দেশের পুঁজিবাজার টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা ইতিবাচক ধারা দেখা গেলেও বাজার আবার পুরনো দরপতনের ধারায় ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন, নতুন বিনিয়োগ আসছে না, ফলে তাদের লোকসান বাড়ছে।
শেয়ারবাজারে বড় কোনো কারণ ছাড়াই এই পতন ঘটছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় বাজারের মন্দাভাব ঘনীভূত হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন, ফলে বাজারে ক্রেতার সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
টানা দরপতন: শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতন চলছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারাচ্ছেন।
ক্রেতা সংকট: বাজারে ক্রেতার অভাব দেখা দিয়েছে, যার ফলে শেয়ারের দাম আরও কমছে।
লেনদেন কম: ডিএসইতে লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণ।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা: রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাজারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসার উপর।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন: শেয়ারবাজারে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ভালো। হুট করে শেয়ার বিক্রি করে দিলে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
ভালোভাবে জেনে বিনিয়োগ করুন: কোম্পনির আর্থিক অবস্থা, পরিচালন পর্ষদ এবং বাজারের পরিস্থিতি ভালোভাবে জেনে বিনিয়োগ করুন।
গুজবে কান দেবেন না: কোনো প্রকার গুজবে কান দিয়ে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন না।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তবে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং নীতিমালা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
শেয়ারবাজারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপের ওপর। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনের মাধ্যমে অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬