বিজলীর খড়ি তার ব্লগে 20 শে ডিসেম্বর 2006 মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক নিম্নোক্ত প্রসংগটির অবতারণা করেছেন। আমি কখনও মনে করি না স্বাধীনতার অপশক্তির এমন কিছু মেধা, প্রতিভা রয়েছে যা আমাদের জাতীয় রাজনীতি, দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাদের প্রতি অনুকূল জনসমর্থনকে শ্রদ্ধা করার বিষয়টিও আমি ভালো চোখে দেখি না। স্বাধীণতা চেতনার বিষয়টা এত কমপ্রোমাইজিং ও অহিংস পদ্ধতিতে অর্জিত হয়নি ও এ চেতনাকে সমুন্নত রাখাও অহিংস পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। দেশপ্রেম বিষয়টা অন্ধ হতে হবে, দালালদের ঘৃনার বিষয়টি একই রকম থাকতে হবে। এটাকে মুছে ফেলা বা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভব দেখানো আমার কাছে দেশদ্রোহীতার শামিল। সেজন্য নিচের সংঘটিত আলোচনাটির গুরুত্ব বেশী অনুধাবিত হওয়ায় আলাদা করে পোস্ট দিলাম।
বিজলীর খড়িঃ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ বলে যারা ঘ্যান ঘ্যান করেন, তারা কিন্তু স্বীকার করে নিলেন যে দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে একটি ভিন্ন মতাদর্শী গ্রুপ আছে, এবং তাদের নড়াচড়াও আছে। যাহারা সারাক্ষন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার তাৎপর্য, বিজয়ের অঙ্গীকার এসব শব্দ ব্যবহার করেন, তাদের আমি সামান্য কিছু প্রশ্ন করতে চাই। জবাব দিলে এই ব্লগারের বহুৎ সুবিধা হইত। প্লিজ।
1) 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' কি এবং এই চেতনা কি কোন রাজনৈতিক আদর্শ বা কোন ইশতেহার, যা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে? উত্তর হ্যা হলে, এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিস্তারিত আউটলাইন বলুন।
2) বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এমন একটি দল আছে, তারা এখনও সে ব্যাপারে অবিচল আছে। আর সে দলটি এখন দেশের 3য় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাহলে আপনারা কি মনে করেন, দেশের লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপে অর্থাৎ তারা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কিছু চায়?
3) উপরের প্রশ্নের উত্তর না হলে, অর্থাৎ যদি আপনারা মনে করেন যে মানুষ জামায়াতকে সমর্থন করে তাদের বেটার রাজনীতির জন্য, তবে আপনারা কি স্বীকার করছেন যে মুক্তিযুদ্ধে একটি ভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থাকতেই পারে, এবং হয়ত তা সঠিক?
4) একাত্তুরে আওয়ামী লীগের 163 এর মধ্যে 160 টি আসনে জয়, বঙ্গবন্ধুর 7ই মার্চের ভাষন, পাকবাহিনীর আতর্কিত হামলা, যুদ্ধ-গনহত্যা ও শেষে বিজয়; এ ঘটনা গুলো নিয়ে আপনাদের কোন সহজ আর স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে কি, থাকলে কয়েক লাইন লিখুন।
এর উত্তরে আমার জবাব ছিল-
কৌশিক ঃ প্রশ্নগুলো নুতন! আমার কাছে নয়, আপনার কাছে, কারণ আপনি উত্তর খুঁজছেন আমার কাছে! হা হা হা!
কিন্তু এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ এটার সাথে জামাত ও রাজাকার জাস্টিফিকেশনের একটা ব্যাপার আছে। স্বাধীনতার এত বছর পরে এ জাস্টিফিকেশনের, মূল্যায়নের বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতে পারে শুধুমাত্র মাদারচোদ রাজাকাররা। এর সাথে যুক্তিতর্ক নিয়ে কথা বলার কিছু নেই, যারা বলতে চায় তারা কনফিউশন উদ্রেগকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়টাকে ঘোলাটেকারী, কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে না পারার মত ভোদাই আপনি হননি।
আমার ব্যাখ্যা আপনার কাছে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট মনে হচ্ছে না কারণ আমি উত্তর দিচ্ছি না, আমি আপনার টোটাল এপ্রোচটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি। কারণ আমার দৃষ্টিতে আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমূল্যায়নের চেষ্টা করছেন সেটা মূল্যায়ন করতে গিয়ে এবং রাজাকার ও বিরোধীদেরকে প্রতিষ্ঠিতকরার চেষ্টা করছেন, সমব্যথী হচ্ছেন যার জন্য আমার আপনার প্রতি একরাশ তীব্র ঘৃনা আর নির্মূল করা ছাড়া আর কোন অভিপ্রায় নেই।
আলোচনায় আস্তমেয়ের বক্তব্য ছিল নিম্নোক্ত-
আস্তমেয়ে ঃ এখানে কি সরল অংক আছে? পক্ষ বিপক্ষ এত সোজা? তাইলে আমাকে যে পছন্দ করে না সবাই কি 'এক' রকম? একই কাজ করে? 'আস্তমাাইইয়া' যা করছে, তা কি আমাকে 'ফান্ডামেন্টালিস্ট' মনে হওয়া সবাই করবে? সবাই কি একই মননের? এটাই হল প্রশ্ন!
এর প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য।
কৌশিকঃ আস্তমেয়ে তুমি দুধভাত। তুমি পক্ষবিপক্ষ থেকে অনেক বাইরে আছো। কোন পক্ষেই যাবার মত তোমার আবেগ তৈরী হয়নি। তুমি ধর্ম ভালোবাসো, সেটাতে আমার শ্রদ্ধা আছে। কারণ এটা যে ধর্মীয় পক্ষটার সাথে বিরোধ সেটার সাথে তোমার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু খেয়াল করতে পারো একটা বিষয় যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মকে অশ্লীল, আনপ্রোডাক্টিভ, ফালতু এবং ইশ্বরকে একটা শূণ্য বস্তু ছাড়া কিছুই মনে করিনা। তাতে তোমার বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা আমার মিইয়ে যাচ্ছে না। এটা হচ্ছে স্রেফ তোমার বিশ্বাসকে ভালোবাসা, যার সাথে তোমার বিশ্বাসের চেয়ে তোমাকে ভালোবাসাটা বেশী প্রতিনিধানযোগ্য। মতামতের চেয়ে একজন ব্যক্তিামানুষকে শ্রদ্ধা করার প্রশ্ন। কিন্তু তোমার বিশ্বাস যখন আমি আমার বিশ্বাস হিসাবে দেখি তখন সেটাকে আমি ঘৃনা করি। সেটা তখন আমার ভাবনায় অশ্রদ্ধা হয়ে থাকে আমার কাছে। কিন্তু তুমি ও সাথে তোমার বিশ্বাস যৌগে যে প্রতিমূর্তি তৈরী হয় সেটাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কারণ তা বিরোধিত ধর্মগ্রুপটার থেকে একেবারেই পৃথক।
ঐ পৃথক গ্রুপটা সবসময় তাদের স্বপক্ষ মত তৈরী করে। এখনও তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্য করেনি। রক্তের দায় রক্ত ছাড়া কখনও প্রায়শ্চিত্য হয়নি, হবেও না।
আরেকটা বিষয় যদি মনে করেন পাকিস্খান বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়েছে তাহলে ভুল করবেন। সামরিক ও রাজণৈতিককারণে ইন্ডিয়ার সাথে ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাকিস্খানের সবসময় বাংলাদেশে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল গোষ্ঠী জীবিত রাখা দরকার। কারণ বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভব যত বেশী বাড়বে তত বেশী পাকিস্খান সামরিক সুবিধা পাবে। আর এ কাজটা বাংলাদেশে ঐ দালালদের পক্ষেই করা সম্ভব!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



