মোবাইলে ভালোবাসা এবং .....
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সবার জীবনে প্রেম আসে,তাইতো সবাই ভালোবাসে..। কথাগুলো একসময় পুরোপুরি বিশ্বাস না করলেও আজ আর কোন অবিশ্বাস নেই। আজ আমার জীবনে প্রেম এসছে এবং বিশ্বাস করি সেটা ঠিক সময়েই এসেছে। প্রেমে পড়ার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। কেউ স্কুল জীবনে,কেউ কলেজে আবার কেউবা পরিণত বয়সে। আমার স্কুল কিংবা কলেজ জীবনটা কেটে গেছে একান্ত একাকীত্বে। কাউকে ভালো লাগেনি কিংবা আমি যেমনটি চাই তেমন কারো দেখা না পাওয়ায় অথবা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বেড়ে উঠায় হয়তবা তেমন কিছু গড়ে উঠেনি। শেষ পর্যন্ত জীবনের 25তম বসন্তে একজনের দেখা পেলাম যে কিনা শুধু মাত্র আমার স্বপ্নে সাজানো ছিল। মনের রঙে রাঙানো সে মানসীর নাম 'পাখা'। পাখার সাথে আমার পরিচয় কিছুটা ব্যতিক্রম ধরনের। একদিন কোন আড্ডাস্থলে পাখা'র উপর আলোচনা হচ্ছিল। আমি সে আলোচনার একজন শ্রোতা ছিলাম মাত্র। মূলত পাখা'র প্রতি আমার ভালোলাগাটা সেদিন থেকে। এ ভালোলাগা একান্ত অজানা ভালোলাগা। ফলে তাকে না দেখেও কেন জানি একটা প্রচন্ড টান অনুভব করতে শুরু করলাম। কিন্তু যাকে কোনদিন দেখিনি,যার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা তার সাথে যে কিভাবে যোগাযোগ করবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে তার এক পরিচিতের কাছ থেকে জানতে পারলাম তারা চট্রগ্রাম থাকে এবং সে চট্রগ্রাম কলেজে অনার্স 1ম বর্ষে পড়ে। এভাবে বেশ কয়েকমাস যাওয়ার পর একদিন তার ঐ পরিচিতের ডায়েরী থেকে তার বাসার ফোন নাম্বারটা যোগাড় করলাম। কৌতুহল বশে ফোনও করলাম। প্রথমদিন সম্ভবত সেই ধরেছিল। কিন্তু একজন অপরিচিতের সাথে যেমন ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনটিই করা হল অর্থাৎ 'রং নাম্বার' বলে লাইন কেটে দিল। এরপর থেকে আমি প্রায়ই ফোন করতাম। কখনো সে,কখনোবা তার মা আবার কখনোবা তার বোনরা ধরত। কিন্তু কখনোই কিছু বলা সম্ভব হয়নি। এভাবে কেটে গেল প্রায় একটি বছর। একদিন জানতে পারলাম আমার বাড়ীর পাশের এক ছোট ভাইয়ের কাছে পাখা'র মোবাইল নাম্বার আছে। কিন্তু কোনক্রমেই মোবাইল নাম্বারটা নিতে পারলাম না। শেষে কিছু কৌশল খাঁটিয়ে তার নাম্বারটা যোগাড় করলাম। নিজ কর্মস্থল ঢাকায় এসে প্রথমে নিজ নাম গোপন করে তাকে এস.এম.এস দিই। একটা বা দু'টো নয়,বেশ কয়েকটা দেয়ার পর তার উত্তর পেলাম। এভাবে এস.এম.এস বিনিময় এবং ফোনালাপের মধ্য দিয়ে একে অপর সম্পর্কে জানাজানি হয়। জানতে পারি সে আমাদের একই গ্রামের মেয়ে এবং খুব ছোট থেকে চট্রগ্রাম বসবাস করছে। ফলে একসময় তাকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিই। প্রথমদিকে না' করলেও পরে অবশ্য তার বন্ধু হিসাবে স্বীকৃতি পাই। বন্ধুত্ব পরবর্তী সময়ে তার আচার আচরণ,আমার প্রতি তার আন্তরিকতার ধরণ সর্বপরি তার প্রতি আমার পূর্নাঙ্গ আকর্ষন থেকে ভালোলাগাটা একসময় ভালোবাসায় পরিণত হয়। এবছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রাক্কালে এস.এম.এস এর মাধ্যমে ভালোবাসার কথাগুলো তাকে প্রকাশ করেছি। সে বুঝেনি অথবা না বুঝার ভান করেছে। শেষে ভালোবাসার সকল শক্তি দিয়ে একদিন তাকে সরাসরি কথাগুলো বলে পেলি। হাজারো সমস্যা সে উপস্থাপন করলো। কিন্তু ভালোবাসা কোন সমস্যা মানেনা। অনেক যুক্তি তর্কের পর সে আমার ভালোবাসাকে মেনে নিয়েছে। আমরা দু'জন কেউ কাউকে দেখিনি। বাংলা ছবি হঠাৎ বৃষ্টির কাহিনীর মতই মূলত আমাদের প্রেম চলতে থাকে সম্পূর্ণ সরল বিশ্বাসের উপর। আমার সারাজীবনের জমানো ভালোবাসাগুলো আমি শুধু পাখা'কেই দিয়েছি। যে ভালোবাসা তৈরী হয়েছিল গোপনে। আজ আমি তাকে ভালোবাসি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে। তার সাথে একদিন ফোনালাপ না হলে আমার রাতের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে যায়। বয়সটা আবেগের না তথাপি ভালোবাসার যে আবেগ তা থাকবেই। আমি বিশ্বাস করি সেও আমাকে অনুরুপ ভালোবাসে। যদি না বাসে অথবা যদি কোনদিন হারিয়ে যায় তবে আমার হৃদয় আগুনে পুড়ে চারখার হয়ে যাবে। আমি হারিয়ে যাবো ধ্বংসের বসতবাড়ীতে। তার চেহারার প্রতি আমার বিশেষ কোন আকর্ষন নেই এবং তাকে স্বচোখে দেখারও বিশেষ কোন ইচ্ছা জাগে না। আমি শুধু তার মনটাকে অনুভব করেছি এবং সারাজীবনের জন্য তার মনটাকেই একান্ত আপন করে পেতে চাই। আমাদের প্রেম যেহেতু সৎ ও সরল বিশ্বাসে গড়ে উঠেছে সেহেতু আমি তাকে পাবো। এ বিশ্বাস আমার আছে এবং বিধাতার কাছে এটাই আমার প্রার্থনা। আর স্বপ্ন সাফল্যের সে দিনের প্রতীায়--
জীবন রহমান
ফকিরাপুল,মতিঝিল,ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!...
...বাকিটুকু পড়ুনষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural...
...বাকিটুকু পড়ুন
আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু...
...বাকিটুকু পড়ুন
কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;...
...বাকিটুকু পড়ুন