****** কোর্স্ নিয়ে এ.টি.এন গ্রুপ ( নিউজ / বাংলা ) এর প্রতারনা *******
সম্প্রতি এ.টি.এন নিউজ এ রিপোর্টার হিসেবে অডিশন দেবার সময় নানারকম ভুল ধরে কোর্স্ করে আবার অডিশন দিতে বলল এবং কোর্স্ করার জন্য এ.টি.এন এর আরেকটি নতুন প্রতিষ্ঠান এ.টি.এন নিউজিক স্কুল থেকে কোর্স্ করতে বলল।
আমার সাথে আরো যারা অডিশন দিতে এসেছিল তাদের প্রত্যেকেই এ.টি.এন নিউজিক স্কুলে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির পরামর্শ্ দেয়া হল। অবস্থা এমন যেন, ভর্তি হবার জন্যই আমাদের ডাকা হয়েছে !
এখন আমার প্রশ্ন ? ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন টিভি ষ্টেশনে যায় মিডিয়ার চাকরি কবার আশা নিয়ে, কোর্স্ করতে নয়। কিন্তু অডিশনের নামে হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে কোর্সে ভর্তির অনুরোধ কি প্রতারণা নয়?
আমি লক্ষ্য করলাম অনেক ছেলেমেয়ে উচ্চ কোর্স্ ফি দিয়ে কোর্স্ গুলোতে (একই কোর্স্ অনন্য প্রতিষ্ঠানে আরো কম) চাকরির আশা নিয়ে গণহারে ভর্তি হচ্ছে।
এ.টি.এন যদি কোন টিভি চ্যানেল না হয়ে কেবল একটি কোচিং সেন্টার কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হতো তবে হয়তো আমি এই প্রশ্নগুলো তুলতামই না। কারণ সামনে টিভি চ্যানেলকে রেখে কোর্স্ করানোর ফলে অনেকেই মনে করছে কোর্স্ করলেই বোধ হয় নিশ্চিত চাকরি।
প্রশ্ন হল এই সাত/আটশ ছেলেমেয়েকে কি এ.টি.এন আসলেই চাকরি দিতে পারবে ?
মিডিয়াতে আগ থেকেই টুকটাক কাজ করার সুবাদে আমি জানি অন্যান্য টিভি চ্যানেলগুলোর সাথে সাগর-রুনি ইস্যুতে এ.টি.এন এর সম্পর্ক্ বেশ নাজুক।
কারণ কোকিল কন্ঠী ইভা রহমানের স্বামী মাহফুজের শত অনুরোধেও তারা সাগর-রুনি নিয়ে সাংবাদিকদের আন্দোলনের বিভিন্ন নিউজ প্রচার বন্ধ করেনি।
ETV তো এটা নিয়ে একটা স্পেশাল প্রোগ্রাম করলো। তাই এটা নিশ্চিত চাকরির লোভে গণহারে যারা কোর্স্ করছে অন্য চ্যানেলে তাদের তেমন ভাত নেই। তবে চাকরির লোভ দেখিয়ে এত ছেলেমেয়েকে কোর্স্ করানোর উদ্দেশ্য কি ? এটা কোন ধরনের প্রতারণা ? যারা (এ.টি.এন) বিভিন্ন কোম্পানী কিংবা লোকের সামান্য অভিযোগকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাত তাদের বিষয়ে এখন কে কথা বলবে ?
আমার এক বন্ধু এ.টি.এন নিউজে নিউজ পড়ে (সংগত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক )। ১০০/১৫০ টাকা দেয় যা কিনা মেকাপ থরচের চেয়ে কম। অথচ অনেক চ্যানেলে এই রেট দুই হাজার টাকারও বেশী। সে এখন চ্যানেল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছে।
তার কাছ থেকেই শুনলাম সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের কারণে এ.টি.এন এর ব্র্যান্ড ইমেজ অনেক কমে গেছে। অনেক কোম্পানী নাকি নতুন করে বিজ্ঞাপন দিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই তাদের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। মান খারাপ হবার কারণে এ.টি.এন ইলেট্রনিক্স এর বাজার অবস্থাও বেশ খারাপ। তাই তারা ইয়াং ছেলেমেয়েদের স্বপ্নকে পুঁজি করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোর্সের নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাপারটা নিয়ে সে অনেক হতাশ ।
তারপর সে যেটা বলল সেটা আরো ভয়াবহ। সেও নাকি কোর্সের একজন ফ্যাকাল্টি ! আমার মাথায় ঢোকে না যে এখনো শিক্ষানবিস সে কিভাবে ফ্যাকাল্টি হয় ? জিজ্ঞাস করলাম সিনিয়ররা কি করে ? সে বলল, এমনিতে কর্মী সংকটে পড়া এ.টি.এন বাংলা ও এ.টি.এন নিউজের কর্মীদের আগের চেয়েও দ্বিগুন কাজ করতে হয় । তাদের সময় কোথায় ? সে নিজেও স্বীকার করল কোর্সের মান একেবারে যাচ্ছেতাই। কিন্তু এতবড় মিডিয়ার বিরুদ্ধে কে প্রতিবাদ করবে ? এত সাহস কি ছাত্র-ছাত্রীদের কি আছে ? কেউ বেশি প্রতিবাদ করলে দু-একদিন ড্রাইরান করে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। আবার এর জন্য নেয়া হয় এক্সট্রা ফিস্ । বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও বলার সাহস নেই কারো।
আমি নিশ্চিত, প্রতিবাদী কন্ঠ মুন্নী সাহা সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ব্যাপারে যেমন নিশ্চুপ ছিল এবারও তেমনি এই প্রতারণা নিয়ে একেবারে চুপ করে থাকবে।
আমি মনে করি আপনার পরিচিত জনদের এই বিষয়ে সতর্ক্ করার মাধ্যমে এই প্রতারণা বন্ধ করা বা কমানো সম্ভব। কারণ সরকার কিংবা মিডিয়া এদের বিরুদ্ধে কিছুই বলবে না।
******অনুরোধ : সবাইকে অনুরোধ করবো এ.টি.এন এর এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য প্রত্যেককেই এই ব্লগটিকে ফেসবুকে শেয়ার দেয়ার জন্য । মিডিয়া ব্যবসায়ীদের সব ধরনের প্রতারণা বন্ধ হোক। *******
লেখা ফেসবুক থেকে সংগ্রহ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



