আসসালামু আলাইকুম,
কোনোকিছুই হঠাৎ করিয়া ঘটে না। একটি ঘটনা ঘটিবার জন্য কাহাকেও না কাহাকেও অগ্রসর হইতেই হয়। আরবদিগের হইয়া তিউনেশিয়ার জনগণ সেই কাজটি আরম্ভ করিয়াছিলেন। তাহারা পশ্চিমা-গণতন্ত্রিদের মদদ-পুস্ট বেন আলিকে ক্ষমতা হইতে নামাইয়া ছাড়িলেন।
গণতন্ত্রের বাতাস এইবার প্রতিবেশি মিশরের দিকে অগ্রসর হইলো। মার্কিনিদের প্রিয়পাত্র হোসেনি মোবারকও জনগণের সেই ঝড় হইতে নিস্তার পাইলেন না। তাহাকেও ক্ষমতা ছাড়িতে হইলো।
কিন্তু হতাশাজনক হইলেও সত্য কথা এই যে এই দুইটি দেমে এখনও দমন-নীতি অাব্যাহত রহিয়াছে। প্রকৃত গনতন্ত্রীদের হাতে এখনও ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই।এই দুইটি দেশেই ''অন্তরবর্তী ক্ষমতা'' যাহাদের হাতে দেওয়া হইয়াছে তাহারা কম-বেশি পূর্বতন সরকারেরই নয়া সংস্করণ। যাহারা জনগণের রক্তে-ভেজা গণতন্ত্রকে নিজেদের উদরে ছিনতাই করিতে অতীতেও দ্বিধা করেন নাই। এখনও সেই আশংকা রহিয়াই গিয়াছে।
মিশরের পরে লিবিয়া। এইখানেও জনগণ কর্নেল গাদ্দাফির ৪২ বছরের ক্ষমতার অবসান চাহিয়া রাস্তায় নামিলো। এখনও তাহারা রাস্তায় রহিয়াছে। কিন্তু এখন মনে হইতেছে বিষয়টি ধীরে-ধীরে অন্যদিকে অগ্রসর হইতেছে। জনগণ তাহাদের শাসকের পরিবর্তন চাহে ভালো কথা। তাহার জন্য নৈতিক আর মানবিক সাহায্যটাই যেখানে জরুরি সেইখানে কিনা মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি জোট হঠাৎ করিয়া যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হইতেছে? মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এখন লিবিয়ার দিকে। তাহার মানে কি? আরেকটি ''ইরাক'' ঘটাইবার আয়োজন চলিতেছে? লিবিয়ায় তৈল রহিয়াছে। গ্যাসও রহিয়াছে। যাহা ইরাকেও ছিলো। আবার গনতন্ত্রি হইয়াও গাদ্দাফির সহিত ব্রিটিশ-জার্মান-ফরাসিদের সুসম্পর্কের কথাও এতো সহজে ভুলিয়া যাইবার নয়। যাহা ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের বেলায়ও লক্ষ্য করা গিয়াছিলো।
আমরা লিবিয়ার শাসন-ব্যবস্থার পরিবর্তন চাহি। জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা চাহি। কিন্তু তাহা যেন লিবিয়ার জনগণের দ্বারাই সংঘটিত হয়। কোনো বিদেশি শক্তির চাপে নহে।
লিবিয়ায় গণতন্ত্রের সুবাতাস প্রবাহিত হউক---এইটা চাহিতেছি। কিন্তু তাই বলিয়া দেশটি যেন ইরাকের মতন ''ধ্বংসের দেশ''-এ পরিণত না হয়।
পরম করুণাময় আমাদিগকে সহজ সরল পথে াগ্রসর হইবার তাওফিক দিন।
লিবিয়ার জনগণের বিজয় হউক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




