আমার জন্ম যবন এলাকায়
ধর্মান্ধ উন্মাদ এক উপমহাদেশের দক্ষিণপূর্ব কোণায়।
যোদ্ধা ও উৎসাহীবোদ্ধা শাসন করার চেষ্টা করেছে সারাটাকাল।
বলছি, নাবালক বহন করে সন্দেহ, মন্দির ও মাজারের মশাল,
সেই কাহিনী।
আমি দৃষ্টির জন্য আকুল ছিলাম কিন্তু বলতে পারিনি।
আমি যেসব শহরে বড় হয়েছি তার অধিকাংশই স্থলভাগ।
এক ছিল রাজধানী, স্থাপত্যের সাথে সোহাগ,
অন্যটি বর্ষায় কয়েক মাসের জন্য হারিয়ে যায় একদম।
একটা প্রবীণ, আরেকটা হতগরীব; দুটোতেই খুব গরম।
তাপ চিন্তা ও শৃঙ্খলাকে বাষ্পীভূত করে,
ইচ্ছার অবসান, বিলুপ্ত অবসরে।
আমি যেকোন শহরে, সতের অবধি, নির্বোধ আর অস্থায়ী
একজন দেশপ্রেমিক সম্রাটের যেমন বিজয়ী
হয়ে শত্রু ধরে রাখা।
বছর ধরে, সমাধির দৃশ্যসমেত দেখা
জীবনগুলোই করছিলাম স্মরণ।
আমি তখন ছন্দপ্রকৌশল নিয়েই ছিলাম বেশি সচেতন,
এবং ঘর, তিনটা, আমার মাথার ভিতরে।
রাস্তায় মৃত্যু, সবুজ অথবা জাফরান,
যাই একটি সাইকেলে করে
বইখাতাসহ। রান্নাঘরের সোপান
থেকে একটা মরিচগাছ বাতাসে ধূলিকণা হয়ে গঁজায়।
এই জলবায়ুতে কিছুই বাঁচে না সূর্যের তাড়নায়
অথবা খনিত্রে, এমনকি একটি পাথরের গম্বুজও নয়
যা চারশ' বছরী কণ্ঠের প্রতিরোধী হয়
প্রার্থনা বা যুক্তিতে। রেলগাড়ি
প্রতিদিন একটি খালি প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়
আগে ছিল চায়ের দোকান যা যাত্রীদের পরিবেশনায় আনাড়ী-
হয়ে ওঠে বিখ্যাত উপাসনালয়।
আমি বদলে যাই: পশ্চিমে পালাই
সময়মতো, একটি শতাব্দীর শেষ আর
অন্যটার শুরু দেখতে। গ্রীষ্মের কথা মনে নাই
২০০১ সালের। মনে করা কি আসলেই দরকার?
সেখানে রোদ আর বৃষ্টি প্রতিনিয়ত।
মনে নেই, আমি সেখানে ছিলাম হয়তো,
সেই বছরে শরতের সূচনা।
এখন, মধ্যত্রিশ, আমার চুল তেমন ঝরে না,
আমি ছোট নীড়ের কবিকাহিনী:
দালান, ঘরবাড়ি, ঠান্ডাপানি
সকালে, দুই বা তিন তলায় বসবাস।
আমার এখনো ছোটদের তুই করে ডাকাই অভ্যাস।
আমি চিনতে পারি প্রতিটি কার্নিশ আর পাঁচিল ,
আকাশের পরিচিত প্রবণতা, জানালার খিল
আমি হেঁটে গিয়ে দিন কাটাই,
আমি দিনগুলিকে ডাকি বিভিন্ন ধর্মীয় নামে
আর নিজেকে পাশ্চ্যাত্যের দামে.
যেন নিজস্ব কারাগারে বিভ্রান্ত একলাই।
জমকালো অতলান্তিক সাগরে
শ্যাওলা, ঝিঁনুক, কাঁচের টুকরো জমে তীরে।
পরিমিত ছন্দোবিশেষ, সাঁজানো পরিপাটি
শহরগুলির দেয়াললিখন নিওন আলোয় দেখে হাঁটি।
একটি ইঁদুর হরিণ হয়ে দৌঁড়ায়, রাত পা ঘষে।
দূর দূরান্ত চলে যায় আকাশে
বাদশাহী নামে নিজেকে ভাবতে চায় না মন।
আমি শস্যাগারে পেঁচা ডাকলে শুনি কোকিল।
সমস্ত জিনিস একত্রিত এবং পুনরায় সংমিশ্রণ,
আকাশে রঙের অমিল ।
আমি আমার বাবা এবং সন্তানের বয়ষ্ক সমন্বয় চিরকাল।
যা কিছু আছে, তা থাকেই বহাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৫