অবশেষে চেক ভাংগাতে পেরেছিলাম। কিন্তু যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা শেয়ার করছিঃ
১। সোনালী ব্যাংকের ফরেন এক্সেঞ্জে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছিল ২/৩ মাস সময় লাগতে পারে কিন্তু চেক ভাংগানো যাবে। তবে ওখানে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের অন্য শাখাতে গিয়েছিলাম তারা মানা করেছে কারন অনেক অ্যাডসেন্স অধিকারীরা শুধু মাত্র অ্যাডসেন্স চেক ভাংগানোর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেছিল কিন্তু পরে আর উক্ত অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন করে নাই। তাই তারা এই ধরনের চেক নিতে চাচ্ছিলো না।
২। ন্যাশনাল ব্যাংক বলেছে ভাংগানো যাবে। কিন্তু সমস্যা পড়ে গিয়েছিলাম যখন জেনেছে আমার ব্যাংক সাউথ ইষ্ট ব্যাংক চেক ভাংগাতে রাজি হয় নাই। এ কথা শুনে বলেছে যান এই চেক আপনার ব্যাংকই ভাংগাতে পারবে ওখানে যান। আমরা ভাংগাবো না। অনেকটা তাড়িয়ে দিলো।
৩। ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সেঞ্জে গিয়েছিলাম তারা বলেছে এই গুলা একটু রিস্ক তাই পরিচিত কাউকে বন্ডে সই করতে হবে। কিন্তু এই তর্কে না যেয়ে চলে আসি।
৪। সাউথ ইস্ট বলেছিল ৫০ ডলার কাটবে ১০৬ এর জন্য। আমি রাজিও হয়েছিলাম পরে বলে তারা এই ড্রাফট চেক ভাংগায় না।
৫। সিটি ব্যাংকে গিয়েছিলাম তারা মানা করেছে, তারা করবে না।
৬। সিটি ব্যাংক এনএ তেও গিয়েছিলাম তারা বলে আমরা কর্পোরেটদের সাপোর্ট দেই। লোকাল কাজ করি না।
পরিশেষঃ এটি করি নাই তবে একজন বলছিল করতে। আপনার ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারকে বলেন আপনার ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছি, সবাই এই ধরনের ড্রাফট চেক ভাংগাচ্ছে তাহলে আপনারা ভাংগাবেন না কেনো? আপনারা সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার পক্ষে কিন্তু এই চেক কি দোষ করলো??
সরকারী ব্যাংকে গিয়ে বলতে পারেন যে, আপনারা কল করে উক্ত ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে খোজ নেন এবং খরচ আপনি বহন করবেন যদি টাকা পান আর না পান। ১০৬ ডলারের মাঝে আমি ৮৫০০টাকার মতো পেয়েছিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




