যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত গণমঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।
বিচার না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগের মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে হলুদ হেডব্যান্ড পরা ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-এর আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন।
এছাড়া ঘোষণা থেকে জামায়াত-শিবির ও রাজাকারদের দেওয়া হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করে যারা এ হুমকি দিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়। এজন্য আলোকচিত্র এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
সমাবেশ থেকে শপথ নিয়ে বলা হয়, বাসা-বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের মুখপাত্র দৈনিক সোনার বাংলা, নয়া দিগন্ত পত্রিকা রাখা হবে না।
এসময় জামায়াত-শিবিরকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্যও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আন্দোলনকারীরা জামায়াত-শিবির পরিচালিত রেটিনাসহ কোনো কোচিং সেন্টারে সন্তানদের না পাঠানোর অনুরোধ করেন। ইসলামী ব্যাংকে কোনো অ্যাকাউন্ট না খোলা, ইবনে সিনা প্রতিষ্ঠানের কোনো সেবা না নিতে উপস্থিত সাধারণকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মুক্তিযুদ্ধ সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের নেতারা, শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শিক্ষকসহ সমাজের বিভিন্নস্তরের নেতৃপর্যায়ের ব্যক্তিত্ব উপস্থিত হয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহিত প্রকাশ করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


