তথ্য সুত্র
২৭ জুলাই : ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ আকবর হাশেমি রাফসানজানি এদেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে 'ক্ষমতার দ্বন্দ্ব' থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জনাব রাফসানজানি বলেছেন, "ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বিচক্ষণতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রতিক সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেবেন বলে আমি আশা করছি।" তিনি এক জনসমাবেশে আরো বলেছেন, "জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এই মুহুর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ।" জনাব রাফসানজানি গত ১৭ই জুলাই তেহরানের জুমার নামাজের খোতবায় বলেছিলেন, "গত ১২ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ইরানী জনগণের একটা বড় অংশের মধ্যে সংশয় ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।" ইরানে গত ১২ই জুন অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৪ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং এতে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ পুননির্বাচিত হন। কিন্তু ঐ নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বি মির হোসেইন মুসাভি এবং মেহদি কাররুবি ঐ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। এ নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ঐ দুই প্রার্থীর সমর্থকরা তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফসানজানি এ সম্পর্কে আরো বলেছেন, "এক ব্যক্তি বা একটি রাজনৈতিক দল কোন ভুল করলে তা শোধরানোর সুযোগ থাকে, কিন্তু ইসলামী বিপ্লব বা ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন।" তিনি শত্রুদেরকে ইরানের ইসলামী শাসনব্যবস্থা ও ইসলামী বিপ্লবের অর্জনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য শত্রুরা সুযোগ পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সাথে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে বিদেশী গণমাধ্যমের প্রচারণাকে অসত্য ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, "এ ধরনের প্রচারণা ইসলামী বিপ্লবকে অবমাননা করার শামিল।" জনাব রাফসানজানি বলেন, "সাম্প্রতিক মতপার্থক্য শুধুমাত্র ১২ই জুনের নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে এবং এ মতপার্থক্য ইতিবাচক। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হলে এ মতপার্থক্য আর থাকবে না।"
ইরানের সাম্প্রতিক নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জন্য ইরান পশ্চিমা কিছু শক্তিকে বিশেষ করে বৃটেনকে দায়ী করেছে।#

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



