সন্ত্রাস ঠেকাতে ’সাউথ এশিয়ান এন্টিটেররিস্ট টাস্কফোর্স’ গঠনের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নানা দিক থেকে। এ উদ্যোগের ফলে দক্ষিন এশীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি প্রশাসনিক যোগ-সূত্র তৈরী হবে। বিশেষ করে অপরাধ প্রবন দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের ঘাটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে। প্রধানত এ অঞ্চলে বিরাজিত জঙ্গিবাদ নির্মূলে এধরনের যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। মনে রাখতে হবে জঙ্গিদের কোনো দল, বর্ডার,সীমারেখা নেই। কোন ধর্মও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। এসব জঙ্গিবাদীদের মূলোৎপাটনে যা যা করা দরকার তা করতে বাংলাদেশ সরকার এ টাস্কফোর্সকে অত্যন্ত জরুরী মনে করছে। এ বিষয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগও করছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। স¤প্রতি বোম্বেতে ঘটে যাওয়া হামলার কারনে ভারতও এরকম কিছু করার কথা ভাবছে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এখনো বাকযুদ্ধ চলছে। দু’দেশের উচিত হবে সমঝোতার ভিত্তিতে আপরাধ দমনে দ্রুত প্রস্তাবিত টাস্কফোর্স গঠন করা। এতে করে দু’দেশের নিজস্ব দায়িত্ববোধ তৈরী হবে আপরাধ নির্মূল বিষয়ে। কোন দেশ ইচ্ছে করলেই অভ্যন্তরে কোন সন্ত্রাসী চক্র লালন করতে পারবে না। কেননা টাস্কফোর্স টি গঠনের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্ত প্রত্যেকটি দেশেরই জবাবদিহিতা তৈরী হবে। নিজ নিজ দেশে অপরাধ নিমূল বিষয়ে প্রত্যেকটি দেশেরই জোরালো উদ্যোগ থাকবে। এতে করে নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিত করার সাথে সাথে তৈরী হবে অপরাধ মুক্ত দক্ষিণ এশিয়া। টাস্কফোর্স টি গঠিত হলে প্রতিটি দেশের মধ্যে তৈরী হবে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরন। বিশেষত কোন একটি দেশের পার্শ¦বর্তী দেশেই অবস্থান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র। সে হিসেবে ফোর্স গঠনের মাধ্যমে পার্শ¦বর্তী দেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী হলে বড় ধরনের এ আশংকা থেকেও একটি দেশ রক্ষা পাবে। অতএব বাংলাদেশ সরকার তথা দক্ষিণ এশিযার দেশগুলোর উচিত অচিরেই ’সাউথ এশিয়ান এন্টিটেররিস্ট টাস্কফোর্স’ গঠন করা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



