somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যু

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যু (প্রথম পর্ব)

মুআম্মার আল-গাদ্দাফী


মৃত্যু কি পুরুষ না নারী ?.. আল্লাই জানে। তবে প্রাচীন জাহেলী কবি তারাফা বিন আব্দ মনে করেন মৃত্যু পুরুষ। আর 'আধুনিক জাহেলী' কবি নাযার কবানী বলেছেন : মৃত্যু নারী। কারণ এই ছিলানী ডাইনীটাই তার বুক থেকে তার ছেলে 'তাওফীক' কে ছিনিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন ? মৃত্যু পুরুষ না নারী তা জেনে আমাদের লাভ কি ? মৃত্যু ত_পুরুষ হোক আর নারী হোক—মৃত্যুই। না.. ধারণাটা ঠিক নয়। অবশ্যই মৃত্যুর সেক্স বা লিঙ্গ নির্ধারণ করতে হবে। মৃত্যু নারী না পুরুষ সেটা জানা দরকার। যদি সে পুরুষ হয় তাহলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার সাথে লড়ে যেতে হবে। আর যদি ও' নারী হয় তাহলে তার কোল-বন্দীত্ব মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

ভাষাগতভাবে মৃত্যু কিন্তু কখনো পুংলিঙ্গ কখনো স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এই বিষয়ে আমার নিজেরও একটা মত আছে : মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে মৃত্যু পুরুষ এবং সবসময় আক্রমণাত্মক, সে কখনো—পরাজিত হলেও না— রক্ষণাত্মক অবস্থান নেয় না। এবং মৃত্যু বেশ সাহসী এবং হিংস্র। তবে কখনো কখনো তাকে ভীরু ও প্রতারক হতেও দেখেছি এবং মানুষ যে মনে করে মৃত্যু অপরাজেয়, প্রতিটি আক্রমণে সফল, সেটা সঠিক না। মৃত্যু কোনো কোনো সময় ভীষণভাবে পরাজিতও হয়, লেজ তুলে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালানোর মত শোচনীয় অবস্থাতেও পড়ে। কোনো বীর পুরুষের সাথে লড়াইয়ে, মল্ল যুদ্ধে মৃত্যু হেরে গেছে, আহত-রক্তাত্ব হয়ে ক্রুক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে গেছ—এমন ঘটনা খুব বিরল নয়। কিন্তু মৃত্যু মার খেয়ে, আহত হয়ে একেবারে ধরাশায়ী হয়ে গেছে, আত্ম সমর্পণ করেছে বা প্রতিপক্ষের হাতে বন্দী হয়েছ— এমনটা কখনো ঘটে নি। এটাই হচ্ছে মৃত্যুর সবচেয়ে বিপদজনক দিক। এর ফলেই মৃত্যু সবসময় জীবনের বিরুদ্ধে জিতে যাচ্ছে।
মৃত্যুর রণকৌশল সত্যিই বিরল। মৃত্যু লড়াই করে সীমাহীন ধৈর্য্য এবং জয়ের ব্যাপারে—তার প্রতিপক্ষ যত পরাক্রমশালীই হোক না কেন—সম্পূর্ণ আস্থা নিয়ে। এমনকি সে যখন মাঝে মাঝে হারতে থাকে বা মারাত্মকভাবে আহত হয় তখনও তার সেই আস্থায় বিন্দুমাত্র চিড় ধরে না এবং মৃত্যুজয়ী বিভ্রান্ত বীরদের বিজয় উৎসবের দূরাগত সংগীত-ধ্বনি তার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না, তার মধ্যে হাতাশা জাগায় না। সে বরং নতুন উদ্যমে পুনরায় আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেয়।

মৃত্যুর এই সর্বজয়ী শক্তির উৎস এই নয় যে তার সব আক্রমণ সফল এবং সব আঘাত অব্যর্থ হয়ে থাকে। মৃত্যুর তীরগুলো বরং অধিকাংশ সময় লক্ষভেদী হলেও অনেক সময়েই ব্যর্থ হয়, রণাঙ্গনে সে কখনো হয় জয়ী কখনো পরাজিত ও আহত। মৃতু্যর এই শক্তির মূল উৎস তার অসীম ধৈয্য এবং সহ্য ক্ষমতা। মৃত্যু সিমাহীন এক ধৈযর নিয়ে লড়ে যায় অবিরাম, সহ্য করে যায় প্রতিপক্ষের যাবতীয় আঘাত এবং নারকীয় এক পিপাসায় চেটে খেয়ে ফেলে তার জখমের রক্ত-পুজ, যা তার মধ্যে ছড়িয়ে দেয় সেই অপার শক্তি যার সামনে মৃত্যুর প্রতিপক্ষরা কখনো টিকতে পারে নি।

মৃত্যুর এই নিশ্চিত ও ধারাবাহিক বিজয়ের একটা প্রধান কারণ তার জোট নিরপেক্ষতা। মানে মৃত্যু লড়াই করে একা-একা, কোনো মিত্রপক্ষ বা জোটের সহযোগিতা ছাড়া। যাদের রণ অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যুদ্ধক্ষেত্রে জোট নির্ভরতা বড় ধরনের দুর্বলতা। কারণ মিত্র জোট গড়তে গিয়ে সেনাপতিকে কখনো কখনো অন্যের কাছে দায়বদ্ধ বা তার হাতের পুতুল হয়ে যেতে হয়। আর এটা তো সবার জানা যে খেলা শেষ হয়ে গেলে পুতুলের স্থান হয় ডাস্টবিন। সুতরাং যুদ্ধক্ষেত্রে জোটবদ্ধতা দুর্বলতার লক্ষণ, আর মৃতু্য সব ধরনের রণদুর্বলতা থেকে মুক্ত বলেই সবসময় যুদ্ধে জিতে থাকে। মুতৃ্য সবসময় লড়ে একা-একা, কোনো মিত্র পক্ষের সাহায্য ছাড়া। মৃতু্যকে যদি অন্যের সাহায্য নিয়ে, কারো কাছে দায়বদ্ধ হয়ে বা কারো হাতের পুতুল হয়ে লড়তে হত তাহলে তার বিজয় কখনোই এতটা নি:সংশয় হত না। আমি আগেই বলেছি মৃতু্য রূপকথার আদর্শবান, মহা মূল্যবোধ সম্পন্ন কোনো রণনায়ক নয়, নিজের আদর্শ ও মূল্যবোধের মান বাঁচাতে গিয়ে রণাঙ্গনে যে অনেক কিছুই করতে পারে না। মৃতু্য বরং মহা ধূর্ত, চতুর, বহুরূপী ও মুখোশধারী এক যোদ্ধা। মৃতু্য কখনো কখনো আসে সাদা ঘোড়ায় চড়ে, নাঙ্গা তরবারি উঁচিয়ে... হঠাৎ এসে মুখামুখি দাঁড়ায়। আবার কখনো সে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ না পাওয়া নারীর মত পিছন থেকে আঘাত করে। কখনো আসে পায়ে হেঁটে বুক চেতিয়ে... আবার কখনো কখনো মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে.. চারদিকে প্রতারণার জাল বিছিয়ে।

কত সুখী-সংসারী-মৃতু্য উদাসীন জীবন.. কত ঘুমন্ত চোখ, স্বপ্নাতুর নয়ন.. কত হাস্যোজ্জল মুখ যে মৃত্যুর হঠাৎ অসহায় শিকারে পরিণত হয়েছে তার কোনো লেখাজোখা নেই। মৃত্যুর কাছে দয়া-মায়ার আশা করে লাভ নেই। মৃত্যু কাওকে দয়া করে না, কারো খাতির করে না, কারো পরিস্থিতির তোয়াক্কা করে না, মৃত্যু জীবনকে সম্মান করতে জানে না। মৃত্যু মায়ের দুধ পানরত শিশুর ঘাড়ে হঠাৎ দাঁত বসিয়ে দিতে পারে, মায়ের চোখের সামনে হত্যা করতে পারে অসহায় নবজাতককে, গর্ভবতীর মায়ের পেটে হাত ঢুকিয়ে প্রতীক্ষারত মায়ের স্বপ্নবিভোর চোখের সামনে বের করে আনতে পারে মৃত সন্তান, বাসর ঘরে ঢুকে খুন করতে পারে স্বামী বা স্ত্রীর কোনো একজনকে, এক ঝাক শিশুকে এতিম বানিয়ে হত্যা করতে পারে বাবা মাকে কিংবা বাবা-মাকে কাঁদিয়ে তাদের কোল থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে আদরের সন্তানদের্ত সমস্ত স্বাদ-সুখ বিনষ্টকারী বিষের নাম মৃত্যু। হলুদ গ্রন্থগুলো থেকে আমরা মৃত্যুর এই সব কাহিনী জানতে পারি।

সুতরাং মৃত্যুর প্রতি দয়া দেখিও না কিংবা তার কাছ থেকে কোনো দয়াপূর্ণ আচরণ আশা কর না। কারণ আমাদের এক অবধারিত ও চির শত্রুর নাম মৃত্যু, যার সাথে কোনো অবস্থাতেই সন্ধির আশা করা যায় না। তাই বলি মৃতু্যর প্রতি কখনই দয়া দেখিও না, তার সামনে নিজেদের অসহায়ত্ব জাহির কর না। কারণ লাভ নেই। তোমরা যত অসহায়ই হও, তার কাছে যত আত্মসমপর্ণই কর না কেন সে তোমাদেরকে এক ফোঁটাও দয়া করবে না। মৃত্যু কখনো সন্ধিতে আগ্রহী নয় এবং শান্তিপূর্ণ বসবাস বলতে যা বুঝায় সেটা ওর স্বভাবের মধ্যেই নেই। ও' আমার তাজা ফুলের মত ভাইদের হত্যা করেছে। আমার পরিবারের লোকদের ক্ষুধার্ত রেখে রেখে অবশেষে বাধ্য করেছে তার রাজ্য পানে যাত্রা করতে। আমার ছোট ভাইদের ফুসলিয়ে বিলের ধারে নিয়ে গেছে, তার সাথে খেলার জন্য। তারপর ইহুদী বিষ খাইয়ে খুন করেছে তাদের। এভাবে মৃতু্য একে একে হত্যা করল আমার চার ভাই ও দুই বোনকে। তারপর শুরু নির্দয় মৃতু্য এবং আমার বীরপুরুষ বাবার মাঝে সেই ভয়ংকর যুদ্ধ। ছয় সন্তান হারিয়ে বাবা ভয়ংকর ক্ষিপ্ত ও হিংস্রু হয়ে ওঠে ছিলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন যে ভাবেই হোক তিনি মৃতু্যকে খুন করে তার সন্তানদের হত্যার প্রতিশোধ নিবেন। এক দিন শুরু হল বাবা ও মৃতু্যর লড়াই, করবাজিয়া রনাঙ্গনে। মুতু্য হাজির হল ইটালিয়ান ও ইরেত্তেরিয়ান সৈন্যদের বেশে, জেনারেল মিয়ানীর নেতৃত্বে, ঝাক ঝাক সিপাহী নিয়ে। বাবাকে হত্যা করার জন্য মৃতু্যর সে কি বিশাল আয়োজন ! মৃতু্যকে খুনের নেশায় বাবা মৃতু্যর সিপাই রূপী জেনারেল মিয়ানীর সৈন্যদের সমানে হত্যা করতে লাগলেন। বাবা অবাক হয়ে দেখলেন তার ডান-বাম্ত চারদিকে মৃতু্যর শহীদরা টপাটপ ঝড়ে যাচ্ছে, আর প্রতিটি গুলি ছুড়ার সময় বাবা ভাবছেন এই বুঝি মৃতু্য শেষ। কিন্তু বাবাকে হতাশ ও হতবাক করে দিয়ে মৃতু্য অনঢ় রইল। এক সময় বাবার গুলি ফুরিয়ে গেল। শেষ গুলিটা ছুড়ি বাবা তার গুলিহীন বেল্টটা ছুড়ে ফেলে চিৎকার করে ওঠলেন : তোমাদের কারো কাছে গুলি আছে.. আমাকে গুলি দাও, মৃতু্য বেটার শেষ না দেখে আমি আজ রণক্ষেত্র ছাড়ছি না। অদূরে এক গর্তে বসে থাকা এক যুবক যোদ্ধা উত্তর দিল, জেনারেল আমার বেল্টটা নিয়ে যান, তাতে এখনো অনেক গুলি আছে। বাবা তার কাছে ছুটে গেলেন। কিন্তু হায় !! বাবা পৌঁছে দেখলেন তার আগেই মৃতু্য পৌঁছে গেছে তার কাছে। তার মানে মৃতু্য দেখে এবং মানুষের কথা শুনতে পায় ? হতে পারে।

তবে আমার বাবাও ছিলেন বীর যোদ্ধা এবং সে দিন তিনি মৃতু্যর মতই নিষ্ঠুর ও হিংস্র হয়ে ওঠে ছিলেন। তাই তিনি দমলেন না। তিনি নিহত শহীদের কোমর থেকে গুলির বেল্ট খুলে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে লাগলেন। এক সময় তিনি পিপাসায় কাতর হয়ে তার চাচা 'খামিছ' এর কাছে পানি চাইলেন। খামিছ বীর ভাতিজার জন্য পানি আনতে ইতালিয়ান সেনাদের বু্যহ ভেদ করে পানি বহনকারী গাধাটার দিকে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু মৃতু্য !! মৃতু্য সবসময় তার লক্ষ্যে সবার আগে পেঁৗছে যায় : মৃতু্যর লক্ষ্যভেদী গুলি এসে লাগল তার ডান চোখের উপরে, তার মগজ ছিটকে পড়ল তার গায়ের উপর। খামিছ শহীদ হয়ে গেলেন। বাবার মাথায় খুন চেপে বসল। উন্মাদের মত তিনি পরিখার আড়াল থেকে ওঠে খোলা মাঠি দাঁড়িয়ে গুলি ছুড়তে লাগলেন। মৃতু্যর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হুংকার দিলেন : 'আমরা মুসার সন্তান, হে কাপুরুষ মৃতু্য তুই যদি পুরুষ হয়ে থাকিস তাহলে বেরিয়ে আয় আমার সামনে'। কিন্তু আমি আগেই বলেছি মৃতু্য সবসময় যুদ্ধ করে ঠান্ডা মাথায়, ধৈর্য্যের সাথে। কারো উত্তেজেক কথায় উত্তিজিত হয়ে মৃতু্য কখনো কোনো ভুল করে না। বাবার সেই আহবানে মৃতু্য বিন্দুমাত্র উত্তেজিত হল না, আসফালন করে মাথা উচিয়ে বেরিয়ে এল না বা হাত তুলে তার অবস্থান জানান দিল না। বরং সে তার উত্তরে এক ঝাক গুলি পাঠাল। কিন্তু বাবার সেই উত্তেজক আহবানে সাড়া দিল তারা হচ্ছে তার দলের এক দল বীর তরুণ। তারা 'আমরা হাজির সন্তান .. আমরা হাজির সন্তান' বলে চিৎকার করতে করতে পরিখার আড়াল থেকে বেড়িয়ে এসে নির্ভয়ে, খোলা ময়দানে দাঁড়িয়ে মৃতু্যর উপর সরাসারি হামলা করল। আক্রমণকারী এই দলটার সাথে যোগ দেওয়ার জন্য বাবা ছুটে গেলেন। কিন্তু মৃতু্য.. মৃতু্য সবসময় সবার আগে পৌঁছে যায়। বাবা পোছার আগেই মৃত্যুর বন্দুক ছুটে আসা ঝাক ঝাক গুলি তাদের মাটিতে ফেলে দিল। মৃত্যু ও বাবার লড়াই যখন ভয়ংক রূপ নিল তখন তার সাথীরা তাকে তার নিকট না যাওয়ার অনুরোধ করতে লাগল, যাতে তাকেও খামিছ, আতরাশ, ছাহবীর মত করুণ পরিণতি বরণ করতে না হয়। কিন্তু বাবা তাদের কথায় কান দিলেন না। বীরত্বের সাথে মৃতু্যর মুকাবেলা করে যেতে লাগলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেলেন। একসময় মনে হল মৃতু্যও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তার মনোবলে চিড় ধরেছে : মৃতু্য, পুনরায় আক্রমনের পরিকল্পনা নিয়ে সে দিনের মত রনক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে গেল। তবে যাওয়ার আগে বাবার গায়ে রেখে গেল পাঁচটি গুলির আঘাত।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×