আসসালামু আলাইকুম,
সত্যসত্যই নাইজেরিয়ার উদাহরণ চোখের সামনে থাকিতেও আমাদের বর্তমান সরকার অন্ধভাবে মার্কিন কোম্পানির সহিত চুক্তি করিয়া বসিলো।
এই চুক্তি হইয়াছে ১/১১-এর তৎকালীন সরকারের লওয়া সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায়। প্রধানমন্ত্রী বলিতেছেন গ্যাস বিক্রয়ের চুক্তি করিতে রাজী ছিলেন না বরিয়াই তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় বসিতে পারেন নাই। তাহার মানে কি এইটা যে এইবার সেই চুক্তি করিয়া তিনি সেই পুরাতন ভুলের মাশুন গুণিতেছেন?
২.আফশোশের কথা এই যে এই চুক্তি নিয়া বিএনপি যেমন খামোশ রহিয়াছে। তেমনি ইসলামী বিপ্লবের কথা কহিয়া যে দলটি দীর্ঘদিন রাজনীতি করিতেছে সেই জামায়াতও মুখে তালা দিয়া রাখিয়াছে। কারণ মার্কিন কোম্পানী বলিয়া উহারা এই চুক্তির বিরোধিতা করিতে ভয় পাইতেছে। কিন্তু তাহারা ভুলিয়া গিয়াছেন যে একটি দেশের প্রকৃত মালিক সেই দেশের জনগণ। জনগণ না চাহিলে মার্কিন সরকারের সাধ্য নাই তাহা কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে কোনো কিছু চাপাইয়া দেওয়া। ওবামা এখন বাধ্য হইতেছে আফগানিস্তান হইতে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে। তাহার দেখাদেখি ফ্রান্সও একই সুরে গীত গাহিতেছে।কারণ যুদ্ধে প্রতিদিনই মার খাইতে হইতেছে।একদিকে প্রচুর সৈন্য হতাহত আর অন্যদিকে বিস্তর অর্থকড়ি খরচ করিয়াওেএই আগ্রাসনবাদীযুদ্ধে জয়লাভের সম্ভাবনা নাই। এখন সেই কারণেই আফগান পরিস্থিতির উন্নতি হইয়াছে বলিয়া কোনো রকমে মুখরক্ষা করিবার চেষ্টা করিতেছে। দরিদ্র আফগান জাতি প্রথমবার রুশ ভল্লুকদিগকে এইবার লালমুখো রাক্ষসদিগকে পরাজিত করিয়া ইতিহাস গড়িতে যাইতেছে।
৩.আর আমরা তাহার বিপরীত পথে অগ্রসর হইতেছি। সারা দুনিয়া যেখানে মার্কিনিদের বিরুদ্ধে সেইখানে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ হইতে সুশীল, শিক্ষিত শ্রেণী হইতে মিডিয়া---সবাই কোনো না কোনো ভাবে মার্কিনিদের গুণগান গাহিতে ব্যস্ত।
৪.এই লড়াই শুধু তেল-গ্যাসের লড়াই নহে। তেল-গ্যাস রক্ষা করিবার নামে এই দেশের সমুদ্রে একদিন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আসিবে। ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই দিতেছে। মার্কন কোম্পানীর কর্মিদের বসবাসের জন্য এই দেশের কোনো একটি দ্বীপকে বাছিয়া লওয়া হইবে যেখানে সাধারণ জনগণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকিবে। সেইখানে হোটোল রেস্তোরা থাকিবে। থাকিবে যথেচ্ছাচার ফূর্তির সুযোগ। আমোদ-প্রমোদেরও অঢেল ব্যবস্থা থাকিবে।দেশের দরিদ্র ঘরের কন্যাগণ সেইখানে দেহবিক্রয় করিতে বাধ্য থাকিবে। বিনিময়ে পাইবে ডলার আর এইডস। এইখানেই সবকিছু থামিবে না। দেশের রাজনীতি হইতে শুরু করিয়া অর্থনীতি সবকিছুই তখন মার্কিন হুকুমতে চলিবে। দেশ পরিণত হইবে একটি মার্কিন যথেচ্ছারের মূলূকে।
৫.এখনই সময় প্রতিরোধের। মার্কিন রাজা আর তাহার দেশীয় জমিদারগণকে ঠেকাইতে না পারিলে আমাদের দেশের টোকাইগণের অবস্থা নাইজেরিয়া হইতেও খারাপ হইবে। এই দেশ টোকাইদের দেশ। কেননা তাহারাই সংখ্যায় বেশি। এইখানে আজ্ঞাবাহী জমিদারদের স্থান নাই।
সকলে ছহি-ছালামতে থাকিবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




