কতিপয় হরিনী-মীন তাড়না
ঘ
যেমন আমাকে খুন করে ফেলে জনৈক উদ্ভিদ
এই অমীমাংসিত বিকেলে
যেমন গিলে যাচ্ছি ঋন করা ঘুম
অনির্দিষ্ট যামিনি ক্ষয়ে
খরুচে স্বভাবটাও বেচে দেবো একদিন
খুন হবো ভেবে উদ্ভিদ সমীপে
গ
কি হবে কি হবে হরিনী
কালো রংটা পরাবৃত্তাকার সংলাপে
ডেকে যাচ্ছে এই মৈথুন সন্ধ্যায়
ব্যাকবেঞ্চার মিঠু কোনদিনই বুঝে নাই
পাগলা রফিকের ক্লাস, তাঁর মগজে
তোলপাড়-তান্ডব খেলে ফিরোজা চাপকান
আমি জানি, মৈথুনলাগা সন্ধ্যায় ঘাই হরিণ
মেলে ধরে নিজস্ব কস্তুরি বাগান
কি হবে কি হবে হরিনী
আমার মহুয়া বাগান...
নিজস্ব মদিরাদানী...
মঞ্জুমুখি পেয়ালা...
খ
মীনজাত ত মৃগীস্বভাবী না
পিছল বটে জানি...
হস্ত-ব্যাকরণে ব্যাপক কাঁচা তাই
ছিপ ফেলে অপেক্ষায় থাকি দিনমান
কিন্তু মীন ত টোপও গিলবে না!
জানি ত মীন
খায় নাই কিছু বহুদিন
ক্ষুধার্তটা ক্যান তবে
মৃগী-চাতুরি খেলে বড়শী-টোপে?
নাকি জানে মীন...
আমি যা ভাবি
সে অত বোকা নয় আসলে!
হয়তো মীন জানে
টোপগেলা বহু মাছের দল
আর কোনদিন ফিরে আসে নাই জলে!
তাকে কি তবে বলে দেবো, টোপ
গিলেও তুই থেকে যাস জলে
ডাঙ্গার স্বভাব রক্তঝরা থেকে
মধুক্ষরা হলে একদিন...
উঠে আসিস, আমারে ভাবিস...
ক
বৃশ্চিক ভয়ে জলে ডুবেছিলাম এতোকাল
অথবা ভয় নয়, দুরাশায় বেঁধেছিলাম স্বপন
জলসন্তরনে একদা পদ্মদল আড়ালে
উঁকি মেরে দেখি জ্বলজ্বলে মীনাক্ষী-একা
বুকে চাপ চেপে রেখে এফোঁড়-ওফোঁড় সন্ধ্যা
অস্থিরতার বৈঠায় লাগায়ে আদিরস-ভাবনা-বায়ু
অদ্ভুত বসন্তানুভবে ঘুরে ফিরি জলাধার-
এই আকাল ঋতুর কালে।
মীনজাত বড় চতুর বটে...
পেখমে মজে নাই
টোপ গিলে নাই
মর্দগন্ধে মীন শরীর এলায় নাই
তাঁর বেণী কুসুমের যাচিত ক্ষরণ ঘটে নাই
অনেক অনেকদিন পর, কিছু তাড়না নিয়ে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





