জীবনে পাইনি এমন নয়। মনে মনে আকাঙ্খা করেছি, পেয়েওছি। কিন্তু যথাসময়ে ধৈর্য সাপেক্ষে মন নিয়ন্ত্রণ করে লেগে থেকে কাজ উপভোগ করাটা মিস করেছি প্রায়ই। এটা অভ্যাস করতে চাই। করব। কারণ স্কুল ও কলেজ জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েছি। বন্ধুদের সঙ্গ মিস করেছি কেবলমাত্র যোগাযোগের হীনমন্যতা থেকে, অর্থাৎ বন্ধুবান্ধব তেমন একটা জুটেনি নিজের অর্ন্তুমুখিনতার কারণে। এসব থেকে বের হয়ে আসাটা নিতান্ত জরুরী।
আমার মা চিরকাল আমার বাপের নামে কুৎসা বলে বলে কান ভারী করে এসেছে। বাপ অপদার্থ একটা মানুষ। আধা-সরকারী একটা অফিসের কর্মকর্তা বটেন কিন্তু ভীতু একটা জীব। কথায়, কাজে কিম্বা ভাবে, ভঙ্গিতে ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে অপারগ। আমি তাদের বড় ছেলে তাদের করুক্ষেত্রে উলুখাগড়া হয়ে বেঁচে থেকে থেকে যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়েছি নিরুপায়ভাবে। বাহিরে কারো সঙ্গে সখ্য করতে গেলেই মনে হতো এই বুঝি এরা আমার বাবা-মা’র মান অপমানবিহীন সংসারের কথা জেনে গেল! বাবা-মা’র মান সম্মানহীন সম্পর্কের সংসার ক্ষেত্রে আমি একটা চির অপরাধী হয়ে, জগতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, নতজানু হয়ে চলতাম।
আজ বুঝেছি জীবন যার যার তার তার। বাবা-মা তাদের কুরুক্ষেত্র নিয়ে মাতোয়ারা। সন্তানের দিকে তারা তাকাচ্ছে না। সন্তানের কষ্ট বুঝছে না। অর্থাৎ তারা তাদের ঝগড়াময় জীবনটাকে ভালই উপভোগ করছে! তেমন সিরিয়াস হলে এতদিনে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যেত। যায়নি যখন তখন বুঝতে হবে ওটাই তাদের দাম্পত্য স্টাইল। ঝগড়াতেই তাদের সুখ! ওতেই তাদের চরম পুলক!
নির্বোধ আমিই। শিশুকাল থেকে আমি ভেবে এসেছি বোধ হয় আমার কোনো দোষের কারণেই বাবা-মার মাঝে গন্ডগোল চলছে। শিশুরা চিরকালই আত্মকেন্দ্রিক হয় কি-না! তাদের সম্মানহীন কথাবার্তা আর ঝগড়ায় পরিবেশ দূষণের কারণে আমি কেন জগতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে, হীন, নতজানু হয়ে থেকে জীবনের এতটা বছর, সুন্দর একটা প্রাপ্তিযোগ্য জীবনকে মিস করলাম? ভবিষ্যত যা সামনে আছে তাতে আর ভুল করব না..................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




