রাস্তায় গরু ছাগলের দেখা মিলুক আর নাই মিলুক, হাম্বা হাম্বা কিংবা ম্যা ম্যা সুর শোনা যাক আর না যাক যদি শুনতে পাওয়া যায় "ভাই কত নিসে?" কিংবা "দাম কত ভাই" তাহলেই বুঝতে হবে যে "কোরবানির ঈদ ইজ নকিং অ্যাট দি ডোর"
কোরবানির পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন কিংবা বাসায় কোরবানির গরু বেধে রেখেছেন অথচ কারও কাছে থেকে এ প্রশ্নের সন্মুখীন হননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল
কোরবানির ঈদ মানেই ছেলেদের হাটে গরু কিংবা ছাগল কিনতে যাওয়া। তবে হাটে গিয়ে কিন্তু কেউ বিড়াট গরু ছাগলের হাট আর গরু ছাগলের বিড়াট হাট নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পরবেন না যেন দুটোই কিন্তু সঠিক । একটা হাটে বিড়াট বিড়াট গরু ছাগল পাওয়া যায় আর আরেকটা হাট নিজেই বিরাট
অনেকে মহানন্দে হাটে যায় আবার কিছু আলসে মানুষ নিজে না গিয়ে বড় কিংবা ছোট ভাই অথবা বাবার কাঁধে দায়িত্ব গছিয়ে দিয়ে নিজে বাড়ীতে ঘুমায় তবে তাঁদের চেয়ে আলসে মানুষ অনলাইনে গরু অর্ডার করে হোম ডেলিভারি নেয় যদিও আমার স্বচক্ষে কিংবা স্বকানে এমন কোন ঘটনার দেখা মেলেনি কিন্তু ফেসবুকে এমন একটি পেজের দেখা খুব সম্ভবত পেয়েছিলাম । একদিক দিয়ে চিন্তা করলে বিষয়টি খুব ভালো তবে হাটে গিয়ে গরু কেনার মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ আছে তবে সেই আনন্দের বারোটা বাজবে যদি হাটে গিয়ে দু চারটি গরুর শিঙের গুঁতো কিংবা লাত্থি খাওয়া হয় আর গরু কিনে বাড়ি ফেরার পথে গরুর পেছনে পেছনে যারা দৌড়ে বাড়ি ফিরে তাঁদের আনন্দটা খুব সম্ভবত দ্বিগুণ আর যদি গরু মহাশয় দেয় ভো দৌড় সেই বিষয়ে আর নাই বললাম
আমার পরিচিত কোন মেয়ে নেই যে কখনো গরুর হাটে গিয়েছে । আপনাদের পরিচিত যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন হাঁটে গিয়ে তিনি পিংক কালারের গরু খুঁজেছিল কিনা কারন ইদানিং এ নিয়ে খুব ট্রল করা হচ্ছে যে
যাই হোক এবার আসি আসল কথায় । ব্লগে সবাইকে ঈদ মোবারক জানানোটাই হচ্ছে মুল উদ্দেশ্য । ফেসবুকের মত ব্লগেতো আর শুধু দুটি শব্দে ঈদ মোবারক জানানো যায়না তাই দু চারটে কথা লেখা আর কলমও যে থামতে চায়না লেখা শুরু করলে যেন বহুদিন পর বন্ধুকে কাছে পেয়ে হড়বড়িয়ে মনের কথা বলে যায় (আমি সবসময় আগে খাতায় লিখি তারপর টাইপ করি) । খাতা কলমের বন্ধুত্বটাই যে এমন তবে মাঝখানে পেন্সিল এসে কি একটু বাগড়া বাজিয়ে দিলো না
কোরবানি দেওয়া হোক আর নাই হোক, কোরবানির পশুর দাম যাই হোক, তার চামড়ার রং পিংক হোক বা না হোক কোরবানির ঈদ হোক সবার জন্য আনন্দের ।
লেখাটি চোখে পরুক আর না পরুক, চোখে পরলে লেখা পড়ুক আর নাই পড়ুক, পড়লে মন্তব্য করুক আর নাই করুক, আমার সকল সহব্লগার (ব্লগার শব্দটি আমার ভালো লাগেনা আবার লেখক শব্দটিও ব্যাবহার করা যায়না, কারন ব্লগে লিখলেও সবাই লেখক না, লেখক যে আরও বড় ধরনের কিছু। সেক্ষেত্রে কি করনীয় ভেবে পাইনা, কেউ পেলে জানাবেন অবশ্যই ) যে যেখানে যে অবস্থায় আছেন সবাইকে ঈদ মোবারক ।
ঈদ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ অনুরোধ তাঁদের প্রতি যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তে এক্টিভ আছেন । তারা নিশ্চয় জানেন যে কোন দিবসে শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রে এখন আবার ফরওয়ার্ডিং সংস্কৃতি চলছে, সংস্কৃতি ফরওয়ার্ড না কিন্তু বার্তা ফরওয়ার্ড বিশেষ দিবস ছাড়াও সারাবছরই চলে এই সংস্কৃতি । এই যেমন এই মেসেজটি ২০ জন কে ফরওয়ার্ড করলে সুখবর পাবেন কিংবা ফরওয়ার্ড করলে খুশী হবো
একটু কষ্ট করে দুইটা কথা লিখে, কিংবা দু এক মিনিট ফোন করে মন থেকে ঈদ মোবারক জানান এবং তাদেরকেই জানান যাদের সাথে মোটামোটি নিয়মিত যোগাযোগ হয় কিংবা খোঁজ খবর নেওয়া হয় । সারাবছর কোন খোঁজ খবর থাকেনা কই থেকে হুট করে এসে হাজির হয়ে কোন ফটো কিংবা ভিডিও ফরওয়ার্ড করে ঈদ মোবারক জানানোর মানে কি শুভেচ্ছা কি শুধুমাত্র এই দুইটা শব্দেই সীমাবদ্ধ?
শুধুমাত্র একটা টাচে যে এক মিনিটে ৫০ জন মানুষকে ঈদ মোবারক জানানো যায় তা সবাই জানে । আমি এ ফরওয়ার্ডিং ঈদ মোবারক এর নাম দিলাম "অনুভূতিহীন ঈদ মোবারক" বা "অনুভূতিহীন ঈদের শুভেচ্ছা" (ইহা আমার একান্তই নিজস্ব মতামত, কাহারও দ্বিমত থাকিতেই পারে)
সবশেষে আর একবার সবাইকে অনুভুতিপ্রবন ঈদ মোবারক জানিয়ে লেখা থেকে বিদায় নিলাম ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪