ইসলামঃ যার অন্য নাম চুলকানি এর পরবর্তী অংশ এই পোস্ট। যারা পূর্বের পোস্টটি পড়েন নাই তারা দয়া করে পড়ে নিবেন।
সপ্তম পর্বঃ-
ইন্টারনেটে একটি ছবি দেখলাম। ছবিটি কি কোন অংশে মিথ্যে?
স্বপক্ষে প্রমান চান?
ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যতই হাঙ্গামা করুক, শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসী ঐ নিরীহ ছেলেটিই!!
অষ্টম পর্বঃ-
কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কোন একটি ফ্যান পেজে নিম্নোক্ত বাক্যগুলো পড়েছিলাম এবং একটি দীর্ঘশ্বাস যে কখন পড়ে গেল টেরও পেলাম না।
যখন কোন অমুসলিম ভাল কাজ করে মিডিয়াতে সেটা ফলাও করে প্রচার করা হয়, তাকে সমর্থন করা হয়। পারলে তাকে নোবেল দিয়ে দেয়া হয়। যদি তার কাজের মধ্যে কোন দূরভিসন্ধিতা, অসত উদ্দেশ্য ফাস হয়ে যায় তখন বলা হয়, "মানুষ মাত্রই ভুল"... আর এই ভুলের জন্য তার এতো বড় ভাল কাজকে খারাপ করে তুলে ধরা উচিত হবে না।
আর যখন কোন মুসলিম কোন ভাল কাজ করে তখন তার ঐ কাজের মধ্যে মিডিয়া দূরভীসন্ধিতা খোজে, অসত উদ্দেশ্যের খোজ করে। একান্তই যদি সেসব না পাওয়া যায় তখন তার অতীত জীবনের যেসব ভুল-ভ্রান্তি আছে সেগুলোকে উপস্থাপন করা হয়।
আবার কখনো যদি কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে ফেলে তখন তার অতীত কষ্টকে বড় করে তুলে ধরা হয়, তার বঞ্ছনাকে কারন হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা করা হয়। সরকারের তার প্রতি অবহেলার খবর বড় করে প্রচার করা হয়।
অন্যদিকে যদি কোন মুসলিম কোন খারাপ কাজ করে তবে সে জীবনে যদি ১টাকাও আয় করে থাকে তাহলে সেই ১টাকার বরাত দিয়ে বলা হয়, "সে ১ টাকা মুনাফা করেও এই অন্যায় করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই।"
নবম পর্বঃ-
আমি নতুন ব্লগার তবে ব্লগ পড়ি প্রায় ৫ মাস হল। ফেসবুকে শেয়ারকৃত ব্লগার ত্রিভুজ ভাইয়ের একটি পোস্ট পড়ি "অপরাধীর কোন ধর্ম নাই, তবে "মুসলিম" হলে আলাদা কথা... " এবং আমার প্লাস/মাইনাস/কমেন্ট করার পারমিশন না থাকায় আমি সেখানে আমি আমার মতবাদ ব্যক্ত করতে পারি নাই। ঐ পোস্টে আমার মত প্রকাশ করার জন্যই আমি ব্লগে প্রবেশ করি। হয়তো ইসলাম নিয়ে লেখি এজন্যই কিনা ৭ দিনের কথা বলেও সামু কর্তৃপক্ষ আমার ব্লগে আসার ১২ টি ৭ দিন পরেও অন্যের ব্লগে কমেন্ট করার ক্ষমতা দিল না। যাই হউক, ঐ পোস্টের কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
ব্লগার ত্রিভুজ ভাই বলেছেনঃ অপরাধী অপরাধী-ই, অপরাধীর কোন ধর্ম নেই। কারণ ধর্ম পরিষ্কার ভাবেই অপরাধের বিপরীতে অপস্থান করে। আর তাই কারো অপরাধে তার ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরাটা হয় অপরিপক্কতা নতুবা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ব্যপার।
কথাটি কি কোন অংশে ভুল? তারপরও কেন মিডীয়া উদ্দেশ্যপ্রনেদিতভাবে বলে "আমেরিকায় অমুক মুসলিম জঙ্গি ধরা পড়েছে" বা "মাদ্রাসার হুজুরকে ধর্ষন করার অভিযোগে আটক করল পুলিশ".।. এগুলো কি অপরিপক্বতা নয়?
এরপর ব্লগার ত্রিভুজ ভাই আরো কিছু কথা বলেন। তবে ঐ পোস্টের আদ্যপান্ত পুরোটুকুই আমার ভাল লাগে। পোস্টের গর্ভাশয়টি নিম্নে হুবুহু তুলে দিলামঃ-
ব্লগার ত্রিভুজ ভাই বলেছেনঃ "গত কয়েক মাসে দেশে 'পরিমল জয়ধর' সহ আরো প্রায় গোটা দশেক হিন্দু শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানী ও ধর্ষনের অভিযোগ এসেছে। সেসব নিউজের শিরোনামে তাদের "হিন্দু" পরিচয় তুলে ধরতে দেখা যায়নি কিন্তু যখনই কোন মুসলিম নামধারী অপরাধীর নামে নিউজ হয় তখন সেখানে "ইমাম", "মাদ্রাসার শিক্ষক" ইত্যাদি বিশেষন ব্যবহারে সংবাদ সংস্থাগুলোকে বেশ আগ্রহী দেখা যায়। এটা যে শুধুমাত্র আমাদের দেশেই হয় তা কিন্তু নয়। কিছুদিন আগে নরওয়ের বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে আমি ফেসবুক ও কিছু বিদেশি নিউজ সংস্থায় "ইসলাম"-কে দায়ী করে নিউজ ও প্রচুর স্ট্যাটাস দেখিছি। যখনই প্রমাণীত হলো যে আক্রমণকারী "মুসলিম" নয় তখন আর তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কোথাও কোন আওয়াজ শোনা গেল না। এটা হচ্ছে বর্তমান চলমান বিশ্বের একটা বাস্তবতা।"
ব্লগার ত্রিভুজ ভাই পোস্টের ইতি টানেন ইন্টারনেটে বহুল প্রচলিত একটি কৌতুকের মাধ্যমেঃ-
"এক আরব মুসলিম নিউইয়র্কের এক পার্কে একটা কুকুরের আক্রমণ থেকে এক ব্যক্তিকে রক্ষা করতে কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে। ঘটনা দেখে সংবাদ কর্মীরা সাথে সাথে ছুটে আসে, লোকটির সাহস ও সাহায্যের প্রশংসায় তারা পঞ্চমুখ-
সাংবাদিকঃ আপনি নিশ্চয় একজন সাহসী নিউইয়র্কবাসী
ব্যক্তিঃ না, আমি তা নই
সাংবাদিকঃ তাহলে নিশ্চয় একজন মহৎ হৃদয় আমেরিকান
ব্যক্তিঃ না, আমি একজন আরব মুসলিম"
পরেরদিন পত্রিকায় খবর বের হলো-
"সন্ত্রাসী আরব মুসলিমের গুলিতে একটা নিরীহ কুকুরের জীবন নাশ"
(চলছে, চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩২