(কদম্ববৃক্ষসখা স্বঘোষিত এক শ্রীকৃষ্ণের কল্পপ্রেমে বাধা পড়তে গিয়ে
কোন এক পাহাড়ি শ্রীমতি রাধার শিকে না ছেঁড়া সত্ত্বেও চাটগাঁ মহকুমার
ননদিনীর হাটের ব্রাম্মনপাড়ায় মৃত্তিকানির্মীত অরুপসাগর বেদিতে
চারকোলে কে বা কারা লিখিত বিচ্ছিন্ন লোকশ্রুতির সমন্বিত কাব্যরুপ)
তুমি কি আমারে চাতক বানাও,
নাকি নিজেই চাতক হয়া যাই মেঘ দেইখা আসমানে!
আমারে মেঘপংখী কইরে কি লাভ তোমার শ্রীমতি রাধা?
নাকি আমিই বুঝিনা মেঘপংখী হওনের নিদারুন
যন্ত্রনা, কি জানি, তবু...
এখোন এইভাবে বরং ভালা থাকি,
মাঝে-মইদ্দে সাধারন জল খায়া তেষ্টা মজাই,
তাই কই আমারে চাতক না বানায়া ভাসায়ে
দ্যাও পদ্মদিঘির জলে, তবু, সেই ভালা
বাঁইচা থাকি পদ্ম-পানা মাখামাখি...
বরিষন-জাতক হইলে কই পামু মেঘের জল শ্রীমতি রাধা?
অই পাড়ার আবেদীন, বন্ধু ফখরা- অরা ব্যাবাকতে
পাইলো মেঘ, দেখা হইলেই অরা মেঘ না চাইতে
বৃষ্টির গপ্পো শুনায়...আর আমি...
কি সাধে যে ক্যান একদিন ভুল কইরা তোমার
কালা কেশ পানে তাকাইছিলাম,
ক্যান যে সিঁথিরে ভাবছিলাম রংধনু,
ক্যান যে তোমারে কইছিলাম আমারে মেঘ দ্যাও শ্রীমতি রাধা...
এক বড়ো পোকা য্যান পরান খায় কুঁইড়া কুঁইড়া,
হাঁড়-মগজ-চামড়ায় য্যান কালশিট্টা দাগ ঘুর্নিবাতাসের...
নাকি আমিই চাতক হয়া যাই মেঘ দেইখা আসমানে,
নয়তো কালা বরন মায়ায় যে মেঘ থাকে তা ক্যামতে
জানুম আমি, তোমার আঁচে য্যান পুইড়া যায় শইল আমার...
তবু আঁজলা ভইরা মেঘজল ঢালতে গিয়া ছলে উস্কায়া
দিলা আংরার আগুন, অনভ্যাইসা পোলা ক্যামতে জানবো
আংরার শোধন কি কইরে হয়?
সুমায় পার করনের আপন আপন মাইনষ্যার এই দুইন্যায়
কেউ কিছু হয়া গেলে কারো কিচ্ছু যায়-আসেনা...
তবু চাতক হয়া যাই, আমার এই চাতকরুপ ক্যামতে
বুঝাই তোমারে শ্রীমতি রাধা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





