বুকে আঘাত দিয়ে সময়ের ধাবমান হাওয়া
কোথায় যে মায়াবী নদী রেখা টান
শুনিয়ে যায় অশ্রুকাব্য।
অস্তিত্ব লুপ্ত হয় দুঃখদীর্ণে
বেদনা ধুয়ে মেঘ বুনে বুনে,
নিঃস্ব আমি, কেঁপে উঠি, কেঁদে উঠি।
আমার কোন বিপন্নতা নেই
আমার দুচোখে কোন দুঃস্বপ্ন নেই
আমার হৃদয় এক নশ্বরতার ঘর।
বুকের ভিতর আজন্ম চোখের জলের আর্দ্রতা
অন্তর্গত নিঃশ্বাস মোমের মতো
সৃষ্টির অন্তরালে নিরন্তর ফল্গুধারা
কখনো স্পর্শিত হবে না নিরব কোমলতা
শব্দের কোকিল উত্তর পাহাড়ে চলে যাবে
বৃক্ষের সান্নিধ্যে খুঁজে ফিরে সুখবাতাস।
বৃত্তের মাঝে ঘুরপাক রাত্রি-দিন
কেন যে আজ এত ভাবলেশহীন
নিজেকে ছিন্ন করে দেখি
আমার হৃদয় আজ নশ্বরতার ঘর।
প্রিয়হীন বিহ্বলতার বিকেল
অশ্রুঝরা একফোঁটা বিদগ্ধ অনুতাপে
নিত্য আসা-যাওয়া সমান্তরালে
জীবন পথের বাঁকে,
যা কিছু খুঁজে ফিরি আনমনে
যে ঠিক তোমার মতো হাসে।
ধুলোস্পর্শী পৃথিবীর মায়া ছেড়ে
আলোর উপর অনেকখানি অপার্থিব রোদ,
এখন আমি বহদুর যেতে পারি,
....... মরমী শয্যায়
আমার হৃদয় যে এক নশ্বরতার ঘর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



