-এখন কি আর আগের মতো চড়ুই পাখি দেখা যায়?
-নাতো ভাই,আমি তো এখন আর কাক ছাড়া কোনো পাখি-ই দেখিনা। আসলে কাক ও তো এখন আর দেখা যায়না।
-তুই কি জানিস,চড়ুই পাখিগুলো হারিয়ে যাওয়ার পিছনে যে মোবাইল রেডিয়েশন দায়ী?
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম,হায়াল্লা,বলেন কি?এই বাচ্চা-বাচ্চা চড়ুইগুলা মোবাইল কোম্পানির কী এমন ক্ষতি করলো কাশেম ভাই? মোবাইল রেডিয়েশন দিয়ে এদেরকে এইভাবে গুম করার মানেটা কি? এই ঘটনার সাথে আমার মনে হয় র্যাবের একটা হাত আছে ভাই,মোবাইল কোম্পানির টাকা খেয়ে রেডিয়েশন দিয়ে চড়ুইগুলা গুম করে ফেলতেসে।
কাশেম ভাই মন খারাপ করে বললো,তোদের মতো অশিক্ষিত মানুষদেরকে কিছু বলাটাই ঠিকনা।বলি একটা আর বুঝিস আরেকটা। কিসের মধ্যে কি ঢুকাইলি! আমি বলছি বিজ্ঞানের কথা আর তুই এর মধ্যে র্যাব,গুম এগুলো ঢুকায়ে দিলি?
'স্যরি ভাই,আগে যদি একটু ঈঙ্গিত দিতেন যে এইটা হইলো বিজ্ঞানোলচনা তাইলে বুঝতে সুবিধা হইতো।' মাথা চুলকাতে চুলকাতেই বললাম,'আরেকটু বিজ্ঞানের কথা বলেন ভাই,এখনতো কেউ আর আগের মতো বিজ্ঞানালোচনা করেনা।সেই যে ছোটেবলায় শিখসিলাম, পৃথিবী সূর্য্যের চারপাশে ঘুরে এরপর থেকে আমার জীবনে আর কোনো বিজ্ঞান পাই নাই।'
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললাম,'বিজ্ঞানও যে এভাবে গুম হয়ে যাবে সেটা আগে জানলে কিছু বিজ্ঞান শিখে রাখতাম,এখন কাজে লাগতো।আপনার কথাগুলা বুঝতে সুবিধা হইতো।বলেন ভাই, বিজ্ঞানের দোষটা কি,বিজ্ঞানকে কেনো এইভাবে গুম হইতে হইলো?'
কাশেম ভাই এবার রেগে গেলেন।চোখ-মুখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন,বুঝা যাচ্ছে অসম্ভব রেগে গিয়েছেন। তারপর কিছু না বলে বসা থেকে উঠে হাঁটা ধরলেন।
হঠাৎ করে উনার রেগে যাওয়ার কারনটা ধরতে পারলামনা। বিজ্ঞান নিয়ে আমার আগ্রহে তো কোনো ঘাটতি ছিলোনা এবার।চড়ু্ই,বিজ্ঞান,মোবাইল রেডিয়েশন কোনটার উপর জোর দিলে যে উনার রাগ পানি হবে,সেটাও বুঝতে পারছিলামনা।
দু'দিন পর কাশেম ভাইয়ের সাথে আবার দেখা।কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বললাম,ভাই বিজ্ঞান শিখতে আসছি।ওইদিন তো ঘটনাটা শেষ করলেন না। গ্রামীন ফোন যে এইভাবে মোবাইল রেডিয়েশন দিয়ে চড়ুই গুম করে ফেলতেসে এটার তো একটা বৈজ্ঞানিক সমাধান দরকার,কি কন?
কাশেম ভাই এবারো কোনো কথা না বলে অন্যদিকে হাঁটা শুরু করলো।আমিও হাল না ছেড়ে উনার পিছে পিছে হাঁটা ধরলাম।অনেকদিন তো অশিক্ষিত থাকলাম,এবার একটু বিজ্ঞানটা শিখা দরকার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



