somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিপদের বন্ধু - সামারসেট মম

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ত্রিশ বছর ধরে আমি আমার সঙ্গীদের লক্ষ্য করছি। আমি তাদের সম্পর্কে খুব ভাল একটা জানি না। মুখাবয়ব যাচাই করে কোন কিছু বলতে আমি দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ি। তুবও আমর মনে হয়, লোকজনকে যাচাই করার ক্ষেত্রে মুখটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। মুখাবয়ব, তাকানোর ভঙ্গি, চোয়ালের গঠন দেখে আমারা সিদ্ধান্তগুলো নিই। অবাক লাগে এতে ঠিকের চেয়ে বেঠিকই বেশি হয় কি-না। কোন উপন্যাস বা নাটক বাস্তবতার বিচারে এত অমিল কারণ লেখকেরা, হয়তো প্রয়োজনেই, তাদের চরিত্রগুলো নিখুঁতভাবে তৈরি করে। তারা এগুলো স্ববিরোধী হিসাবে তৈরি করতে পারে না, এত করে চরিত্রগুলো অবোধগম্য হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা বেশির ভাগই স্ববিরোধীদের মধ্যে পরি। আমরা হলাম সামঞ্জস্যহীন কতগুলো গুণের খিচুরি। অনিচ্ছায় আমি ঘাড় ঝাঁকাতে বাধ্য হই যখন দেখি কেউ যখন বলে যে কোন লোক সম্পর্কে তারা প্রথম যে ধারনাটা করে তাই সঠিক। আমার মনে হয় তাদের অন্তদৃষ্টির পরিসর খুব ছোট অথবা তারা খুবই অহঙ্কারী। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হল এ রকম যে কাউকে আমি যত দীর্ঘদিন ধরে চিনি ততই সে আমাকে ধাঁধায় ফেলে দেয়। আমার পুরোন বন্ধুদের সম্পর্কে আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে তাদের সম্পর্কে প্রধান বিষয়টাই আমি জানি না।
আমার ভেতর এই রকম বোধগুলো উদয় হওয়ার কারণ হল, সকালের খবরের কাগজে পড়েছিলাম যে কোবেত এডওয়ার্ড হাইড বার্টন মারা গিয়েছে। তিনি ছিলেন বণিক এবং ব্যবসার জন্য জাপানে অনেক বছর কাটিয়েছন। আমি তাঁকে খুব কমই জানতাম, কিন্তু তাঁর বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল কারণ-সে একবার আমাকে দারুণ বিস্মিত করেছিল। আমি যদি গল্পটা তার নিজের মুখ থেকে না শুনতাম আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না যে তিনি এ রকম একটা কাজ করতে পারেন। এ্টা আরো চমৎকৃত করেছিল এই কারনে যে তাঁর চেহারা ও আচার-আচরনে বিশিষ্টতা প্রকটভাবে ফুটে উঠতো। তিনি যেন একজন পরিপূর্ণ নিখুঁত মানুষ। তিনি ছিলেন ুদে-কৃশকায় এবং খুবই হালকা পাতলা। উচ্চতায় মোটেই পাঁচ ফিট চারের চেয়ে বেশি হবেন না। সাদা চুল, ভাঁজ পড়া লাল মুখ ও নীল চোখ। আমার মনে হয় তাঁর বয়স তখন ষাট হবে। পরিবেশ এবং বয়স বিবেচনা করে সব সময় পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পোশাকআশাক পরতেন।
যদিও তাঁর অফিস ছিল কোবেতে, বার্টন প্রায় ইয়োকোহামা আসতেন। ঘটনাক্রমে আমাকে সেখানে একবার দিন কয়েক কাটাতে হয়েছিল জাহাজের অপোয়, এবং তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল ব্রিটিশ কাবে। আমরা দু’জন এক সাথে ব্রিজ খেলেছিলাম। তিনি ভাল খেলেছিলেন এবং তা হাত খুলে। খেলার সময় খুব একটা কথা বলেন নি কিংবা তারপরেও যখন আমরা পান করছিলাম তখনও, কিন্তু যা বলেছিলেন তা ছিল বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন। শান্ত, রসকষহীন রসিকতা করতেন। কাবে তাঁকে জনপ্রিয় মনে হল। পরে, যখন চলে গিয়েছিলেন, সবাই তাঁকে কাবের একজন সেরা সভ্য হিসাবে বলাবলি করছিল। ঘটনাক্রমে আমরা দু’জনেই গ্লান্ড হোটেলে অবস্থান করছিলাম এবং পরদিন তিনি আমাকে তাঁর সাথে ডিনার করার আমন্ত্রণ করলেন। স্থূল, বয়সী, হাসিখুশি স্ত্রী ও দু’মেয়ের সাথে দেখা হল। স্পষ্টত মায়ামমতার বন্ধনে পূর্ণ পরিবার। বাটর্নের ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি আমার চোখে লেগেছিল তা হল-তাঁর সুহৃদতা। নীল চোখ দুটিতে খুব হৃদয়গ্রাহী কিছু একটা ছিল। মার্জিত কন্ঠস্বর ছিল, যে জন্য আপনার পক্ষ্যে কোনভাবেই কল্পনা করা সম্ভব হবে না যে ঐ কন্ঠে কখনো রাগ তোলা সম্ভব। আন্তরিক হাসি ছিল। মানুষ হিসাবে তিনি আপনাকে আকর্ষণ করতেন এই জন্য যে বন্ধুদের প্রতি সত্যিকারের ভালবাসার অনুভবটা তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যেত। একটা আকর্ষণ ছিল তাঁর মধ্যে। বিরক্তকর কোন ভাবপ্রবণ বিষয় ছিল না। পছন্দ করতেন কার্ড খেলা এবং ককটেল, ভাল মুখরোচক গল্প বলতে পারতেন পয়েন্ট ধরে ধরে; তারুণ্যে এথলেট জাতীয় কিছু একটা ছিলেন। ধনী হয়েছিলেন প্রত্যেকটা পয়সা নিজে উপার্জন করে। আমার মনে হয় তাকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় ছিল যে তিনি অত্যন্ত ছোটখাট ও ভঙ্গুর প্রকৃতির ছিলেন। তিনি আপনার ভেতর আত্মরক্ষার সহজাত বোধটি জাগিয়ে তুলতেন। আপনি ভাবতেন যে সামান্য একটি মাছিকে আঘাত করার নিষ্ঠুরতাটুকুও বহন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
একদিন বিকেলবেলা আমি গ্লান্ড হোটেলের লাউঞ্জে বসেছিলাম। এটা ছিল ভুমিকম্পের আগে। চামড়ার হাতলযুক্ত চেয়ার ছিল ওদের ওখানে। জণাকীর্ণ বন্দরের বিস্তৃত দৃশ্যপট দেখা যেত জানালা দিয়ে। সাংহাই, হংকং এবং সিংগাপুর হয়ে ভ্যাঙ্কুভার এবং সানফ্রান্সিসকো বা ইউরোপগামী বিশাল বিশাল জাহাজ থাকতো সেখানে। সব দেশের যাত্রী ছিল। জাহাজগুলোর পশ্চাদভাগ পূর্ণ থাকতো সমুদ্রভমণ-জীর্ণ বাতিল দ্রব্যাদির স্তুপে। আর থাকতো রঙবেরঙের পাল ও অসংখ্য সাম্পান। ব্যস্ততা আর কর্মচঞ্চল দৃশ্যপট, এবং তবুও, আমি জানি না কেন, আত্মার জন্য তা ছিল প্রশান্তির। এখানে শিহরণ ছিল এবং মনে হত তা আপনার মধ্যেই কিন্তু একে ছুঁতে চাইলে হাতটাকে কেবল প্রসারিত করতে হবে এই যা। এই সময়ে বার্টন লাউঞ্জে এলেন এবং আমার দৃষ্টিসীমার মধ্যে পড়লেন এবং পরে পাশের আসনটিতে জায়গা দখল করলেন।
‘সামান্য পান করায় আপনার কোন আপত্তি আছে?’ একটা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে হাত তালি বাজালেন এবং দু’জনের জন্য জিন আনতে বললেন।
ছেলেটি যখন নিয়ে আসছিল, একজন লোক ঐ সময় বাইরের পথটুকু অতিক্রম করছিল এবং আমাকে দেখে ইশারা করে হাত নাড়াল।
‘আপনি টার্নারকে চেনন?’ মাথা নেড়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের সময় বার্টন কথাটা বললেন।
‘ওর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কাবে। আমাকে বলা হয়েছিল সে একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী’
‘হ্যাঁ, আমিও তাই মনে করি। এখানে ঐ রকম অনেক লোক আছে।’
’ও খুব ভাল ব্রিজ খেলে।’
‘সাধারণত এরা ভালই খেলে। গত বছর এখানে একজন ছিল, একটু অদ্ভুত হলেও নামের দিক দিয়ে সে আমার মিতা, তার মত ভাল খেলোয়াড় আমি আর কখনো দেখিনি। আমার মনে হয় লন্ডনে তার সাথে আপনার কখনো সাক্ষাৎ হয় নি। সে নিজেকে পরিচয় দিত লেননি বার্টন বলে। আমি বিশ্বাস করি ও যে কোন খুবই ভাল কাবের হয়ে খেলতে পারতো।’
‘না, নামটি আমার পরিচিত কারো বলে স্মরণ করতে পারছি না।’
‘সে ছিল মোটামুটি একজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়। মনে হত কার্ডের সাথে ওর একটা সহজাত সম্পর্ক আছে। কোন চাতুরী ছিল না। তার সাথে আমি অনেক খেলতাম। কিছু দিন সে কোবেতেও কাটিয়েছে।
বার্টন হিসহিসে জিনে চুমুক দিলেন।
‘এটা বরং একটা মজার গল্প।’ তিনি বললেন। ‘সে খারাপ ছোঁড়া ছিল না। তাকে আমি পছন্দ করতাম। সব সময় ভাল কাপড়চোপড় পরতো এবং সুদর্শন ছিল। গোলাপী-সাদা গাল আর কোঁকড়ানো চুলসহ এক রকম হ্যান্ডসাম দেখতে। মেয়েরা ওকে নিয়ে অনেক ভাবতো। তার মধ্যে ক্ষতিকর কিছু ছিল না, শুধু ছন্নছাড়া এই যা। সে অবশ্য অনেক মদ খেত,
এই রকম লোকেরা সব সময় যা করে থাকে আরকি। কখনো যদি তার কাছে অল্প ক’টা টাকা আসতো, সে কার্ড খেলে ওটা আরো কিছু বাড়িয়ে নিত। আমি জানি সে আমার কাছ থেকে অনেকবার জিতেছে।
বার্টন মুখ দিয়ে আফসোসের একটা শব্দ তুললেন। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানতাম ব্রিজ খেলায় সে ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা হারাতে পারতো। তাঁর সরু এবং রগ বেড়িয়ে পড়া হাত দিয়ে পরিষ্কার দাড়ি কামানো থুতনিতে হালকা আঘাত করতে লাগলেন।
‘আমার ধারণা কর্পদকহীন অবস্থায় সে আমার কাছে এসেছিল এই কারনে যে সে ছিল আমার মিতা। ও একদিন আমার অফিসে আসল দেখা করতে এবং আমার কাছে কাজ চাইল। আমি খুব বিস্মিত হলাম। ও বলল যে বাসা থেকে আর কোন টাকা আসাবে না এবং যে কোন মূল্যে একটা কাজ করতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তার বয়স কত।
‘পঁয়ত্রিশ,’ সে বলল।
‘ এ পর্যন্ত তুমি কী কী কাজ করেছ?’ ওকে জিজ্ঞাসা করলাম।
‘তেমন কিছু নয়’ সে বলল।
আমি না হেসে পারলাম না।
‘সেক্ষেত্রে আমি বোধ হয় এই মর্হুতে তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না’ আমি বললাম ‘আরও পঁয়ত্রিশ বছর পরে আস তাহলে, তখন আমি দেখব তোমার জন্য আমি কী করতে পারি।’
‘সে নড়ল না, বরং ওর চেহারটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। মহুর্তখানেক ইতস্তত করে আমাকে জানাল যে কিছু দিন ধরে কার্ড খেলায় তার ভাগ্য খুব খারাপ যাচ্ছিল। সে আর ব্রিজ খেলতে ইচ্ছকু ছিল না, সে পোকার খেলেছিল, ও বদলে গেছে। ওর হাতে একটা পেনিও ছিল না। যা কিছু ছিল সব বন্ধক দিয়ে দিয়েছে। হোটেলের বিল পরিশোদ করতে পারছিল না এবং বাকী রাখতে পারবে না এটাও জানিয়ে দিয়েছে। একেবারে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। যদি করার মত কিছু না পায়, তবে তাকে আত্মহত্যা করতে হবে।’
‘আমি ওর দিকে একটু তাকালাম। দেখতে পেলাম ও একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে, বেশি বেশি মদ খাচ্ছে এবং দেখতে মনে হচ্ছে বয়স পঞ্চাশের মত। মেয়েরা ওকে নিয়ে আর মোটেই ভাবতো না যদি ওর এই অবস্থাটা দেখতে পেত।’
‘আচ্ছা, ঠিক আছে, তো, তুমি কি কার্ড খেলা ছাড়া আর কিছুই পার না?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘আমি সাঁতার পারি,’ সে বলল।
‘সাঁতার!’
‘আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না; মনে হল পাগলের প্রলাপ।’
‘আমি আমার ইউনিভার্সিটির হয়ে সাঁতরেছি।’
‘ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পেলাম, আমি এমন অনেককে চিনি যারা বিশ্ববদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রায় ক্ষুদে দেবতাদের মত উদ্ভাসিত হত।’
‘আমি নিজে বেশ ভাল সাঁতারু ছিলাম যখন আমার বয়স কম ছিল।’ আমি বললাম।
‘হঠাৎ মাথায় চিন্তা খেলে গেল। ’
বার্টন তাঁর গল্প থামিয়ে আমার দিকে ফিরল।
‘কোবে কী তোমর পরিচিত জায়গা?’ সে জিজ্ঞাসা করল।
‘না’ আমি বললাম, ‘এর উপর দিয়ে গিয়েছিল একবার মাত্র, সেখানে একটি রাত কাটিয়েছি মাত্র।’
‘তাহলে তুমি সিওয়া কাবটা চিনবে না। আমি যখন তরুণ ছিলাম বাতিঘরটির চারিদিকে সাঁতরেছি এবং শেষ করেছিলাম তারুমির খাঁড়িতে। তিন মাইলেরও বেশি হবে এবং সাঁতানো খুব কঠিন বাতিঘরের চারিদিকের ¯্রােতের কারণে। যাক, আমি আমার তরুণ মিতাকে বললাম এ সম্পর্কে এবং তাকে বললাম যদি সে এটা করতে পারে তবে আমি তাকে একটা চাকুরী দিতে পারি।’
‘আমি দেখতে পেলাম সে যেন একটু পেছনে সরে গেল।’
‘তুমি বলেছ তুমি একজন সাঁতারু,’ আমি বললাম।
‘আমার অবস্থা খুব একটা ভাল নয়’ সে উত্তর দিল।
‘আমি কিছুই বলি নি। কাঁধ ঝাকালাম। সে আমার দিকে তাকাল এক মহুর্তের জন্য এবং মাথা নাড়ল।’
‘ঠিক আছে’ সে বলল ‘তুমি আমাকে এটা কখন করতে বল?’
‘ঘড়ির দিকে তাকালাম। এখন মাত্র দশটা বাজে।
‘সাঁতার শেষ করতে সোয়া এক ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমি খাড়ির ওখানটায় গাড়ি নিয়ে যাব সাড়ে বারটার দিকে, গিয়ে তোমার সাথে স্বাক্ষাৎ করব। তোমাকে নিয়ে কাবে ফিরব পোশাক বদলানোর জন্য, তারপর একসাথে দুপুরের খাবার খাব।’
‘আচ্ছা’ সে বলল।
‘আমরা হাত মেলালাম। আমি তাকে শুভেচ্ছ জানালাম। সে চলে গেল। ঐ দিন সকালে আমার অনেক কাজ ছিল। কোন রকমে সাড়ে বারটায় তারুমির খাড়িতে পৌঁছাতে পারলাম। কিন্ত আমার তাড়াহুড়া না করলেও চলত; সে তখনও পৌঁছে নি।’
‘সে কি শেষ মহুর্তে ভয় পেয়েছিল?’ আমি জানতে চাইলাম।
‘না, সে ভয় পায় নি। ও ঠিকই শুরু করেছিল। কিন্তু সে অবশ্যই তার শরীর নষ্ট করে ফেলেছিল মদ খেয়ে ও আমোদপ্রমোদে। বাতিঘরের চারপাশের ¯্রােত ছিল তার সহ্য ক্ষমতার বাইরে। তিন দিন ধরে আমরা ওর দেহ পাই নি।’
আমি কয়েক মহুর্তের জন্য কিছু বলতে পারলাম না। আমি একটু কষ্ট পেয়েছিলাম। তারপর আমি বার্টনকে একটা প্রশ্ন করলাম।
‘যখন আপনি বার্টনকে চাকুরীর প্রস্তাব করেছিলে তখন কি আপনি জানতেন সে ডুবে যেতে পারে?’
তিনি মুখে মৃদু শব্দ তুললেন এবং তার দয়াদ্র, সরল নীল চোখ দুটি দিয়ে আমার দিকে তাকালেন। থুতনি হাত দিয়ে ঘষলেন।
‘আসলে, ঐ মহুর্তে আমার অফিসে কোন জায়গা খালি ছিল না।’






০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×