ভূমিকা:
বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব আবারও চরমে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৫ জনে। একই সময়ে, হাসপাতালে নতুন করে ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৭৯৪ ছাড়িয়েছে।
বিস্তারিত:
মৃত্যু ও সংক্রমণ: গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৭৬ জন রয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিভাগেও সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক।
লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান: আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। মৃতদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।
প্রাদুর্ভাবের কারণ: বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অপরিষ্কার পানি জমে থাকা, এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং সচেতনতার অভাবই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মূল কারণ।
চিন্তার বিষয়:
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভয়াবহ রোগ। এটি রক্তক্ষরণ এবং অঙ্গবিকল হওয়ার কারণ হতে পারে। দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি।
প্রতিরোধের উপায়:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা: বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
মশারি ব্যবহার: ঘুমাতে যাওয়ার সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
মশা নিধন: বাড়িতে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: হাত ধোয়া, পরিষ্কার খাবার খাওয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেওয়া: জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপসংহার:
ডেঙ্গু জ্বর একটি জাতীয় সমস্যা। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জনগণ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি।