খুব ছোটবেলায় একবার ১০টা টাকা হারিয়ে ফেললাম।যখন বুঝলাম টাকা টা হারিয়ে গেছে খুব কাদলাম।কান্নার কারন একটাই বাবা ছোট্ট সরকারি চাকরি করেন মাসে বেতন পেয়ে এই একবারই এই অসামান্য টাকা দেন হাত খরচের।অসামান্য বলছি এই কারনে যে এই টাকাটা আগামী মাসে তাকে দেখানোর পর তিনি আমাকে নতুন টাকা দিবেন।অতপর এই ১০টাকা আমি খরচ করার যোগ্যতা অর্জন করব।এই যুগে ভাবা যায়? তো যখন পেলাম না তখন কিছুটা চিন্তা নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হবার বৃথা চেস্টা করতে থাকলাম।এমন সময় আমার এক ক্লাসমেট আমাকে ১০টাকার নোট টা দিয়ে বলল"তোর টাকা হারানো গেছে না?এটাই বোধহয় তোর টাকা।স্কুলের সিড়িতে পেয়েছি।"আমি হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম এই ছেলেটির দিকে কারন ছেলেটিকে আমি চিনি।যার কথা বলছি তার বাবার ক্ষমতা নেই মাসে ১০টি করে টাকা দেবার।সকালে যে ও খেয়ে আসেনি তা বাজি ধরে বলতে পারি।এই ছেলের সততাই আমি যে শুধু মুগ্ধ হলাম তা নয় আশ্চর্য ও হলাম বৈকি।এই ছেলেটির কাছ থেকে সেদিন এটুকু শিখেছিলাম যে দরিদ্র হলেও সৎ থাকা যায়।এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়।জীবনের টানাপড়েনে আমি অনেকদূরে এসে পড়েছি।মেঘে মেঘে অনেক বেলা গড়িয়ে গেছে।বাস্তবতার কষাঘাতে মুখ থুবড়ে পড়েছে আমার ইচ্ছেগুলো।ব্যস্ত পৃথীবির ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে।ভুলতে বসেছিলাম নিজেকে,নিজের গ্রাম কে,নিজের মাটিকে।এই ব্যস্ততার ভিড়েও নিজেকে একটু ফিরে পাবার আশায় কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।সবুজ শ্যমল গ্রাম দেখে অনেকদিন পর ভীষণ ভাল লাগলো।তারপর সেই বন্ধুটির খোজ নিলাম যে আমার চলার পথে আদর্শ ছিল এতদিন।শুনলাম বন্ধু আমার কোনো এক রাজনৈতিক দলের নেতা।শুনে প্রথমটা খারাপ লাগলেো পরে মানিয়ে নিলাম।ওর সঙ্গে দেখা হল না,কারন ওকে দলিও কাজে শুনলাম অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়।সব স্মৃতি পেছনে ফেলে আমি রাত ১১টার বাসের জন্যে রওনা হলাম।আর ভাবতে থাকলাম কত পরিবর্তন এই গ্রামের।ভাবতে ভাবতে রিকসায় উঠে ছোট রাস্তা থেকে বড় রাস্তায় উঠেছি।এমন সময় একদল মানুষ আমার পথ আটকে আমার কাছে যা আছে সব চাইল।আমিও সুবোধ বালকের মত সব দিয়ে দিলাম।এমন সময় পাশ দিয়ে একটা ট্রাক আসতে দেখে ওরা দৌড়ে ওদের মটরসাইকেলের কাছে পৌছে গেলো।ট্রাকের আলোয় আমি দেখলাম কয়েকজন যুবক হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যাচ্ছে।সামনের গাড়িটি যে চালাচ্ছে তাকে চিনতে আমার সময় লাগলেও ভুল হয়নি।এ যে আমার সেই বন্ধু যাকে নিয়ে আমার সারাজীবনের গর্ব,যাকে আমি আদর্শের মাপকাঠি বিবেচনা করি।তবে ও কি খারাপ হয়ে গেছে?ওর মনুষ্যত্ব কি মরে গেছে?তাই কি হয়?ওকে খারাপ করা হয়েছে।ওর মনুষ্যত্ব কে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।আচ্ছা,রাজনীতিবিদরা এত কিছু করতে পারেন,তাহলে একটা ভালো মানুষকে কেন ভালো থাকতে দিতে পারেন না?নাকি তারাও এরকম?আমার কি কষ্ট হচ্ছে?হ্যা হচ্ছে,আমার বন্ধুর জন্যে কিংবা এরকম আরো যারা আছে তাদের জন্যে।আচ্ছা এ থেকে কি কোনদিন ই আমাদের মুক্তি ঘটবে না?আর ঘটলেও কবে ঘটবে।তা কে বলতে পারে??
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।