা বিপ্লবেরই অংশ'।(কবে আর কোথায় বলসে এটা জিগাইয়েননা প্লিজ)
ডিসক্লেইমার:
উপরের দুইটা ঘটনাই সম্পুর্ন কাল্পনিক।জীবিত অথবা মৃত কারো সাথে পুরো অথবা আংশিক ঘটনা মিলে গেলে কমেন্টে বা বাস্তবে মুখোমুখি হলে ঘ্যান-ঘ্যান না করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



