
আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে মানুষের জুতার বাড়ি খাওয়া বাকশালী ফেরাউনের কণ্যা হাসিনা সরকার আরেকবার একই পথে হাটলো। গ্রেফতার করলো অনলাইন দৈনিক ও বার্তা সংস্থা শীর্ষ নিউজ ডটকম ও সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ সম্পাদক মো. একরামুল হককে। এই নব্য বাকশালীদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসী গর্জে উঠুক - নাহলে এ জাতির কপালে অনেক দুর্ভোক আছে সামনে।
ঢাকা, ৩১ জুলাই (শীর্ষ নিউজ ডটকম): অনলাইন দৈনিক ও বার্তা সংস্থা শীর্ষ নিউজ ডটকম ও সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ সম্পাদক মো. একরামুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোর সোয়া ৪টার দিকে বড় মগবাজারের বাসা থেকে সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অন্যদিনের মতো ভোর ৪টার দিকে সম্পাদক ফজরের নামাজ পড়তে ওঠেন। কয়েক মিনিট পরই বাসার দরজায় নক করার শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় আগন্তুকরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। দরজা খুলতে কিছুটা দেরি হওয়ায় তারা সজোরে লাথি মেরে দরজা ভাঙার চেষ্টা চালায়। পরে দরজা খুললে এসআই আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে সাদা পোষাক এবং পুলিশের পোষাক পরিহিত ৪/৫ জন হুড়মুড় করে ঘরে প্রবেশ করে সম্পাদককে তাদের সঙ্গে যাবার কথা বলে। এ সময় সম্পাদক কারণ জানতে চাইলে তারা গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার কথা জানিয়ে দুর্ব্যবহার শুরু করে দেয়। পরে সম্পাদক একরামুল হক নামাজ পড়ার জন্য কিছুটা সময় চাইলেও তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। বরং জোর করেই তাকে ঘর থেকে বের করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। গ্রেফতারের পর সম্পাদককে মগবাজার থেকে সরাসরি কলাবাগান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কলাবাগান থানায় যোগাযোগ করা হলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, ২৮ জুলাই গিয়াসউদ্দিন তালুকদার নামের এক ব্যবসায়ী একরামুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। বাদির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালত কলাবাগান থানাকে নির্দেশ দেন। সে প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ বড় মগবাজারের বাসা থেকে একরামুল হককে গ্রেফতার করে।
এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২৬ জুলাই একরামুল হকের লোকজন ৪৪/৯ পান্থপথে মামলার বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলাকা ইন্টারন্যাশনালে গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একই সঙ্গে তারা দোকানের কর্মচারীকে মারধর করে জীবননাশের হুমকি দেয়।
এদিকে শীর্ষ নিউজ ও শীর্ষ কাগজ সম্পাদকের গ্রেফতারের খবরে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। গ্রেফতারের খবরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সকাল থেকে শীর্ষ নিউজ অফিসে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
উল্লেখ্য, সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কতিপয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর প্রকাশ করায় শীর্ষ নিউজ ও শীর্ষ কাগজের সম্পাদক একটি কুচক্রী মহলের টার্গেটে পরিণত হন। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার দুর্নীতি, যোগাযোগমন্ত্রীর দুর্নীতি, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস'র বিভিন্ন অপকর্ম এবং পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করায় শীর্ষ নিউজ ও শীর্ষ কাগজ সরকারের রোষানলের শিকার হয়। বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কব্জার অপচেষ্টা ছাড়াও জীবননাশের উদ্দেশে সম্পাদকের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়।
এমনকি, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের অভ্যন্তরেই তিনি প্রকাশ্যে আক্রান্ত হন। এরপরও শীর্ষ নিউজ ও শীর্ষ কাগজের লেখনি বন্ধ না হওয়ায় এদু'টি প্রতিষ্ঠানের সব ক'টি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




