মানবজমিন, Wed 2 Mar 2011
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, দেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাস আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমরা জানি কারা সন্ত্রাস করছে। ওই সব সন্ত্রাসীকে শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন। ওয়ান ইলেভেন না হলে দেশে মিশর বা লিবিয়ার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতো। ওয়ান ইলেভেনের কারণে আমিও রাজনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়েছি। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হইনি। এক-এগার�র পরিবর্তনে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে গেছে। সেটাই ছিল জাতির বড় অর্জন। গতকাল মঙ্গলবার পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে জাতীয় কৃষক পার্টির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের কোন সাংবিধানিক ভিত ছিল না। তা নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের কোন মামলা হয়নি। কেউ মামলা করতেও যায়নি। কারণ এই পরিবর্তন এসেছে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ওই পরিবর্তন দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করেছে। এরশাদ বলেন, আমি দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ক্ষমতা গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে এসেছিলাম। আমার পুরো শাসনামলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত সে বৈধতাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অবশ্য আমার বাকি শাসনামল গণতান্ত্রিক শাসনের স্বীকৃতি পেয়েছে। এরশাদ বলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির মতো ২২শে জানুয়ারিতে আর একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের পরিস্থিতি কি হতো বলা যায় না। যদিও ওই সময়কার সরকার অনেক অহেতুক বাড়াবাড়ি করেছে। তা সত্ত্বেও দেশ গৃহবিবাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ কারণে ১/১১-এর পরিবর্তনকে সাংবিধানিকভাবে বৈধতা দেয়ার প্রয়োজন আছে। কৃষক পার্টির আহ্বায়ক সহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সোলায়মান আলম শেঠ, কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ আলমগীর হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, ইসহাক আলী ভূঁইয়া প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কৃষক পার্টির সদস্য সচিব এবিএম হারুনুর রশীদ বাশার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



