__মুআম্মার গাদ্দাফী
ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স) বলেছেন : 'তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখবে এবং চাঁদ দেখেই রোজা শেষ করবে। যদি মেঘাচ্ছন্নতার কারণে চাঁদ না দেখা যায় তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে'। আবহমান কাল থেকে এই প্রথা মেনেই পৃথিবীর মুসলমানরা রোজা রাখছে, ঈদ করছে, হজ্ব আদায় করছে এবং এর ফলে প্রতি বছরেই একটা না একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই বছরটা একটু ভিন্ন। এই বছর পৃথিবীর মুসলমানরা এই মুহাম্মাদী প্রথা না মেনে সৌর হিসাব অনুসারে রোজা রেখেছে, হজ্ব আদায় করেছে এবং তাই তাদেরকে এই বছর কোনো এ-সংক্রান্ত কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় নি। সেই কাহিনীটা বলার জন্যই এই গল্প ফেঁদেছি : পৃথিবীর সব স্থানেই কিন্তু এক সাথে চাঁদ ওঠে না। মহাদেশ, দেশ এমনকি বৃহৎ একটি দেশের অঞ্চল ভেদে চাঁদ ওঠা এবং তাই চাঁদ দেখার তারতম্য ঘটে থাকে। পৃথিবীর সব মহাদেশ ও দেশেই তো কোনো না কোনো মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করছে। এখন চাঁদ দেখার বিষয়টা কি হবে ? পৃথিবীর যে কোনো অঞ্চলের মুসলমানরা চাঁদ দেখতে পেলেই পৃথিবীর অন্য সব মুসলমানরা সে অনুসারে রোজা রাখবে, ঈদ করবে এবং হজ্ব আদায় করবে ?.. রাসূল (সা.) যখন এই হাদিসটা বলেছেন তখনই কিন্তু ইসলাম বেশ দূর দূর দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাহলে রাসূল কি বলতে চেয়ে ছিলেন যে, যে কোনো অঞ্চলের মুসলমানরা চাঁদ দেখলেই অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানরা রোজা রাখবে ঈদ করবে ?.. উদাহরণত ইয়ামানের মুসলমানরা চাঁদ দেখতে পেলে মক্কা-মদিনার মুসলমানরাও রোজা রাখবে ?.. সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ তখনকার যুগে এটা সম্ভব ছিল না। কেননা উদাহরণত: ইয়ামানে চাঁদ দেখা গেলে সেই সংবাদ মদিনায় এসে পৌঁছতে তখন প্রায় মাস খানে সময় লাগত।
কিন্তু এখন আর এই সমস্যা নেই। শব্দের গতি (সেকেণ্ডে ৩৪০ কিলোমিটার) সম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার এই পৃথিবীতে, পৃথিবীর কোনো স্থানের চাঁদ দেখার সংবাদ গোটা পৃথিবীতে পেঁৗছে দেওয়ার সম্ভব চোখেল পলকে। তবে বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি, বিপ্লব কিন্তু আমাদের এই সংকটের কোনো সমাধান দিতে পারে নি। বরং বিষয়টাকে আরো জটিল করে তুলেছে। কারণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন আমরা জগতকে জানি আরো গভীর ও জটিলভাবে। তাই বিজ্ঞানের এত আবিষ্কারের পরও চাঁদ দেখা নিয়ে মুসলমান, ফকীহ... ইমাম.. শাসক-সুলতানদের মাঝে বিতর্কের শেষ নেই। উদাহরণত সৌদি সরকার চায় না শুক্রবারে হজ হক। কারণ এর ফলে অতিরিক্ত ভীড়ভাট্টা দেখা দেয় ফলত নানান ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া তারা মনে করেন শুক্রবারে হজ হলেই রাজ পরিবারের কেউ না কেউ মারা জান। শুক্রবারের হজটা কুফায় ভরা। তাই তারা চান না শুক্রবারে হজ হোক। চাঁদ দেখার হিসাব অনুসারে কখনো শুক্রবারে হজ পড়ে গেলে তারা বলেন শুক্রবারে নয় হজ হবে শনিবারে। কারণ তারা অতিরিক্ত ভীড়ভাট্টা, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা রাজ পরিবারের কারো মৃতু্য চান না..। খুবই যুক্তিসংগত কথা..। তারা সেটা করতেই পারেন।
আধুনিক বিজ্ঞান এবং এই কালের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় গতি কিন্তু এই সংকটের সমাধান করতে পারে নি, সারা বিশ্বের মুসলমানরা একই দিনে রোজা রাখবে, ঈদ করবে .. এবং সেই সাথে একই দিনে হজ পালন করব্তে সেই সুযোগ করে দিতে পারে নি। বিজ্ঞানের কল্যাণেই বরং আমরা জানতে পারলাম, ইন্দোনিশিয়ান মুসলমানরা যখন জুমার নামাজ আদায় করছে লিবিয়াতে তখনও বৃহস্পতিবার শেষ হয় নি, লিবিয়াতে যখন শাবান মাসের ত্রিশ তারিখ ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা তখন অলরেডি রোজা রাখতে শুরু করে দিয়েছে.. সুতরাং আমরা বুঝতি পারি, চাঁদ দেখে রোজা রাখতে হবে, রোজা শেষ করতে হবে এবং চাঁদের হিসেব অনুসারে হজ পালন করতে হব্তে এই প্রথাই যদি মানতে হয় তাহলে তাকে তার সীমাবদ্ধতার মধ্যে রেখেই মানতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি অঞ্চলের মুসলমানরা তাদের অঞ্চলে যখন চাঁদ দেখা যাবে তখনই রোজা রাখবে ঈদ করবে..। এ পদ্ধতিটাই অবহমান কাল ধরে মুসলমানরা মেনে আসছে এবং রোজা রাখা, রোজা সমাপ্ত করা ও ঈদ করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির অনুসরণে বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয় নি। কিন্তু হজ কিভাবে পালন করা হবে ?... হজও তো পালন করেন বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা। তবে তারা হজ পালন করেন নির্দিষ্ট একটি স্থানে গিয়ে। তারা কি তাদের যার যার এলাকা ও দেশের চন্দ্র হিশেব অনুসারে হজ পালন করবেন ?.. তাহলে তো নানান দেশের মানুষদের নানা সময় হজ পালন করতে হব্তে এটা অবশ্যই একটা ব্যবহারিক সমস্যা, বিশেষত যারা এর ব্যবস্থা করেন সেই সৌদি সরকারের জন্য। এর সমাধান কি ?... এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে এই বছর কিন্তু আমরা একটা বিতর্কোর্দ্ধ এবং অলংঘনীয় সমাধান পেয়ে গেলাম এবং সমাধানটা দিলেন জেনারেল আশওয়ার জেকোব (আল্লাহ তার সুবিশেষ খায়ের করুন)।
রমজানের প্রথম সপ্তাহেই জেনারেল জেকোব ঘোষণা করলেন : এইবার মুসলমানরা রোজার ঈদ করবেন রবিবার, ইংরেজী ১৫. ৪. ১৯৯১ তারিখে এ, এবং সেই সাথে তিনি হজের জন্যও নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে দিলেন। নির্দিষ্টভাবে এই তারিখেই ঈদ করতে হবে, হজ পালন করা হবে__ সে দিন আস্ত বা চিকন যেই চাঁদই ওঠুক... এইবার রমজান মাস ২৮ বা ৩০ বা এমনকি ৩১ হোক, এই বিষয়ে আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ যাই বলুন...। এটা জেনারেল জেকোবের সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিবর্তনীয়। কারণ তা আমেরিকা ও তার মিত্রদের নিরাপত্ত্বার সাথে জড়িত। বিশেষত সৌদি আরবের পুণ্যভূমি_ যাতে রয়েছে পবিত্র মক্কা-মদিনা এবং রাসূল (স.) এর রওজা শরীফ_ এর নিরাপত্ত্বাও তার উপর নির্ভর করছে।
সুতরাং এই বছর রোজা শেষ হয়ে যাবে শনিবারে, ১৪.৪.১৯৯১ তারিখে, সে দিন আসমান ফকফকা হওয়ার কারণে চাঁদ দেখা যাক বা মেঘাচ্ছন্নতার কারণে চাঁদ না দেখা যাক। তাতে কিছু হেরফের হবে না। শনিবারই রোজা শেষ এবং রবিবার অর্থাৎ ইংরেজি ১৫.৪.১৯৯১ তারিখ হবে পহেলা শাওয়াল, সে দিন যদি আকাশে আস্ত চাঁদও দেখা যায় বা আদৌ কোনো চাঁদ না ওঠে। এবং জেনারেল জেকোব হজের যে তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন তখনই হজ হবে.. তার জন্য যদি যিলহজ মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসেও হজ পালন করতে হয় তাইলেও। কারণ জেনারেল জেকোব বলেছেন, তাতে কোনো সমস্যাতো নেই এবং তা কোরান সম্মত। কারণ কোরানে এসেছে : 'হজ নির্ধারিত কয়েক মাসে হবে' তার মানে নির্ধারিত কোনো এক মাসে হওয়া জরুরী না, কয়েক মাসে হজ হতে পারে। জেনারেল জেকোবের সিদ্ধান্ত অনুসারে সৌদি সরকার ঘোষণা করে দিল এই বছর ঈদ হবে শনিবারে, ইংরেজি ১৫.৪.১৯৯১ তারিখে। এই বার আর মুসলমানদের চাঁদ দেখা নিয়ে কোনো ঝুট ঝামেলায় পড়তে হবে, এই নিয়ে প্রতিবারের মত কোনো অযথা বিতর্কে জড়াতে হবে না, এই বছর হেলাল কমিটিগুলোর কাজ নেই। তাদের কোনো কাজ করতে হবে না। এই বারের চাঁদ অনেক আগেই দেখা হয়ে গেছে। তবে তাদের কোনো চিন্তা নেই। সরকার তাদের নির্ধারিত বেতন অবশ্যই দিয়ে দিবে.. এইভাবে মহামান্য জেনারেল জেকোব একটি বহুল বিতর্কিত মাসআলার এমন একটি সুন্দর সমাধান বাতলে দিলেন।
জেকোব এও বললেন এই বছর হজ করতে আগ্রহী পৃথিবীর সব মুসলমানদের হজের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম রমজানের শেষ তারিখ অর্থাৎ ১৪.৪.১৯৯১ এর মধ্যে করে ফেলতে হবে। জেনারেলল জেকোবের জন্য এবারের হজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন তিনি মক্ক-মদিনার পূণ্যভূমির নিরাপত্ত্বা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। মানে মক্ক-মদিনা এখন আমেরিকার হেফাজতে। এবারের হজ নিশ্চয় অন্য সময়ের মত সাধারণ কোনো হজ হবে না। পৃথিবীর নানা অঞ্চল থেকে আসা মুসলমানরা, মক্ক-মদিনা আমেরিকার হেফাজতে দেওয়ার কারণে, বিভিন্ন ধরনের নাশকতা করতে পারে। সুতরাং সৌদির নিরাপত্ত্বার দিক থেকে এবারের হজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ। আপনারা তো জানেন, ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার পর থেকে সৌদি খুব আশংকার মধ্যে আছে। তারা আশংকা করছে কুয়েতের পর ইরাক সৌদিও দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই সৌদি সরকার তার পবিত্র ভূমির নিরাপত্ত্বার জন্য আমিরিকার সাহায্য চেয়েছে। সৌদি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, তারা তাদের নিরাপত্ত্বার জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে এবং আমেরিকাও তাদের ভাল বন্ধু। তারা তাদের বন্ধু রাষ্ট্রের নিরাপত্ত্বা রক্ষায় তাদের সাহায্য করতেই পারে। হয়ত আমিরিকার সাহায্যের ফলেই সৌদি ইরাকের হাত থেকে বেঁচে গেল। অন্যথায় হয়ত এতদিনে সৌদি আরবের পূণ্যভূমিগুলো ইরাকের অংশ হয়ে যেত। সুতরাং জেনারেল জেকোব যদি রমজান, ঈদ, হজের সময় পূর্ব থেকেই__চাঁদ দেখা না দেখার তোয়াক্কা না করে, সৌর সময় অনুসারে নির্ধারণ করে দিয়ে থাকেন, ফরমান জারি করান, রোজা শেষ হওয়ার পূর্বে হজ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে হবে তাহলে তাকে কোনো দোষ দেওয়া যায় না। সেটা তিনি মুসলমানদের পুণ্যভূমি সৌদি আরবের নিরাপত্ত্বার স্বার্থেই করেছেন।
সুতরাং রোজার শেষ দিন চাঁদ দেখার দরকার নেই। রোজা শেষ হওয়ার জন্য চাঁদ দেখা না দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চাঁদের হাতে বিষয়টা ছেড়ে দেওয়া যেহেতু সৌদি আরবের নিরাপত্ত্বার জন্য ঝুকিপূর্ণ, তাই জেনারেল জেকোব চাঁদের অপেক্ষায় না থেকে আগে থেকে বিষয়টি ঠিক করে দিয়েছেন : এ বছর রোজা শেষ হবে খুবই নির্দিষ্টভাবে ইংরেজি ১৪.৪.১৯৯১ তারিখে, শাওয়াল মাস শুরু হবে ১৫.৪.১৯৯১ তারিখে। জেনারেল সাথে সাথে হজ, আরাফা দিবসের তারিখেও ঠিক করে দিলেন এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে ফরমান জারি করলেন : মন্দ কথা বলা যাবে না, পাপাচার বা ঝগড়াজাটি করা যাবে না... হজের এই সব নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর তালিকায় এবার আরো কিছু বিষয় যোগ হবে, উদাহরণত: কোনো হাজী সাথে কোনো ধরনের ছবি বহন করতে পারবে না, এমনকি পাসপোর্টের ফটোকপি ছাড়া নিজের ছবিও না, কেউ সাথে বই্তএমনকি কোরান শরীফ বা কোনো হাদিস গ্রন্থও না্ত রাখতে পারবে না এবং জেনারেলের নির্ধারণ করে দেওয়া দোয়া ছাড়া অন্য কোনো দোয়াও হাজীরা সৌদিতে অবস্থানরত অবস্থায় উচ্চারণ করতে পারবে না। কারণ দোয়া বা আহাজারিতে হাজীদের স্বাধীনতা দিলে তারা এক পর্যায়ে আমিরিকা বা তার মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে পারে, লোকজনককে উত্তেজিত করে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করতে পারে এবং তার ফলে পরিস্থিতি বিপদজনক দিকে মোড় নিতে পারে। তাই জেনারেল জেকোব, যিনি বর্তমানে সৌদি আরবের নিরাপত্ত্বা রক্ষার দায়িত্বে আছেন, চান না এমন ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হোক যা সৌদি এবং তার দেশ আমেরিকার ,এমনকি তার নিজের নিরাপত্ত্বার জন্য বিপদজনক।
যদি ৩২ টা রোজা রাখা হয়, ঈদ পালন করা হয় শাওয়ালের ৩ তারিখে.. জেনারেল জেকোবের সিদ্ধান্ত অনুসারে রোজা শেষ হওয়ার আগেই হজের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সেরে ফেলা হয় তাহলে সমস্যাটা কি ?.. তাতে কোনো কিছুর হেরফের হবে ?... কে তোমাদের বলেছে আকাশের দিকে মস্তক তুলে চাঁদ খুঁজতে যেতে ? ... অতি সহজেই তো বলা যায় যে, এই বছর মেঘাচ্ছন্নতার কারণে আমরা চাঁদ দেখতে পারি নি। এর ফয়দা অনেক। এক ঢিলে কয়েকটি চড়ুই শিকার হবে : প্রথমত: এর ফলে নবীর সুন্নাত পালন করা হবে অক্ষরে অক্ষরে। কারণ মেঘাচ্ছন্নতার কারণে আমরা চাঁদ দেখতে পারি নি তাই আমার ৩২ টা রোজা রেখেছি। দ্বিতীয়ত: অতিরিক্ত দুটি রোজা রেখে অশেষ নেকি হাসিল করা যাবে। রোজা সোয়াবের কাজ না ?.. আলবৎ ! ৩২ টা রোজা রেখেছ বলে কে তোমাকে কাফের বলতে যাবে ? .. বললেও সমস্যা নেই। তুমি সহজেই 'রোজা রাখা তোমাদের জন্য উত্তম' কোরানের এই আয়াত শরীফ আওড়ে তাদের লা-জবাব করে দিতে পারবে। আর তুমি তো আল্লাহর মেহেরবানিতে, খোদা তালার বাণী 'রুকুকারীদের সাথে রুকু কর' রুকুকারী মুসলমানদের সাথেই আছ।
কোরান তো নাজিলই হয়েছে মুসলমানদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য, কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার যাবতীয় উপায়-উপকরণ-পদ্ধতিকে হালাল করার জন্য। তুমিও মুসলমান। যে কোনো লক্ষ্যে কোরান ব্যবহার করার অধিকার তোমারও তো আছে। তাছাড়া তুমি কি সুলতান হামিদ, সুলতান আব্দুল মজিদ, শায়েখ আব্দুর রহমা শায়েখ আব্দুর নোরম্যান, শায়েখ আব্দু ম্যাকমিলান থেকেও বেশী পরহেজগার ? .. বেশী সূফীগিরী কর না !!
সুতরাং ইংরেজী ১৫.৪.১৯৯১ তারিখেই ঈদ হবে। মক্কার হারাম শরীফে ঈদের জামাত হবে সকাল ছয়টা পঞ্চাশে, মদিনার হারাম শরীফে সকাল ঠিক ছয়টায়। ইসলামের পূণ্যভূমি মক্ক-মদিনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব এই সময় সীমা মেনে চলা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



