যে দেশে দুস্থ, গরীব ও বাস্তুহীন মানুষের অভাব নেই, সেখানে ভিন্ন দেশী রোহিঙ্গাদের কষ্ট দেখে তাদের এদেশে নিয়ে আসাটা বরং আত্নঘাতীই হবে। অনেকে বলেন যে তাদের পরিচয় তো 'বাংলাদেশি মুসলিম'। হ্যাঁ ঠিক, কিন্তু এই পরিচয় প্রদানের ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমার সরকারের, স্বাভাবিকভাবেই এর দায়ভারও তাদেরই নিতে হবে।
অনেকে আবার বলেন 'মুসলিম ভাতৃত্ববোধ' এর কথা। এই যুক্তি আরও ঠুনকো। নিজ দেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নির্লজ্জ দলাদলি যখন করি আমরা, তখন কারও মনে থাকে না যে দুই দলেরই অন্তত ৯০ ভাগ মুসলিম। ভাতৃত্ববোধ তো নিজ দেশেই অবিরাজমান - নিজের ঘরের ফুটো চাল ঠিক না করে আমরা ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি অন্যের ছাদ ঠিক করতে।
আবার বলা হয় ৭১ এর কথা, তখন কি এদেশের কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয় নি? হ্যাঁ নিয়েছে, তখন নিজেদের স্বার্থেই ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তারা যুদ্ধকালীন সময়ের জন্য সাময়িকভাবে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমারের ব্যাপারটা যুদ্ধক্ষেত্রের সাথে জড়িত নয়, বরং এটি একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উদয় যেমন অত্যান্ত দ্রুত গতিতে হয়, এটি উবে যায় তারচেয়েও দ্রুত গতিতে।
সবচেয়ে বেশি যেটার কথা বলে সবাই - মানবিকতা। আমরা যদি এখন আশ্রয় দেই রোহিঙ্গাদের (আগের আশ্রিতও আছে কয়েক লক্ষ, মিয়ানমার আর তাদের ফিরিয়ে নেয় নি।), আমাদের দিক থেকে মানবতার হয়ত আপাত জয় হবে। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী কোন সমাধান হবে না। মিয়ানমার আগের মত এবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিবে না। নিশ্চিতভাবে নিবে না।
এই ইস্যুতে মানবতার চিরস্থায়ী বিজয়ের জন্যই আমাদের ও সারা বিশ্বের উচিত তাই মিয়ানমারকে এখন জোর প্রয়োগ করা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



