somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিন

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পূর্ণিমা চাঁদকে যিনি ঝলসানো রুটির মত অশ্রুতপূর্ব উপমায় ভূষিত করেছিলেন, 'কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি' বলে যে কবি তারুণ্যের প্রথম বেলায়ই অকালে চলে গিয়েছিলেন সেই কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিন ১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ সালে। মাতামহের ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়ীতে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুরে। বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার উনশিয়া গ্রামে। মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবির পিতা-নিবারণ ভট্টাচার্য, মা-সুনীতি দেবী। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।

কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে। পাশের বাড়ীটিতে এখনো বসবাস করেন সুকান্তের একমাত্র জীবিত ভাই বিভাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুকান্তের নিজের ভাইয়ের ছেলে।

প্রথম রচনা প্রকাশকাল ১৯৪৭ এ হলেও জীবিতাবস্থায় তার কোন বই প্রকাশ হয়নি।। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মম্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। সেই বছর আকাল নামক একটি সংকলনগ্রন্থ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন। মার্কসবাদী চেতনায় বিশ্বাসী কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন। তাঁর রচনাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে সুকান্ত সমগ্র নামে তাঁর রচনাবলী প্রকাশিত হয়। সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পিসঙ্ঘের পক্ষে আকাল (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।

সুকান্তের সাহিত্য-সাধনার মূল ক্ষেত্র ছিল কবিতা। সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু। তাঁর রচনাকর্মে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণীসহ শোষণহীন এক নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাঁদের সৃষ্টিশীল রচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে, সুকান্ত তাঁদের অন্যতম। তাঁর কবিতার ছন্দ, ভাষা, রচনাশৈলী এত স্বচ্ছন্দ, বলিষ্ঠ ও নিখুঁত যে, তাঁর বয়সের বিবেচনায় এমন রচনা বিস্ময়কর ও অসাধারণ বলে মনে হয়। পার্টি ও সংগঠনের কাজে অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে ২১ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগেই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

সুকান্ত ভট্টাচার্য সমাজসেবার ব্রত নিয়ে যখন কাজ করছিলেন, তখন তার নিকটাত্মীয় অন্নদাশংকর ভট্টাচার্য কিশোর বাহিনী গঠন করেছিলেন। ক্রমেই সেই কিশোর বাহিনী পরিচালনার ভার এসে পরে সুকান্তের উপর। তারপর থেকে সুকান্ত আর কিশোর বাহিনী দুটি নাম একাকার হয়ে যায়। সারা অবিভক্ত বাংলাদেশে সহস্রাধিক শাখা গড়ে তোলেন এবং লক্ষাধিক কিশোর কিশোরীকে নিয়ে এক বিশাল সংগঠন গড়ে তোলেন। সেই কিশোর বাহিনী আজো আছে সেই গৌরব নিয়ে। এখনো সুকান্তের কিশোর বাহিনী সমাজসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করে গ্রামে-শহরে।

বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্র-নজরুল পরবর্তী পর্যায়ে সুকান্তের আবির্ভাব স্মরণীয়। সুকান্তের কবিতায় বিষয় ও বক্তব্যের বহুমাত্রিকতা একটি নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। সুকান্ত ভট্টাচার্য বুর্জোয়া রাজনীতির প্রভাব বলয় ভেঙ্গে নতুন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিবেদিত থেকে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন, সমাজচেতনা ও মূল্যবোধের জাগরণে নিবেদিত থেকেছেন।

স্বল্প আয়ুর এই কবি পৃথিবীতে চলমান ঘটনা আর রাজনীতিতে সচেতন ছিলেন। কাব্যচর্চার সময় তাঁর খুব দীর্ঘ না থাকলেও তাঁর কবিতা পাঠকের কাছে আগ্রহ সঞ্চার করেছে। বলা যেতে পারে সুকান্ত একটি আধুনিক কাব্যভাষার সৃষ্টি করেছেন। এখানেই অন্য কবিদের থেকে তার স্বতন্ত্রতা। তিনি গণমানুষের মুক্তির প্রেরণা সৃষ্টিতে মগ্ন ছিলেন। তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ বাঙ্গালী পাঠককে আকৃষ্ট করে রেখেছে সেই কারণেই। যেহেতু একজন প্রগতিশীল কবি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে বিচ্যুত নন। সেহেতু চলমান ঘটনাপ্রবাহ ও ভবিষ্যৎকে তিনি প্রত্যক্ষ করেন সচেতনভাবে। খুব কাছে থেকে দেখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা সুকান্তের কবিচিত্তকে আলোড়িত করে। দেশেদেশে বিক্ষোভ, নিরন্ন মানুষের হাহাকার ও প্রতিবাদ কবিতায় তুলে ধরে সুকান্ত নতুন ধারার কবিতা রচনা করেন। শিশু সুকান্তের সমাজের দুঃখগাঁথা সেইসব কৈশোরিক অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে অনেক কবিতায়। ছেলেবেলাতেই তিনি লিখছেন- 'বল দেখি জমিদারের কোনটি ধাম/জমিদারের দুই ছেলে রাম শ্যাম/রাম বড় ভাল ছেলে পাঠশালা যায়/শ্যাম শুধু ঘরে বসে দুধ ভাত খায়।' এই পোড়া দেশে ঘরে বসে যে দুধভাত খাওয়া যায় না, অভাব এসে দাঁড়িয়ে থাকে দরজায়, বিরূপ প্রকৃতি আর শোষণ বঞ্চনা মানুষের প্রতিরোধ শক্তি সঞ্চার করে, মানুষ প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন- সেটা কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে।

ক্রমেই বন্ধুদের সান্নিধ্য ও বামপন্থী রাজনীতিবিদদের বক্তব্য, বিবৃতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুকান্ত কবিতায় বিদ্রূপ ও বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করেন। তাঁর কবিতায় স্বজাতি ও স্বদেশের বিচিত্র রূপ চিত্রিত হয়েছে। তাঁর সৃজনশীলতা পাঠকমহলে তাকে স্বতন্ত্র অবস্থানে নিয়ে গেছে। কিশোর বয়স থেকে লেখালেখি করলেও সুকান্তের কাব্যপ্রতিভার বিকাশ ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে। বিদেশী শক্তিগুলির দোর্দণ্ড প্রতাপ, মৃত্যুর বিভীষিকা, অসম প্রতিযোগিতা তার কবিচিত্তকে রক্তাক্ত করে। তার থেকেই উঠে আসে কবিতা- 'কেঁদেছিল পৃথিবীর বুক/গোপন নির্জনে/ধাবমান পুঞ্জ পুঞ্জ নক্ষত্রের কাছে/পেয়েছিল অতীত বারতা/মেরুদণ্ড জীর্ণ তবু বিকৃত ব্যথায়/বার বার আর্তনাদ করে/আহত বিক্ষত দেহ মুমূর্ষু চঞ্চল/তবুও বিরাম কোথা ব্যাগ্র আঘাতের।' আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সুকান্তকে আকৃষ্ট করেছিল। রবিঠাকুরের কবিতার মাঝে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিলেন। লিখেছিলেন- 'এখনো আমার মনে তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি/প্রত্যেক নিভৃত ক্ষণে মত্ততা ছড়ায় যথারীতি।' আর মানবতাবাদ ও বিদ্রোহের সম্মিলন? ভয়াবহ মন্বন্তর, ফ্যাসিস্ট শক্তির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুকান্ত জ্বলে ওঠেন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে উচ্চকিত হয় তাঁর কণ্ঠ। কবিতায় প্রতিবাদকে তুলে ধরেন ক্ষোভের সাথে- 'অবাক পৃথিবী। অবাক করলে তুমি/জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি/অবাক পৃথিবী। আমরা যে পরাধীন/অবাক, কি দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন।' তার প্রতিবাদ আরও ধ্বনিত হয়- 'বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে/আমি যাই তার-ই দিনপঞ্জিকা লিখে/এত বিদ্রোহ কখনো দেখিনি কেউ/দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ।' ঠিক একইভাবে কলম, চারাগাছ সিগারেট প্রভৃতি সামান্য বিষয়গুলোও কবির কাছে নতুন ব্যঞ্জনা নিয়ে ধরা দিয়েছে। আপন বক্তব্যে দুঃখী মানুষের আত্মকাহিনীতে লেখা কবিতা হয়ে যায় বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনাময়- 'রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে/রানার চলেছে খবরে বোঝা হাতে রানার চলেছে, রানার/রাত্রির পথে পথে চলে কোন নিষেধ জানে না মানার/দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার-'। পাঠকরা রানার-এর জীবন কাহিনীতে একাত্ম হয়ে যায়। রোমাঞ্চিত হতে হয় বর্ণনার দক্ষতায়। জীবন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে যারা কবিতা রচনা করেন তারা চরিত্রের সঙ্গে মিশে যান।

সুকান্তের অনেক কবিতা গান হয়েছে, অনেক কবিতা আজো বিপ্লবীদের শ্লোগান আর চিকা মারার ভাষা হয়ে গেছে। যেমন- 'বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি, এস আজ তবে বিদ্রোহ করি।' তার বিখ্যাত কবিতার মধ্যে 'ছাড়পত্র' অন্যতম। যা আজো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তির জন্য প্রতিযোগিতার বিষয় নির্ধারিত হয়। 'রানার' তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর আর একটা যা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে স্থান পেয়েছে। এই কবিতাগুলো বিভিন্ন যুগের বাংলা কবিতার মধ্যেই মানুষের মুখে মুখে ফেরা অধিক পঠিত কবিতার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এরকম আর একটা কবিতা- 'হে মহাজীবন'। 'হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়/এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো/পদ, লালিত্য, ঝংকার মুছে যাক/গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো/প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা/কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি/ক্ষুধার এ রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়/পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।'

কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য, এমন কবির জন্মদিন বা প্রয়াণদিবসে এই সময়ের বাঙ্গালীরা যেন উদাসীন। পাশাপাশি দুই দেশে জাতীয় কবি রবীন্দ্র-নজরুল যতটা প্রাধান্য পেয়েছেন সরকার বাহাদুরের কাছে, সুকান্তের জন্য জোটেনি তার ছিটেফোঁটাও। এমনিতে নানা ভাষাভাষী দেশে একজন বাঙ্গালী কবি হিসাবে ভারতে সুকান্ত চিরকালই ব্রাত্য। কিন্তু বাংলাদেশে? সেখানেও যেন সেই বঞ্চনারই পুনরাবৃত্তি। পাঠ্যপুস্তক থেকে স্মরণ অনুষ্ঠান, সরকারি উদ্যোগের অবহেলা আগের মতোই। যে কবি জীবদ্দশায় বাঁচার অধিকার পাননি, একটু খাদ্য, চিকিৎসার সুযোগ পাননি, সুযোগ পাননি নিজের একটা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের- স্বাধীন ভারতে, স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর প্রয়ানের পরেও কেন থাকবে সেই একই অবহেলা? কেন সুকান্তের নামে হবে না পুরস্কার? সরকারী অনুষ্ঠান, আকাদেমি, ছুটি ঘোষণা, ডাকটিকিট কেন হবে না সুকান্তের নামে? যখন যারা ক্ষমতাসীন হবেন, কেবল তাঁদের দলের প্রয়াতদের নামেই কেন থাকবে একের পড় এক প্রকল্প? এগুলোর অবসান জরুরি। নইলে আগামী প্রজন্ম আমাদের কি ক্ষমা করবে?

সুখের কথা, বাংলাদেশে ফরিদপুরের কোটালীপাড়ায় সুকান্তের পৈতৃক বাড়ি অধিগ্রহণ করে ৬৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছে। ভারতে সুকান্তের নিজ হাতে গড়া 'কিশোর বাহিনী' এখনো কাজ করে যাচ্ছে ছোটদের নিয়ে। বাংলাদেশে আছে 'সুকান্ত সংসদ'। এছাড়াও আছে সুকান্তকে নিয়ে দুই দেশেই নানা সংগঠন, বেশকিছু মানুষ। তারাই যা ভরসা। কিন্তু ভারতে এখনো অধিগ্রহন করা হয়নি সুকান্তের 'জন্মভিটে' বা নিজ হাতে গড়া বন্ধ হয়ে থাকা 'গ্রন্থাগার' বা সেই বিখ্যাত বাড়ি, যেখানে তিনি জন্ম দিয়েছেন অনেক কবিতার, সেই বেলেঘাটার '৩৪ হরমোহন ঘোষ লেন এর বাড়ি'টি। সুকান্ত অনুরাগীরা দুই দেশের সরকারের কাছে এই দাবিপূরণের প্রত্যাশা করে। প্রত্যাশা এই কারণেই, কারণ সুকান্ত বলে গেছেন- 'নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার'।

সুকান্ত ছিলেন গণমানুষের কবি। তাই পাশাপাশি একথাও বলতে চাই- কোন সরকারের কাছে তার মূল্যায়ন না হোক, মানুষের হৃদয়ে তার অবস্থান সবসময়েই সজীব। 'তারপর হব ইতিহাস'- বলে যে কবি জীবদ্দশায় ঘোষণা দিতে পারেন তিনি সত্যিকার অর্থেই ইতিহাস হয়ে আছেন মানুষের অন্তর্লোকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:১৩
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×