somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুম্বি ভুতের দেশে

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রায় ৮ ফিট উঁচু ঝং ধরা লোহার গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম । গেট স্পর্শ করার পর মনে হলো এখানে হয়তো মানুষের নাম গন্ধ'ও পাওয়া যাবে না।
ঝং গুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে আর প্রচন্ড ধুলো জমে আছে।

ভেতরে দেখি আধো রঙ খসা একটা হসপিটাল টাইপ বাংলো বাড়ি ।
হাসনাহেনা, গাধা আর গোলাপ ভরা সামনের মস্ত বাগান ।
ঝোপের ন্যায় বড় হওয়া হাসনাহেনা গাছগুলো বাগানের সৌন্দর্য কিছুটা বিনষ্ট করেছে । ব্যাপারটা চোখে না লাগার মতো কিন্তু আমার যথেষ্ট চোখে লেগেছে । আমি আর আমার দুজন বন্ধু গিয়ে উঠেছি সেখানে ।
কারণটা অজ্ঞাত !

প্রকাশ্য দিনের আলো চারদিকে । লোক জন সকলেই ব্যাস্ত যার যার কাজে ।
খানিক পর সন্ধ্যে ঢলে এলো এবং এক এক করে টিউবলাইট গুলো জ্বলে উঠলো। টিউবলাইটের বাতিগুলো জ্বলো নিভু করছিলো । মাঝে মাঝে আচমকা আলো বন্ধ হয় আবার জ্বলে উঠে।

ধীরে ধীরে একটা ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেলো । চোখের পলকে দিনের ধবধবা আলো'কে রজনীর ঘোর অন্ধকার ''হা'' করে গিলে খেয়ে ফেলেছে।
আঁধারের প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মরত সকল কর্মকর্তা আর লোকস্বরাগম সকলের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি । সকলে হিংস্র হয়ে উঠছে ।

অতঃপর এরা একে অপরের মস্তিষ্ক ছেদ করে ছির ছির রক্তে বন্যা বইয়ে দিচ্ছে ।
প্রচন্ড ভীত হয়ে তিনজন একদিকে দৌড় দিলাম ।
শহুরে অলিগলির মতো এ বাড়িতে'ও বহু অলিগলি রয়েছে ।
দৌড়ে এগিয়ে থাকা বন্ধুটি পা পিছলে পড়ে গেছে তৎক্ষণাৎ ধরা পড়ে গেছে দু'জন জুম্বি'র হাতে আমরা বাকি দুজন প্রাণভয়ে কোনো রকম ছুটে পালিয়ে এসেছি । দুজনে ছুটছি একদিকে । ছুটতে ছুটতে একটা অন্ধকার বদ্ধ রুমে ঢুকে পড়েছি । আমরা রুমে ঢুকতেই আচমকা আলো জ্বলে উঠলো । দেখলাম সে বন্ধুটি চেয়ারে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে।
কপাল থেকে রক্ত ঝরছে ।

দু'হাতে ধারালো ইয়া লম্বা চাপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে দুজন জুম্বি। যারা তাকে ধরেছিলো।
আমাদের চোখের সামনে তার দু'হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয় । গা শির শির করে উঠলো মনে হচ্ছে এখন'ই মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। হয়তো আমাদের দেখানোর জন্য'ই পূর্বে তার কব্জি কাটে'নি ।

চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালাই আমরা দুজন ।
পেছন থেকে তাড়া করছে ক'জন জুম্বি । দৌড়োতে দৌড়োতে ফায়ার এক্সিটে বেরুবার পথ খুঁজে পাই কিন্তু সেখানে টকটকা লাল চোখে একরোখা দৃষ্টি'তে আমাদের দিকে চেয়ে আছে ইয়া মোটা এক জুম্বি।
আমাদের হালাল করার অপেক্ষায় বসে আছে ।

উপস্থিতবুদ্ধি খাঁটিয়ে দু'জনে দিলাম ছুট । এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিলাম জুম্বি'কে ।
বাগানে এসে খানিকটা সতর্কতা অবলম্বন করলাম ভাবলাম কোন ঝোপ থেকে শয়তানের দল ছোঁ মারে , কে জানে !

দৌড়ে গেলাম ঝং ধরা গেটে । একি, গেট তালা বদ্ধ !
মাথায় বাজ পড়লো !
মস্ত এক ঝং ধরা তালা ঝুলে আছে গেটে ।
তৎক্ষণাৎ নজর পড়লো গেট ডিঙ্গিয়ে পার হবার জন্য গেটে সুন্দর লোহার খাঁজ দেয়া আছে তাতে পা রেখে আমরা আরাম'সে পার হতে পারবো।
কলিজায় পানি এলো।
দুজনে একসাথে উঠছি গেট বেয়ে;
আমি একটু আগে ।
আমি ঠিক গেটের মাঝখানে তৎক্ষণাৎ এক ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পড়া সে জুম্বি'টা আমার বন্ধুর পা ধরে ছিটকে টান মারে । আমি ওপাশে পড়ে যাই আর বন্ধু জুম্বিদের হাতে ।

আমি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে চারদিক দিনের আলোয় ঝলমল শুরু করে আর আমার বাবা গা ঠেলে জোরে জোরে বলছে-
''রুদ্রু উঠ, উঠ, ঘুমের মধ্যে চিল্লাস ক্যান" ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×