লেখাটা পড়লাম কমেন্ট দেখে তো মনে হল ব্যক্তিগত আক্রমণ আপনিই প্রথমে করেছেন।আর অন্যের কমেন্টের দায়ভার কেন লেখকের উপর চাপাচ্ছেন?এটা কোন ভাবে ঠিক মনে হচ্ছে না।আসলে লেখাতে লেখক কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটা মনে হয় আপনি বুঝতে পারেন নি।সবাই সব কিছু বুঝতে পারবে এটা কোন যুক্তির কথা নয় আর এটা দিয়ে কারো জ্ঞানের বিচার করা উচিত নয়।আর কেউ বেশিদিন ব্লগিং করলেই সে সব কিছু বুঝবে এটা ঠিক নয়।হতে পারে আপনি অনেক জ্ঞানী এবং অনেক দিন ব্লগিং করছেন তাই সব কিছু আপনি যা বুঝবেন তাই ঠিক এ কেমন কথা।আর আপনার ফ্যামিলি নিয়ে তো কেউ কথা বলে নি তাই আপনার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়া নিস্প্রয়োজন।আপনি যথেষ্ট আডাল্ট সুতরাং আপনার আইডেন্টিটি আপনি এখন নিজেই।
আপনি বলেছেনঃ
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমার মা-বাবা দু'জন-ই ডাক্তার এবং খুব আস্তিক দু'জন মানুষ। তাদের বিশ্বাসের পবিত্রতাটা এতো বেশি যে সেটা আশেপাশের মানুষদের-ও তাড়িত করে। তারা হজ্জ্ব করে এসেছেন। আমার বাবা একজন সার্জন। তাঁর অপারেশন থিয়েটারে এক জুনিয়র অফিসার এ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে ছিলেন যিনি হিজাব করতেন। তার দু'চোখ ছাড়া কোন অঙ্গ-ই দৃশ্যমাণ ছিল না। তিনি না বুঝে সম্পূর্ণ ভুল জায়গায় এ্যানেসথেশিয়া দিয়ে রোগীর অবস্থা প্রায় মারাত্মক করে তুলেছিলেন। তখন বাবা তার মুখ আর হাত থেকে কাপড় সরিয়ে রোগীর দিকে মনোযোগ দেবার নির্দেশ দেন। বাবা মেয়েটিকে বুঝিয়েছিলেন যে বাবা কখনোই পর্দাপ্রথার বিরোধী না, কিন্তু চরম পর্যায়ের কোন কিছুই সুফল বয়ে আনে না। আমার বাবার সাথে এ বিষয়টা মতামত ঠিক সেরকম।
]আর আপনি অপারেশন থিয়েটারের একটা গল্প বলেছেন।আপনি হয়ত জানেন না অপারেশন থিয়েটারে নারী পুরুষ কারো ই চোখ ছাড়া অন্য কোন অংশ তেমন দৃশ্যমান হয়না।আপনার বাবাকে বলবেন তার অপারেশন থিয়েটারের ড্রেস টি আপনাকে দেখাতে,এ ড্রেসে মাস্ক পরতে হয় তাই চোখ ছাড়া এমনিতেই কিছু দেখা যায় না।তাই খামাখা পর্দা কে কোন কইছুর প্রতিবন্ধক নাই বা বানালেন।এটাই আপনাদের মেইন সমস্যা খুব স্লো লি মানুষের মন কে পর্দা জাতীয় বিষয়ের প্রতি বিষিয়ে তোলা।ধর্ম কে আপনি সহনশীল মাত্রায় পছন্দ করেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই বলে এটা দ্বারা কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা অপপ্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই না।ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম তাই এর মাত্রা টা মনে হয় আপনার ঠিক করার কথা না।কারণ আল্লাহ বুঝেন মানুষের জন্য কতটুকু মাত্রা ঠিক।
যেহেতু আপনি লিখেছেন আপনি একজন ধর্মভীরু ব্যক্তি তাই আপনাকে বলছি ,আপনি তো ইসলাম সম্পর্কে অনেক জানেন তাহলে বলেন তো ইভটিজিং রোধে শালীন পোষাক এবং ছেলেমেয়ে দের নৈতিক ওধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কতটূকু হতে পারে?আল্লাহ কি তাহলে শুধু শুধু পর্দার প্রতি এত গুরুত্ব দিলেন নারী পুরুষ উভয় কেই,যদি এর প্রয়োজন নাই থাকত।আর আপনাদের(মানে আপনি আর আপনার সমর্থক ব্লগার) একটাই সমস্যা যে আপনারা ব্যতিক্রম কে উদাহরণ বানাতে চান।বার বার একটা ছোট মেয়ের ইস্যু নিয়ে এসে বোঝাতে চেয়েছেন যে ইভটিজিং রোধে পর্দার ভুমিকা নেই আর থাকলেও খুব ই নগন্য।আপনার বাবা মা তো হাজী তো উনাদের কাছে শুনে দেখেন যে পর্দার প্রয়োজন আছে কি নেই?
আর ইসলাম যুগোপযোগী ধর্ম তাই এটার মাত্রা ঠিক করা মনে হয় বেঠিক।তাই যতই মুক্তমনা হোন না কেন নিজের মুক্ত মনে নিজের মত করে ইসলাম কে প্রেজেন্ট করার দরকার নেই।
একটা কথা যে ভুল নিজে করবেন সেটা অন্য কে ধরিয়ে দেবার মধ্যে কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না।যদি ঐ পোষ্টে সেতু জোহরার হয়ে আপনাকে কেউ ইভটিজিং করে থাকে তাহলে আপনার সমর্থক রা ওরীতিমত সেতু জোহরা কে ইভটিজিং করতে কিছু কম রাখেনি আর সেখানেও আপনি নীরব তাই সেতু আর আপনার মাঝে কোন পারথক্য দেখিনা।সুতরাং অন্য কে বলার আগে নিজে টা খুব ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত।
আপনি যেহেতু একজন আস্তিক তাই ইসলাম প্রসঙ্গে আপনাকে কিছু বললাম।আর এ সম্পর্কে আপনি তো অনেক জানেন ই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



