৩২ জনের মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ করলো গত মঙ্গলবার। এর মধ্যে ২৮ টি নতুন মুখ। এবারই মনে হয় এত বেশী নতুন মূখ নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠিত হলো। এটিকে অভিজ্ঞমহল ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। বলছেন নতুনরা বরাবরই ভালো কাজ করেন। এটি জোট সরকারের প্রাক-নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত কর্মসূচী বাস্তবায়ন সহজতর করবে। শেখ হাসিনা মন্ত্রী পরিষদ গঠনে এবার সাহসী ভূমিকাই গ্রহণ করলেন। প্রবীণ পন্ডিতদের বাদ দিয়ে গঠন করলেন মন্ত্রী পরিষদ। কারো সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির তোয়াক্কা করেননি। বাংলাদেশের জনগনও মন্ত্রী পরিষদে নতুন মূখ দেখে স্বস্তিবোধ করছেন। ’পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’ এ কথা সত্য হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বেলায় এ প্রবাদটি একেবারই অকার্যকর। অতীতের ইতিহাস তা-ই বলে। আওয়ামী লীগ’র প্রবীণ নেতাদের নিয়ে এমনিতেই অভ্যন্তরীন অসন্তুষ্টি দীর্ঘ দিনের। এবারের মন্ত্রী পরিষদ গঠনের মাধ্যমে পুরনো রাহুর কবল থেকে দেশ রক্ষা পাবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু কে মন্ত্রী পরিষদে না রাখায় ওই দুই দলে এবং চট্টগ্রাম’র ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বিএসসি কে না রাখায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ বিরাজ করছে। নতুন মন্ত্রী পরিষদ যথাযথ দায়ীত্ব পালনে পারঙ্গমতার স্বাক্ষর রাখলে এ ধরনের অসন্তোষ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বিরোধী দল বিএনপি নতুন সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। কথা এবং কাজে মিল থাকলে বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে দ্বিতীয় সরকার’র মর্যাদায় অসীন হবে। কেননা একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দল উন্নয়ন সহযোগী এবং ছায়া সরকারের দায়িত্ব পালন করে। অতীতে বাংলাদেশের কোন বিরোধী দলই তার এই পরিচয় তুলে ধরতে পারেনি। বিএনপি এবার সে সুযোগ নিতে পারে। এটি তার বর্তমান অবস্থানের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জোট সরকারের সম্মুখে অনেক কাজ। এ মুহুর্তে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক কারণে আলোচনায় তুঙ্গে। এ কাজটি করা নতুন সরকারের জন্য জনগনের কাছে একটি পরীক্ষা। এটিতে ফেল করা জনগন মানবেনা। আবার রয়েছে মানুষের মৌলিক চাহিদার বিষয়টি। অতএব নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এখন সবার দৃষ্টি প্রত্যাশা বাস্তবায়নের দিকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



