হাসপাতালে ঘাসকাটা
আমাকে কেবলই বিভ্রান্ত করছেন আপনারা
এই যে মিস ডাক্তার
এই যে মিস সেবিকা
নীলাভ সফেদ এপ্রন ভেদ করলেই
জোনাকির বদলে বেরুচ্ছে শত ফিনাইলগন্ধী পোকা
অন্য আকাশ পেতে তাকায়ে থাকি বিহ্বল হদ্দবোকা
এই যে মিস ডাক্তার
এই যে মিস সেবিকা
আপনাদের কেউ কখনো খোঁপার ভাঁজ খুললেই
জেসমিন ফুলের সুবাস পাবো ভাবি
অতোদুর থেকে ঠাহর করা যায় না- কেবলই অন্ধকার-
ঘুলঘুলি-সিরিঞ্জ এম্পুল ব্যান্ডেজে ঠাসা
এই যে মিস ডাক্তার
এই যে মিস সেবিকা
হাসপাতালই কি আপনাদের একমাত্র আকাশ?
অন্য আকাশে বুঝি উড়েন না কখনো?
আমাকে কেবলই বিভ্রান্ত করছেন আপনারা...
কলি’কে নিয়ে টুকটাক
আমার বাসনা আমি কলি'কে নিয়ে কবিতা লিখবো না। কবিতাই লিখতে হবে কেন? একটু টুকেও তো রাখা যেতে পারে! টুকে রাখাটা কবিতার নোট কিংবা সুত্র হোক তাও আমি চাই না। অথচ বারবার কলি ত্রিপুরা কবিতা হয়ে উঠছে, এ রথ থামানো যাচ্ছে না, পাহাড়ে গিয়ে ঠেকছে। আর জিজ্ঞেস করছে 'তুমিও কি মদ বানাতে পারো? তোমার মায়ের মতো?' সে তখন উনিশ, সে গুপ্তবিদ্যাটা জানে। সে পায়াভাংগা পিড়িতে বসতে বলে ঘরের কিনারে, সে প্লাস্টেিকর মগ থেকে স্টিলের গ্লাসটায় ঢালে গুপ্তজ্ঞান।
হায়, কাকে ভাববো? কাকে লিখবো? শরীর? শরাব? নিঃশব্দ বয়ান?
বৃত্তকুসুমের ওম
বৃত্তকুসুমের ওমে জমে ক্ষীর হবে পলাতক শশী
এমত ভেবে পেতে রাখো নিষিদ্ধ ঘুমসভা
সঘন কোষে বিষ পুষে ডাকো নিষ্ঠুর ওঝা
হে নিশিকুটুম্ব মেঘ, আসমানে থাক শান্তি জারী
ত্রাসের কালে তারে না বান্ধিয়ো মেঘপিঞ্জরে মম
ওমে মজে বেখেয়াল কামড় তব কুসুমিত অগ্নিসম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





