স্কুল গেটে অপেক্ষমান মায়েদের, দুই বাসার কাজের বুয়াদের কিংবা গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের বৈঠকস্থল জমজমাট! আলোচনার মূল বিষয়বস্তুঃ স্টার প্লাস/ স্টার জলসা/ জি বাংলায় চলতে থাকা মেগাসিরিয়াল নামক বিষ্ঠাসম জিনিসের কোন চরিত্র কী করলো!
এটা একটা ধ্রুব সত্য কথা যেঃ আমাদের দেশের অর্ধশিক্ষিত গৃহিনী বা অশিক্ষিত কাজের বুয়া বা গার্মেন্টস কন্যারাই এইসব সিরিয়ালের প্রতি মারাত্মক ভাবে আসক্ত হয়।কতিপয় কলেজ পড়ুয়া বা ভার্সিটি পড়ুয়া যেইসব মেয়েরা হিন্দী সিরিয়াল দেখেন,তাদের শিক্ষিতের কোন ক্যাটাগরিতেই ফেলা যায় না। যাই হোক,এবার কার্যকারণে আসা যাক। হিন্দী সিরিয়ালে এমন কী মধু আছে- যার জন্য মেয়েরা এতো উন্মুখ হয়ে সিরিয়াল দেখে?
অধিকাংশ হিন্দী সিরিয়ালই তৈরি করা হয় অতি নিম্নমানের রোমান্টিসিজমকে কেন্দ্র করে এবং এগুলোর অধিকাংশই পরকীয়া নির্ভর। বাপ-মা এক ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করলো,মেয়ে ওমনি পালালো কিংবা আগে যার সাথে প্রেম করতো বিয়ের পর সেই প্রেমিক পুনরায় হাজির হয়ে যেকোন ভাবে নায়িকাকে ব্ল্যাকমেইল এবং তারপর অনৈতিক সম্পর্ক,পরকীয়া ইত্যাদি।
আসলে,নিষিদ্ধ ও খারাপ জিনিসের প্রতি মানুষের আজীবনই আকর্ষণ থাকে। ফেইসবুকে
১৮+পেইজগুলো দেখলেই আমার কথার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি,পরকীয়া ও অনৈতিক সামাজিক সম্পর্কগুলো মেয়েদের আকর্ষণ করে এবং তারা হিন্দী সিরিয়াল দেখে।
এর ফলাফল কতটা খারাপ হতে পারে সে সম্পর্কে আমার পরিচিত এক বড় জনের উক্তি কপি পেস্ট দিতেছি,"তোমার মেয়েকে যদি নির্খরচায় বিয়ে দিতে চাও,তবে তাকে ছোটকাল থেকে হিন্দী সিরিয়াল দেখাও। সে নিঃসন্দেহে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে অন্য ছেলের সাথে আর তোমার বিয়ের খরচটাও লাগবে না।এমনিতেই বিয়ে করে ফেলবে।"
-আবু সায়িদ নূর আহমেদ
(ফেসবুক থেকে পেলাম)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



