somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলা ২০১৯, বই ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#বইমেলা২০১৯
#বই১৮১৯২০২১২২

১৮. ১৯. ২০. ২১. ২২.

১৮.

পুলিশ: ওখানে কে? কী করছো?
কাইকর: আমি কাইকর।লাশ কাটছি।লাশে এতো ঘুষের গন্ধ কেন পুলিশ সাহেব?

--বহুরূপী কাইকর (উপন্যাস)

"আলো নিভে গেলে, অন্ধকার।
মন নিভে গেলে, মৃতকার।
অন্ধকারে জ্বলে ওঠে আলো। তবে, মৃতমনে লেগে থাকে কালো এবং শুধুই কালো। মৃত শহরে তাহলে এতো কেন আলো?"

~ কাইকর।"

বইঃবহুরূপী কাইকর(উপন্যাস)
লেখকঃAbdullah AL Mamun
বাবুই প্রকাশনী
মুল্যঃ১৬০টাকা।

১৯.

খ্রিস্টান মিশনারি এবং এনজিও সংস্থাগুলো কীভাবে মানুষকে ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান বানাচ্ছে, নিজে স্বয়ং কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং তথ্য প্রমাণের সন্নিবেশনে বাংলাদেশে মিশনারিদের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে এ বইতে।

বিশেষ করে পাহাড়ি উপজাতিদের খ্রিস্টান বানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম যে আলাদা খ্রিস্টরাজ্য বানাবার ষড়যন্ত্র চলছে, উত্তরবঙ্গে দরিদ্র মানুষদের ভুলভাল বুঝিয়ে খ্রিস্টান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, এই বইটি তার ডকুমেন্টারি হিসেবে দাবি করা যায়।

গল্পের ভঙ্গিমায়, উপন্যাসের রহস্য মেখে, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি এনে, নানান সোর্স থেকে রেফারেন্স টেনে সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে বইটি।

বই : বাংলায় বাজে গির্জার বাঁশি
লেখক : Omar Ali Ashraf
প্রকাশক : বইকেন্দ্র
প্রচ্ছদ : আবুল ফাতাহ মুন্না
পৃষ্ঠা : ১৫২
নির্ধারিত মূল্য : ১২৫৳

২০.

বই : শেষ প্রহরে আশার আলো
লেখক : Ahmadullah Ashraf
ধরন : ছোট গল্প
প্রকাশনী : নবডাক প্রকাশন
প্রচ্ছদ : লেখক
প্রি-অর্ডার মূল্য : ৯০/-
মুদ্রিত মূল্য : ১২০/-

একজন লেখকের দায়বদ্ধতা সীমাহীন। সীমিত পরিসর ও কুঞ্চিত পরিবেশের কারণে সবসময় সেই দায় মেটানো সহজ কথা নয়। তবু একজন লেখককে লিখে যেতে হয়।

নানা কারণে লিখতেই হয়। 'শেষ প্রহরে আশার আলো' বইটিও আমার কাছে যাচিত বিষয়েরই নির্মল প্রকাশ।

বইটিতে উঠে এসেছে যাপিত জীবনের ঝাঁপি থেকে নেওয়া একগুচ্ছ জীবনের গল্প। যা শুধু গল্পই নয়; গল্পগুলোর নেপথ্যে রয়েছে এক-একটি সত্য ঘটনা। মনস্তাত্ত্বিক অবক্ষয়ে ক্ষয়িষ্ণু জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তথাকথিত আধুনিকতার জোয়ারে মোহগ্রস্ত ও অবিরাম মরীচিকার পেছনে ছুটে চলা ব্যতিব্যস্ত মানুষগুলোর সত্যিকারার্থে 'মানুষ' হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণাময় বিচিত্র চিত্রের চিত্রায়িত রূপ বইটি।

জীবনের কঠিন অঙ্কের সহজ হিসেব অঙ্কিত হয়েছে বইটির পাতায় পাতায়। কলমের কালো হরফে তুলে এনেছে এ-কালের আকালের কথা।

এ প্রজন্মের উত্তরণ ও পরবর্তী প্রজন্মের প্রশ্নের উত্তর রয়েছে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে। পৃষ্ঠার খাঁজে খাঁজে।

'শেষ প্রহরে আশার আলো' বইটির মাধ্যমে আশার আলো ফুটুক তমসাচ্ছন্ন পরিবেশে! দীপ জ্বেলে যাক সমাজের প্রতিটি স্তরে!

২১.

বই- ইউ টার্ন
লেখক- Jafor BP
প্রকাশক- নবডাক প্রকাশন।
প্রকাশকাল- অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০১৯
প্রাপ্তিস্থান-....... (লেখক অথবা প্রকাশকের নিকট থেকে কয়েকদিন পর জানতে পারবেন।)
অনলাইন পরিবেশক- রকমারি. কম, সিজদাহ. কম, বইপার্ক. কম, প্রিয় বই. কম।

'ইউ টার্ন' এর কিছু অংশ-

অর্ধহাত সাদা দাড়ির এক বদমেজাজি চাচা। নাম আবু তাহের। গ্রামের সবাই তাহের চাচা বলে ডাকে।

পাড়ার ছেলেপুলেদের মাঠেঘাটে একটু জোরে কথা বলা, ধস্তাধস্তি বা দৌঁড়াদৌড়ি করা দেখলেই হাঁক ছেড়ে দেয় এক ধমক।

সেই সাথে দৌঁড়ানি। ধরতে পারলেই কান টেনে একেবারে হাতির কান বানিয়ে ফেলে। আর সামনে পড়লে সালাম না দিয়ে গেলেই হয়!

পেছন থেকে হাঁক ছাড়ে- এ্যাই কেডা রে এইখানদা যায়! এত্তবড় বেদপটা কেডা রে! এ্যাই তর বাপের নাম কী? বাড়ি কই? কী করছ? পড়ালেহা করছ নাই জীবনে? বাপমায় আদপকায়দা শিখায় নাই কিছু?

এক শ্বাসে ডজনখানেক প্রশ্ন ভেঙ্গে দেয় মাথার ওপর। বাঁদর টাইপেরগুলো তো হাঁক শুনেই মারে এক দৌঁড়।

আর ভদ্র কেউ হলে প্রথমে হা করে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে মাফ চেয়ে বিদায় নেয়।

এক বৃষ্টিস্নাত বিকেলে পাড়ার মুদি দোকানের টিনসেডের নিচে দাঁড়িয়ে পান চিবুচ্ছে তাহের চাচা। পিচিক করে পানের চিপনি ফেলতে মাথা ঘুরাতেই আঁতকে ওঠে একটি ছেলে।

একটুর জন্য ওর গায়ে পড়েনি। ছেলেটি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মুখ ফসকে সালাম দিয়ে ফেলে- “আসসালামু আলাইকুম”। তাহের চাচার জিহ্বায় কামড়।

এরপর মাথা দুলিয়ে- "আলাইকুম সালা...ম। আহারে দুঃখু পাইয়ো না বাজান। যাও যাও।"

ছেলেটি চোখের পলক না ফেলে তাকিয়ে থাকে- “না ঠিক আছে চাচা, সমস্যা নেই। লাগেনি তো গায়।”

ছেলেটির মায়াভরা মুখের দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতেই নিজের ভেতর কেমন এক প্রশান্তি বোধ করছে। মনটা কোমলতায় ছেয়ে যাচ্ছে। প্রাণটা সজীবতায় ভরে উঠছে।

২২.

বই : এই শহরে কেউ বেঁচে নেই। ( দ্বিতীয় সংস্করণ )
জনরা : গল্পগ্রন্থ।
লেখক : ইবনে আমির
প্রকাশক : বইকেন্দ্র৷

(স্টল নং, মূল্য পরে জানানো হবে।)

লেখকের টাইমলাইন থেকেঃ

আলহামদুলিল্লাহ! এটি আমার প্রথম বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ।

প্রথম সংস্করণে আমি নতুন হিসেবে ত্রুটি থাকাটা স্বাভাবিক। তা থেকেছেও।

বইটি লেখার পরপর এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে, সময় নিয়ে আরেকবার দেখব, তা হয়ে ওঠেনি। এবং লিখতে গিয়েও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি নি।

খুব করে চাচ্ছিলাম দ্বিতীয় সংস্করণের আগে আরেকবার দেখব। দেখেছি। তবে এবারও বলব, পড়াশোনার এতোটাই ব্যস্ততা ছিলাম যে, মেধা এবং সময় পুরোপুরিভাবে দিতে পারি নি।

এরপরেও আগের তুলনায় অবশ্যই কাজ ভালো হয়েছে। এবং আগের প্রচ্ছদ বদলে নতুন প্রচ্ছদও করা হয়েছে।

বি.দ্রঃ

লেখকের সাথে বিস্তারিত আলাপ হয় নি বিধায় উনাদের সম্পর্কে, উনার বই নিয়ে আবেগের মুহূর্তগুলোকে লেখতে পারি নি। লেখকরা নিজেদের ব্যস্ততার কারণে নিজের আবেগগুলো, কষ্টগুলো, আনন্দগুলো, নামাকরণের সার্থকতা জানাতে পারেন নি।

লেখকদের ব্যস্ততাকে সাধুবান জানাই।

লেখকদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি এবং উনাদের বইয়ের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।

#বইয়েরদুনিয়ায়স্বাগতম।


সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×