আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্ত আমাদের প্রবাসীদের অবদানের যথার্থ মূল্যায়ণ হচ্ছেনা। আমাদের গৌরবময় অতীতের আলোকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যত রচনার জন্য প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। েেত্র লেখকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের বিজয় দিবসের দু’দিন ব্যাপী কর্মসূচীর সমাপনী দিবসে ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। কেমুসাস সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কেমুসাস সাহিত্য আসর কে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা সভায় অংশ নেন এডভোকেট আজিজুল মালীক চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সিদ্দিকী(অবসরপ্রাপ্ত),জাহেদুর রহমান চৌধুরী, মীর্জা মোঃ রাজা মিয়া। কেমুসাস’-র সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সেলিম আউয়ালের পরিচালনায় সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জসীম আল ফাহিম।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন,কুটনৈতিক সমর্থন আদায়ে ভুমিকা পালন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজো প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন। কিন্ত তাদের যথার্থ মূল্যায়ন হচ্ছে না,তাদের মূল্যায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এডভোকেট আজিজুল মালিক চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা আশা করছি অচিরেই ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠকদেরকে জাতীয়ভাবে বীরের মর্যাদায় সংবর্ধিত করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদান মূল্যায়ন হয়নি। অনেক ত্যাগী আছেন যাদের কথা আমরা জানিনা। যুক্তরাজ্যে প্রধানত: সিলেট অঞ্চলের মানুষই মুখ্য ভুমিকা পালন করেছেন। সিনিয়রদের পাশাপাশি সেইদিনের তরুন শিার্থী রিজিয়া খাতুন, আবদুল হাই খঅন একটানা ৭২ ঘন্টা অনশন করেছিলেন আমরা তাদের কথা ভুলতে বসেছি। সেইসব ত্যাগী মানুষের কথা তুলে ধরতে তরুন লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



